অনলাইন ডেস্ক
বইপোকাদের পৃথিবী সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদাই। আর দশটা মানুষের মতো তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডায় সময় ব্যয় করেন না। সবাই যখন গল্পগুজবে মত্ত, বইপোকারা তখন বইয়ের ভাঁজে মুখ গুঁজে হারিয়ে যান কল্পনার রাজ্যে।
এ কল্পনার জগৎ তাঁদের ভিন্ন এক মানুষে পরিণত করে। সাধারণ মানুষের চেয়ে যারা বই পড়তে ভালোবাসেন তাদের মধ্যে ১০টি আলাদা বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। হাজার মানুষের মধ্য থেকে তাঁদের আলাদা করা যায়। অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম হ্যাক স্পিরিটে এমন ১০ বৈশিষ্ট্যের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে:
১. নতুন জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ
ছোটবেলা থেকেই যাদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তারা অত্যন্ত কৌতূহলী হয়ে থাকেন। তাই তাদের মধ্যে আজীবনই বইয়ের প্রতি আলাদা এক ভালোবাসা দেখা যায়।
বইপ্রেমীদের হাতে ছোটবেলায় বই তুলে দিয়ে কৌতূহলের বীজ বুনে দেন মা–বাবা। এ ভাবে শুধু বইয়ের সঙ্গেই নয় বরং পরিচয় হয় কল্পনার এক জগতের সঙ্গে। বইয়ের পাতার স্পর্শ ও ঘ্রাণ তাঁদের মধ্যে আরও জানার ক্ষুধা জাগিয়ে তোলে। তাই ছোটবেলা থেকেই যাদের বই পড়ার অভ্যাস তাদের মধ্যে পৃথিবীকে আবিষ্কার করার ও নতুনকে জানার অদম্য আগ্রহ দেখা যায়।
বই পড়ুয়ারা কেবল পাঠ্যপুস্তক পড়েন না বরং তাঁরা পড়েন আনন্দের জন্য। এ আনন্দ আসে নতুন জ্ঞান, বিশ্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি উদ্ঘাটনের মধ্যে দিয়ে।
শিক্ষা ও পেশাজীবন ছাপিয়ে এর প্রতিফলন দেখা যায় তাদের সমগ্র জীবনে।
২. তীক্ষ্ণ স্মৃতিশক্তি ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গি
বইয়ের কালো অক্ষরকে কল্পনায় ছবিতে রূপ দিতে দিতে বই পড়ুয়াদের মধ্যে তীক্ষ্ণ স্মৃতিশক্তি ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। বইয়ে কোনো ছবি না থাকায় মানুষকে তার মনের মধ্যেই সে দৃশ্যের নির্মাণ করতে হয়। আর এ দৃশ্য নির্মাণ করতে বইয়ে লেখা প্রত্যেক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন।
হুমায়ূন আহমেদের হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমুকে কল্পনা করেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। লেখকদের বর্ণনা অনুসারে বইপড়ুয়ারা কল্পনার রাজ্যে তৈরি করেন তাদের নিজস্ব দৃশ্যপট।
৩. অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারা
যারা অল্প বয়স থেকেই বই পড়া শুরু করে তাদের মধ্যে সাহিত্যিক দক্ষতা তৈরি হয়। এর ফলে তাদের মধ্যে শুধু শব্দের অর্থই নয় বরং এর পেছনে লুকায়িত ভাব বুঝতে পারার ক্ষমতা তৈরি হয়।
বই পড়ুয়ারা না–পড়ুয়াদের তুলনায় শব্দার্থের সূক্ষ্ম পার্থক্য ও অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারেন বেশি।
এ দক্ষতা বাস্তব জীবনের পথচলায়ও বেশ কাজে দেয়। কীভাবে?
৪. জটিল চিন্তা করার দক্ষতা
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার সবচেয়ে বড় লাভ হলো সূক্ষ্ম ও জটিল চিন্তা করার বেশ কয়েকটি দক্ষতা রপ্ত করা যায়।
বই পড়ার ফলে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তাভাবনার জন্য প্রয়োজনীয় বৌদ্ধিক দক্ষতা ও মনোভাব তৈরি হয়। সহজ করে বললে, বই পড়ুয়ারা সহজেই মিথ্যা সংবাদ বিশ্বাস করে ফেলে না। তাঁরা যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করে।
৫. সৃজনশীলতা তৈরি হয়
গবেষণা বলছে, বই পড়া ও লেখার অভ্যাসের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবের সঙ্গে সৃজনশীলতা সরাসরি জড়িত। কল্পকাহিনী পড়লে পাঠকের মনোজগতে যে দৃশ্যপটের অবতারণা হয় তাতে সৃজনশীল হয়ে ওঠার শর্ত তৈরি হয়।
তিন গোয়েন্দার রবিন, মুসা আর কিশোরের চোখ দিয়ে তাঁদের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতায় অংশ নেয়নি এমন পাঠক কমই আছে।
শুধু কল্পকাহিনীই নয়, শব্দ, রূপক ও গূঢ় অর্থের জাল দিয়ে কবিতাও পাঠকের মনকে সৃজনশীল করে তোলে।
৬. স্বপ্নদ্রষ্টা
বই পড়ুয়ারা ব্যস্ত জীবনের ফাঁকেও স্বপ্ন দেখতে ভোলেন না। শৈশব থেকে পড়া বইগুলো তাঁদের মধ্যে শত ব্যস্ততার মধ্যেও স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা তৈরি করে।
৭. সহমর্মিতা তৈরি হয়
বইপোকারা কথার পেছনের আবেগ–অনুভূতি বুঝতে পারে, তাই তাঁদের মধ্যে অন্যের জন্য সহমর্মিতা থাকে। বই পড়ার ফলে পাঠকদের মধ্যে বিভিন্ন চরিত্রকে বুঝতে পারার হওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয়। বয়সের সঙ্গে গল্পগুলো যত জটিল হতে থাকে তত বাড়তে থাকে সহমর্মিতা।
এমনকি গল্পের খলনায়কেরাও যে কেবল একতরফা খারাপ নয়, সেটিও দেখতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। মুদ্রার দুই পিঠ নিয়েই সচেতন হয়ে উঠতে শেখেন তাঁরা। গল্পের খলনায়কেরাও বাস্তব জীবনের মানুষের মতোই জটিল।
পড়ার অভ্যাস মানুষের একটা দিক দেখেই তাকে বিচার করার চর্চা থেকে বের হতে সাহায্য করে।
৮. শব্দ চয়নে সচেতন
কথায় আছে, ধনুক থেকে তীর আর মুখ থেকে কথা বেরিয়ে গেছে আর ফেরানো যায় না। মুখের কথা বন্দুকের গুলির চেয়েও ভয়ানক হতে পারে। কথা দিয়ে যেমন কারও মন জয় করা যায়, তেমনই ভেঙে ফলে যায় কারও হৃদয়।
তাই কথা বলার সময় শব্দ চয়নে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হয়। শব্দ যেমন স্পষ্ট হতে হবে, তেমনি হতে হবে কৌশলী।
কৌশলী বা বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলা মানুষের প্রতি দশজনের নয়জনই বইপ্রেমী।
৯. মনযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা
বই পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া যাদের অভ্যাস, তাঁদের মধ্যে যেকোনো বিষয়ে মনোনিবেশ করার ক্ষমতা গড়ে ওঠে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও কর্মক্ষেত্রে তারা নিরবচ্ছিন্ন মনযোগ ধরে রাখতে পারে। এই গুণের কারণে প্রিয়জনের সঙ্গেও ভালো সময় কাটাতে পারে।
স্মার্টফোনের যুগে যেকোনো একটি বিষয়ে মনযোগ ধরে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এ সমস্যা মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারে বই পড়ার অভ্যাস।
১০. একান্তে সময় কাটানোর ক্ষমতা
সারা বিশ্বের বইপ্রেমীরা এ বিষয়ে একমত হবে যে, তাদের একান্ত সময়গুলো বেশ মূল্যবান। তাদের সময়গুলো শুধু বই পড়েই কাটে না, বরং সময়কে কাজে লাগান গভীর ভাবনায়।
বইয়ের গল্পের ছাপ পড়ে পাঠকের বাস্তব জীবনেও। বই শেষ হয়ে গেলেও মানুষ ভাবতে থাকে তার চরিত্র, গল্প আর ভাবার্থ নিয়ে। অনেকে নিজেকে মিলিয়ে ফেলেন বিশেষ কোনো চরিত্রের সঙ্গে।
বছরের পর বছর ধরে বই পড়ার এ ঝোঁক মানুষকে গড়ে তোলে একজন চিন্তাশীল হিসেবে।
বইপোকাদের পৃথিবী সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদাই। আর দশটা মানুষের মতো তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডায় সময় ব্যয় করেন না। সবাই যখন গল্পগুজবে মত্ত, বইপোকারা তখন বইয়ের ভাঁজে মুখ গুঁজে হারিয়ে যান কল্পনার রাজ্যে।
এ কল্পনার জগৎ তাঁদের ভিন্ন এক মানুষে পরিণত করে। সাধারণ মানুষের চেয়ে যারা বই পড়তে ভালোবাসেন তাদের মধ্যে ১০টি আলাদা বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। হাজার মানুষের মধ্য থেকে তাঁদের আলাদা করা যায়। অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম হ্যাক স্পিরিটে এমন ১০ বৈশিষ্ট্যের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে:
১. নতুন জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ
ছোটবেলা থেকেই যাদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তারা অত্যন্ত কৌতূহলী হয়ে থাকেন। তাই তাদের মধ্যে আজীবনই বইয়ের প্রতি আলাদা এক ভালোবাসা দেখা যায়।
বইপ্রেমীদের হাতে ছোটবেলায় বই তুলে দিয়ে কৌতূহলের বীজ বুনে দেন মা–বাবা। এ ভাবে শুধু বইয়ের সঙ্গেই নয় বরং পরিচয় হয় কল্পনার এক জগতের সঙ্গে। বইয়ের পাতার স্পর্শ ও ঘ্রাণ তাঁদের মধ্যে আরও জানার ক্ষুধা জাগিয়ে তোলে। তাই ছোটবেলা থেকেই যাদের বই পড়ার অভ্যাস তাদের মধ্যে পৃথিবীকে আবিষ্কার করার ও নতুনকে জানার অদম্য আগ্রহ দেখা যায়।
বই পড়ুয়ারা কেবল পাঠ্যপুস্তক পড়েন না বরং তাঁরা পড়েন আনন্দের জন্য। এ আনন্দ আসে নতুন জ্ঞান, বিশ্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি উদ্ঘাটনের মধ্যে দিয়ে।
শিক্ষা ও পেশাজীবন ছাপিয়ে এর প্রতিফলন দেখা যায় তাদের সমগ্র জীবনে।
২. তীক্ষ্ণ স্মৃতিশক্তি ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গি
বইয়ের কালো অক্ষরকে কল্পনায় ছবিতে রূপ দিতে দিতে বই পড়ুয়াদের মধ্যে তীক্ষ্ণ স্মৃতিশক্তি ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। বইয়ে কোনো ছবি না থাকায় মানুষকে তার মনের মধ্যেই সে দৃশ্যের নির্মাণ করতে হয়। আর এ দৃশ্য নির্মাণ করতে বইয়ে লেখা প্রত্যেক সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন।
হুমায়ূন আহমেদের হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমুকে কল্পনা করেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। লেখকদের বর্ণনা অনুসারে বইপড়ুয়ারা কল্পনার রাজ্যে তৈরি করেন তাদের নিজস্ব দৃশ্যপট।
৩. অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারা
যারা অল্প বয়স থেকেই বই পড়া শুরু করে তাদের মধ্যে সাহিত্যিক দক্ষতা তৈরি হয়। এর ফলে তাদের মধ্যে শুধু শব্দের অর্থই নয় বরং এর পেছনে লুকায়িত ভাব বুঝতে পারার ক্ষমতা তৈরি হয়।
বই পড়ুয়ারা না–পড়ুয়াদের তুলনায় শব্দার্থের সূক্ষ্ম পার্থক্য ও অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারেন বেশি।
এ দক্ষতা বাস্তব জীবনের পথচলায়ও বেশ কাজে দেয়। কীভাবে?
৪. জটিল চিন্তা করার দক্ষতা
বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার সবচেয়ে বড় লাভ হলো সূক্ষ্ম ও জটিল চিন্তা করার বেশ কয়েকটি দক্ষতা রপ্ত করা যায়।
বই পড়ার ফলে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তাভাবনার জন্য প্রয়োজনীয় বৌদ্ধিক দক্ষতা ও মনোভাব তৈরি হয়। সহজ করে বললে, বই পড়ুয়ারা সহজেই মিথ্যা সংবাদ বিশ্বাস করে ফেলে না। তাঁরা যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করে।
৫. সৃজনশীলতা তৈরি হয়
গবেষণা বলছে, বই পড়া ও লেখার অভ্যাসের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবের সঙ্গে সৃজনশীলতা সরাসরি জড়িত। কল্পকাহিনী পড়লে পাঠকের মনোজগতে যে দৃশ্যপটের অবতারণা হয় তাতে সৃজনশীল হয়ে ওঠার শর্ত তৈরি হয়।
তিন গোয়েন্দার রবিন, মুসা আর কিশোরের চোখ দিয়ে তাঁদের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতায় অংশ নেয়নি এমন পাঠক কমই আছে।
শুধু কল্পকাহিনীই নয়, শব্দ, রূপক ও গূঢ় অর্থের জাল দিয়ে কবিতাও পাঠকের মনকে সৃজনশীল করে তোলে।
৬. স্বপ্নদ্রষ্টা
বই পড়ুয়ারা ব্যস্ত জীবনের ফাঁকেও স্বপ্ন দেখতে ভোলেন না। শৈশব থেকে পড়া বইগুলো তাঁদের মধ্যে শত ব্যস্ততার মধ্যেও স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা তৈরি করে।
৭. সহমর্মিতা তৈরি হয়
বইপোকারা কথার পেছনের আবেগ–অনুভূতি বুঝতে পারে, তাই তাঁদের মধ্যে অন্যের জন্য সহমর্মিতা থাকে। বই পড়ার ফলে পাঠকদের মধ্যে বিভিন্ন চরিত্রকে বুঝতে পারার হওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয়। বয়সের সঙ্গে গল্পগুলো যত জটিল হতে থাকে তত বাড়তে থাকে সহমর্মিতা।
এমনকি গল্পের খলনায়কেরাও যে কেবল একতরফা খারাপ নয়, সেটিও দেখতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। মুদ্রার দুই পিঠ নিয়েই সচেতন হয়ে উঠতে শেখেন তাঁরা। গল্পের খলনায়কেরাও বাস্তব জীবনের মানুষের মতোই জটিল।
পড়ার অভ্যাস মানুষের একটা দিক দেখেই তাকে বিচার করার চর্চা থেকে বের হতে সাহায্য করে।
৮. শব্দ চয়নে সচেতন
কথায় আছে, ধনুক থেকে তীর আর মুখ থেকে কথা বেরিয়ে গেছে আর ফেরানো যায় না। মুখের কথা বন্দুকের গুলির চেয়েও ভয়ানক হতে পারে। কথা দিয়ে যেমন কারও মন জয় করা যায়, তেমনই ভেঙে ফলে যায় কারও হৃদয়।
তাই কথা বলার সময় শব্দ চয়নে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হয়। শব্দ যেমন স্পষ্ট হতে হবে, তেমনি হতে হবে কৌশলী।
কৌশলী বা বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলা মানুষের প্রতি দশজনের নয়জনই বইপ্রেমী।
৯. মনযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা
বই পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া যাদের অভ্যাস, তাঁদের মধ্যে যেকোনো বিষয়ে মনোনিবেশ করার ক্ষমতা গড়ে ওঠে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও কর্মক্ষেত্রে তারা নিরবচ্ছিন্ন মনযোগ ধরে রাখতে পারে। এই গুণের কারণে প্রিয়জনের সঙ্গেও ভালো সময় কাটাতে পারে।
স্মার্টফোনের যুগে যেকোনো একটি বিষয়ে মনযোগ ধরে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এ সমস্যা মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারে বই পড়ার অভ্যাস।
১০. একান্তে সময় কাটানোর ক্ষমতা
সারা বিশ্বের বইপ্রেমীরা এ বিষয়ে একমত হবে যে, তাদের একান্ত সময়গুলো বেশ মূল্যবান। তাদের সময়গুলো শুধু বই পড়েই কাটে না, বরং সময়কে কাজে লাগান গভীর ভাবনায়।
বইয়ের গল্পের ছাপ পড়ে পাঠকের বাস্তব জীবনেও। বই শেষ হয়ে গেলেও মানুষ ভাবতে থাকে তার চরিত্র, গল্প আর ভাবার্থ নিয়ে। অনেকে নিজেকে মিলিয়ে ফেলেন বিশেষ কোনো চরিত্রের সঙ্গে।
বছরের পর বছর ধরে বই পড়ার এ ঝোঁক মানুষকে গড়ে তোলে একজন চিন্তাশীল হিসেবে।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৪ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৪ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৪ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৪ দিন আগে