নাহিন আশরাফ
বিয়ে, পূজা বা বাঙালি উৎসব এলেই আলপনা আঁকার ধুম পড়ে যায়। বাড়ির উঠোনে, সিঁড়িতে, ঘরের মেঝে এমনকি দেয়ালেও সুন্দর নকশা করা আলপনা জানান দেয় আমাদের শিল্পিত মননের। চালের গুঁড়া, অক্সাইড রং এমনকি এখন অ্যাক্রিলিক রং দিয়েও আলপনা করা হয়। ইনস্টাগ্রাম ঘুরে দেখলে পাওয়া যায় আধুনিক অনেক বাড়ি, যেগুলোর দেয়ালের রং অনেকটা মাটির রঙের মতো। তার ওপর সাদা রং দিয়ে আলপনা আঁকা হয়েছে দক্ষ হাতে।
আলপনা নিয়ে কথা হয় চিত্রশিল্পী ও সিমেক গ্রুপের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সুশান্ত কুমার সাহা অনুপমের সঙ্গে। তিনি বলেন, যাঁরা শিল্প ও নান্দনিকতা পছন্দ করেন, তাঁরা এখনো যেকোনো উৎসবে আলপনা আঁকার কথা ভাবেন। প্রয়োজনে তাঁরা পেশাদার আলপনাশিল্পীর মাধ্যমে আলপনা করাচ্ছেন।
উৎসবভেদে আলপনার নকশা
অনুপম জানান, উৎসবের ওপর নির্ভর করে আলপনার নকশা কেমন হবে, তা ঠিক করা হয়। বিয়েতে সাধারণত লতাপাতা, ফুল, প্রকৃতির নকশা করা হয়। আবার পূজার আলপনায় দেব-দেবী, হাঁস কিংবা প্যাঁচার নকশা করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ঢাক-ঢোল, ময়ূর ইত্যাদি আলপনাও করা হয়। পূজার দিনগুলোতে মেঝের মাঝখানে গোলাকৃতির আলপনা আঁকা হয়। সাধারণত চোখে পড়ে এমন জায়গায় আলপনা করা হয়। পূজার আলপনায় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ, বিভিন্ন ধরনের ফুল, আশালতা, ধানের ছড়া, কলকা, সূর্য ইত্যাদি মোটিফ দেখা যায়। এই মোটিফগুলোর প্রতিটির ভিন্ন ভিন্ন অর্থ আছে। যেমন লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ ও ধানের ছড়া সম্পদের প্রতীক, ফুল পবিত্রতার প্রতীক ইত্যাদি। ধর্মীয় কারণে যেমন, তেমনি নিছক সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যও পূজাসহ বিভিন্ন উৎসবে বাড়িতে আলপনা আঁকার প্রচলন আছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে।
নগরায়ণের কারণে কমে গেলেও বিলুপ্ত হয়নি
আলপনা কি আগের তুলনায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে অনুপম বলেন, নগরায়ণের ফলে হয়তো কিছুটা হচ্ছে। ঢাকা শহরে নানান কারণে আলপনা আঁকার প্রচলন কমে গেছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে, ঢাকায় অধিকাংশ মানুষ ভাড়া বাসায় থাকে। সে ক্ষেত্রে টাইলসের মধ্যে আলপনা করার নিষেধাজ্ঞা থাকে।
অনুপম আরও বলেন, ঢাকার অদূরে বগুড়ায় এখনো উঠোনে কিংবা বাড়ির বারান্দায় চালের গুঁড়া দিয়ে আলপনা আঁকার দৃশ্য দেখা যায়। শুধু যে বাড়ির নারীরা আলপনা তৈরি করেন তা নয়, শৌখিন পুরুষেরাও আঁকছেন আলপনা। সেখানে শোলা কেটেও দেয়ালে আলপনা করা হয়।
টাইলসে আলপনা আঁকার ক্ষেত্রে
এখনকার বেশির ভাগ বাড়ির মেঝেতে থাকে টাইলস। তার ওপর আলপনা আঁকার ক্ষেত্রে রং বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের রং পাওয়া যায়, যেগুলোর স্থায়িত্ব খুব বেশি নয়। টাইলসের ওপর রং করার পর ভালো করে কয়েকবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে খুব সহজে সেসব রং উঠে যায়।
স্থায়ী আলপনার জন্য
নিজের বাড়িতে অনেকে আজকাল পেশাদার আলপনাশিল্পীর মাধ্যমে স্থায়ী আলপনা করেন। এসব আলপনার স্থায়িত্ব থাকে প্রায় পাঁচ বছর। বছরখানেক পর রং যদি হালকা হয়ে যায়, তবে তার ওপর আবার রংতুলি দিয়ে আলপনা করে নিতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন রঙিন অক্সাইড গুলিয়ে আলপনা আঁকা যায়।
শোলা ও কাগজের আলপনা
শহরের বাড়িতে রং দিয়ে আলপনা আঁকার ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা থাকে, সেগুলো এড়ানো যেতে পারে শোলা বা কর্কশিট ও কাগজ দিয়ে আলপনা তৈরির মাধ্যমে। সেগুলো মেঝেতে না রেখে দেয়ালে রাখা যায়। এ জন্য কাগজ বা শোলার ওপর প্রথমে পেনসিল দিয়ে আলপনা এঁকে নিয়ে নকশা অনুসারে কাটার বা কাঁচি দিয়ে কেটে নিলেই হয়ে যায় চমৎকার আলপনা। সাদা শোলা বা কর্কশিটে প্রয়োজনমতো রংও করে নেওয়া যায়। নিজেরা না পারলে চারুকলার শিক্ষার্থীদের দিয়েও করিয়ে নিতে পারেন এই আলপনাগুলো।
বিয়ে, পূজা বা বাঙালি উৎসব এলেই আলপনা আঁকার ধুম পড়ে যায়। বাড়ির উঠোনে, সিঁড়িতে, ঘরের মেঝে এমনকি দেয়ালেও সুন্দর নকশা করা আলপনা জানান দেয় আমাদের শিল্পিত মননের। চালের গুঁড়া, অক্সাইড রং এমনকি এখন অ্যাক্রিলিক রং দিয়েও আলপনা করা হয়। ইনস্টাগ্রাম ঘুরে দেখলে পাওয়া যায় আধুনিক অনেক বাড়ি, যেগুলোর দেয়ালের রং অনেকটা মাটির রঙের মতো। তার ওপর সাদা রং দিয়ে আলপনা আঁকা হয়েছে দক্ষ হাতে।
আলপনা নিয়ে কথা হয় চিত্রশিল্পী ও সিমেক গ্রুপের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সুশান্ত কুমার সাহা অনুপমের সঙ্গে। তিনি বলেন, যাঁরা শিল্প ও নান্দনিকতা পছন্দ করেন, তাঁরা এখনো যেকোনো উৎসবে আলপনা আঁকার কথা ভাবেন। প্রয়োজনে তাঁরা পেশাদার আলপনাশিল্পীর মাধ্যমে আলপনা করাচ্ছেন।
উৎসবভেদে আলপনার নকশা
অনুপম জানান, উৎসবের ওপর নির্ভর করে আলপনার নকশা কেমন হবে, তা ঠিক করা হয়। বিয়েতে সাধারণত লতাপাতা, ফুল, প্রকৃতির নকশা করা হয়। আবার পূজার আলপনায় দেব-দেবী, হাঁস কিংবা প্যাঁচার নকশা করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ঢাক-ঢোল, ময়ূর ইত্যাদি আলপনাও করা হয়। পূজার দিনগুলোতে মেঝের মাঝখানে গোলাকৃতির আলপনা আঁকা হয়। সাধারণত চোখে পড়ে এমন জায়গায় আলপনা করা হয়। পূজার আলপনায় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ, বিভিন্ন ধরনের ফুল, আশালতা, ধানের ছড়া, কলকা, সূর্য ইত্যাদি মোটিফ দেখা যায়। এই মোটিফগুলোর প্রতিটির ভিন্ন ভিন্ন অর্থ আছে। যেমন লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ ও ধানের ছড়া সম্পদের প্রতীক, ফুল পবিত্রতার প্রতীক ইত্যাদি। ধর্মীয় কারণে যেমন, তেমনি নিছক সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যও পূজাসহ বিভিন্ন উৎসবে বাড়িতে আলপনা আঁকার প্রচলন আছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে।
নগরায়ণের কারণে কমে গেলেও বিলুপ্ত হয়নি
আলপনা কি আগের তুলনায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে অনুপম বলেন, নগরায়ণের ফলে হয়তো কিছুটা হচ্ছে। ঢাকা শহরে নানান কারণে আলপনা আঁকার প্রচলন কমে গেছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে, ঢাকায় অধিকাংশ মানুষ ভাড়া বাসায় থাকে। সে ক্ষেত্রে টাইলসের মধ্যে আলপনা করার নিষেধাজ্ঞা থাকে।
অনুপম আরও বলেন, ঢাকার অদূরে বগুড়ায় এখনো উঠোনে কিংবা বাড়ির বারান্দায় চালের গুঁড়া দিয়ে আলপনা আঁকার দৃশ্য দেখা যায়। শুধু যে বাড়ির নারীরা আলপনা তৈরি করেন তা নয়, শৌখিন পুরুষেরাও আঁকছেন আলপনা। সেখানে শোলা কেটেও দেয়ালে আলপনা করা হয়।
টাইলসে আলপনা আঁকার ক্ষেত্রে
এখনকার বেশির ভাগ বাড়ির মেঝেতে থাকে টাইলস। তার ওপর আলপনা আঁকার ক্ষেত্রে রং বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের রং পাওয়া যায়, যেগুলোর স্থায়িত্ব খুব বেশি নয়। টাইলসের ওপর রং করার পর ভালো করে কয়েকবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে খুব সহজে সেসব রং উঠে যায়।
স্থায়ী আলপনার জন্য
নিজের বাড়িতে অনেকে আজকাল পেশাদার আলপনাশিল্পীর মাধ্যমে স্থায়ী আলপনা করেন। এসব আলপনার স্থায়িত্ব থাকে প্রায় পাঁচ বছর। বছরখানেক পর রং যদি হালকা হয়ে যায়, তবে তার ওপর আবার রংতুলি দিয়ে আলপনা করে নিতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন রঙিন অক্সাইড গুলিয়ে আলপনা আঁকা যায়।
শোলা ও কাগজের আলপনা
শহরের বাড়িতে রং দিয়ে আলপনা আঁকার ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা থাকে, সেগুলো এড়ানো যেতে পারে শোলা বা কর্কশিট ও কাগজ দিয়ে আলপনা তৈরির মাধ্যমে। সেগুলো মেঝেতে না রেখে দেয়ালে রাখা যায়। এ জন্য কাগজ বা শোলার ওপর প্রথমে পেনসিল দিয়ে আলপনা এঁকে নিয়ে নকশা অনুসারে কাটার বা কাঁচি দিয়ে কেটে নিলেই হয়ে যায় চমৎকার আলপনা। সাদা শোলা বা কর্কশিটে প্রয়োজনমতো রংও করে নেওয়া যায়। নিজেরা না পারলে চারুকলার শিক্ষার্থীদের দিয়েও করিয়ে নিতে পারেন এই আলপনাগুলো।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে