মাহমুদ হাসান ফাহিম
ত্যাগের মহান শিক্ষা নিয়ে প্রতিবছর আসে কোরবানি। মহামহিম রবের সামনে আত্মসমর্পণ করে প্রভুপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে তাঁর জন্য সবকিছু বিসর্জন দেওয়ার এই তো সুযোগ। পশু কোরবানি একটি প্রতীক মাত্র। কোরবানির প্রাণ হলো মহান রবের জন্য একনিষ্ঠ আত্মনিবেদন। মনের পশুবৃত্তিকে পরাজিত করার জন্য পশু জবাই বা পশু কোরবানি একটা আনুষ্ঠানিক মাধ্যম।
এটা মনের কালিমা ও চরিত্রের কুস্বভাব চিরতরে দূরীভূত করার মোক্ষম হাতিয়ার। বাহ্যিকভাবে পশু জবাই করাতে আল্লাহর কোনো লাভ নেই। আমরা পশু কোরবানি করি এবং আমরা এর গোশত ভক্ষণ করি। তাঁর কাছে পৌঁছায় শুধু একনিষ্ঠতা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর নিকট ওদের গোশত ও রক্তের কিছুই পৌঁছায় না; বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ: ৩৭)
তাকওয়াবিহীন কোরবানি আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হয় না। মানব ইতিহাসের প্রথম কোরবানিতেই পাওয়া যায় এর শিক্ষা। এরশাদ হয়েছে, ‘আপনি তাদের আদমের পুত্রদ্বয়ের বৃত্তান্ত শোনান। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো, অন্যজনেরটা কবুল হলো না। অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিদের কোরবানিই কবুল করেন।’ (সুরা মায়েদা: ২৭)
ত্যাগের মহিমা ও ধৈর্যের সুষমার সমন্বয়ই হলো কোরবানি। প্রতিটা জীবনের জন্য ত্যাগের শিক্ষা ও ধৈর্যের দীক্ষা অর্জনের সুযোগ আসছে। সুমহান এই ত্যাগ ও চরম ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেই জীবনের পরম সাফল্য ও মহা অর্জন লাভ করা সম্ভব। যেমন হয়েছিল পিতা-পুত্রের কোরবানিতে। ইরশাদ হয়েছে, ‘সে (ইসমাইল) বলল, হে আমার পিতা, আপনি যে কাজে আদিষ্ট হয়েছেন, তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সফফাত: ১০২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ত্যাগের মহান শিক্ষা নিয়ে প্রতিবছর আসে কোরবানি। মহামহিম রবের সামনে আত্মসমর্পণ করে প্রভুপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে তাঁর জন্য সবকিছু বিসর্জন দেওয়ার এই তো সুযোগ। পশু কোরবানি একটি প্রতীক মাত্র। কোরবানির প্রাণ হলো মহান রবের জন্য একনিষ্ঠ আত্মনিবেদন। মনের পশুবৃত্তিকে পরাজিত করার জন্য পশু জবাই বা পশু কোরবানি একটা আনুষ্ঠানিক মাধ্যম।
এটা মনের কালিমা ও চরিত্রের কুস্বভাব চিরতরে দূরীভূত করার মোক্ষম হাতিয়ার। বাহ্যিকভাবে পশু জবাই করাতে আল্লাহর কোনো লাভ নেই। আমরা পশু কোরবানি করি এবং আমরা এর গোশত ভক্ষণ করি। তাঁর কাছে পৌঁছায় শুধু একনিষ্ঠতা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর নিকট ওদের গোশত ও রক্তের কিছুই পৌঁছায় না; বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ: ৩৭)
তাকওয়াবিহীন কোরবানি আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হয় না। মানব ইতিহাসের প্রথম কোরবানিতেই পাওয়া যায় এর শিক্ষা। এরশাদ হয়েছে, ‘আপনি তাদের আদমের পুত্রদ্বয়ের বৃত্তান্ত শোনান। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো, অন্যজনেরটা কবুল হলো না। অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিদের কোরবানিই কবুল করেন।’ (সুরা মায়েদা: ২৭)
ত্যাগের মহিমা ও ধৈর্যের সুষমার সমন্বয়ই হলো কোরবানি। প্রতিটা জীবনের জন্য ত্যাগের শিক্ষা ও ধৈর্যের দীক্ষা অর্জনের সুযোগ আসছে। সুমহান এই ত্যাগ ও চরম ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেই জীবনের পরম সাফল্য ও মহা অর্জন লাভ করা সম্ভব। যেমন হয়েছিল পিতা-পুত্রের কোরবানিতে। ইরশাদ হয়েছে, ‘সে (ইসমাইল) বলল, হে আমার পিতা, আপনি যে কাজে আদিষ্ট হয়েছেন, তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ (সুরা সফফাত: ১০২)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১৮ ঘণ্টা আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
১ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগেমোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
৩ দিন আগে