শীতের ভেষজে সুন্দর ত্বক ও চুল

নাহিন আশরাফ
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭: ৩৬

ত্বক ও চুলের সমস্যার সমাধানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের বিকল্প নেই। কিন্তু রোজকার যত্নআত্তি বা পরিচর্যার প্রায় সব উপাদান পাওয়া যাবে রান্নাঘর ও ফ্রিজে। কেবল ঋতুকালীন ফল, সবজি ও লতাপাতা একটু বুঝেশুনে ব্যবহার করলেই হলো। এই শীতে ত্বক ও চুলের যত্নে বেছে নিতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান।

টমেটো: টমেটোর রস ত্বক পরিষ্কার রাখতে এবং ব্রণের প্রবণতা কমাতে সহায়তা করে। এর মধ্যকার ভিটামিন সি ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে পারে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তাঁরা নিয়মিত টমেটো চটকে মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে মুখের তেলতেলে ভাব অনেকটা কমে আসবে। রোদে পোড়া দাগ টমেটো খুব সহজে তুলে ফেলতে পারে। এটি অ্যাসট্রিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে বলে ব্ল্যাকহেডস কমে যায়। চাইলে টক দই ও টমেটোর মিশ্রণে ঘরে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ মুখে মেখে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

বিটের রস: বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর রস নিয়ে ভালো করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। অথবা নারকেল তেলের সঙ্গে বিটের রস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। বিটের রস ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন বাড়িয়ে দেয়। বিটের রসের সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়েও ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে।  

শসা: শসাকে প্রাকৃতিক টোনার বলা হয়। শসা ত্বকের পোড়া দাগ কমাতে সাহায্য করে। এর রসে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং, যা ত্বকের কালচে দাগ কমিয়ে দেয়। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে শসার রস ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক সময় ত্বকের ব্রণ ভালো হয়ে গেলেও দাগ রয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদবাটা ও দইয়ের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

আমলকী: আমলকী চুলের খুশকি কমাতে সাহায্য করে। এর রস নিয়মিত মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার হবে এবং সেখানে ময়লা জমতে পারবে না। আমলকীতে রয়েছে ভিটামিন সি, প্রদাহরোধী ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ। এ জন্য এটি মাথার ত্বকের যেকোনো ধরনের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে এবং ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণে বাধা দেয়। 

মেহেদি: নিয়মিত মেহেদি ব্যবহারের ফলে চুল পড়া কমে এবং চুল ঘন হয়। মেহেদি চুলের গোড়া মজবুত করে। বাড়তি উপকারিতা পেতে মেহেদির সঙ্গে টক দই ও ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেকের মাথার ত্বক তেল চিটচিটে হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে মেহেদি ব্যবহারে মাথার ত্বকে পিএইচের ভারসাম্য বজায় থাকে।

সূত্র: স্টাইলক্রেজ, হেলথ লাইন, ফেমিনা 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত