খান মুহাম্মদ রুমেল
বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন ও বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান। আইয়ুববিরোধী এই আন্দোলনের মধ্যে রোপিত হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার বীজ। আসাদের এক রক্তমাখা শার্টে খুঁজে পাওয়া গেল মুক্তির পথ। মিছিলে হাজারো মানুষের গর্জন জানান দিল—পাকিস্তানি শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে দিয়ে বাঙালি আসছে স্বাধীনতার দৃপ্ত শপথ নিয়ে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে বটতলায় সমাবেশ শেষে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল নিয়ে অন্য অনেকের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে সময়ের ঢাকা হল ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি আমানুল্লাহ মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ। মিছিলে পুলিশ বাধা দেয় এবং ফিরে যেতে বলে। কিন্তু বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে আসাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারী ছাত্ররা ‘আইয়ুব শাহির গদিতে, আগুন জ্বালো এক সাথে’সহ নানা স্লোগান দিতে দিতে চানখাঁরপুলের দিকে এগিয়ে যান।
মিছিলটি চানখাঁরপুলের কাছাকাছি আসতেই পুলিশ হামলা চালায়। এখানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ঘণ্টাখানেক সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আসাদসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা ঢাকা হলের পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে আসাদকে লক্ষ্য করে খুব কাছে থেকে রিভলবারের গুলি ছোড়েন পুলিশের এক কর্মকর্তা। গুলিবিদ্ধ আসাদ লুটিয়ে পড়েন রাজপথে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসাদের শহীদ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্রসমাজ। তাঁর রক্তমাখা শার্ট হয়ে উঠে মুক্তির নিশানা। শহীদ আসাদের রক্তমাখা শার্ট নিয়ে পরদিন ঢাকায় বের হয় শোক মিছিল। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ছুটে যায় মোহাম্মদপুরের আইয়ুব গেটের সামনে। আইয়ুব গেটের নামফলক গুঁড়িয়ে দিয়ে রক্ত দিয়ে লেখা হয় ‘আসাদ গেট’।
আসাদের মৃত্যুর পর ২৪ জানুয়ারি হরতালে পুলিশ আবারও জনতার মিছিলে গুলি চালায়। সেদিন শহীদ হন রুস্তম আলী ও স্কুলশিক্ষার্থী মতিয়ুর রহমান। এরপর আইয়ুব পতনের আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। অবশেষে সে বছর ২৫ মার্চ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন আইয়ুব খান।
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি পর্বের সূচনা হয়েছিল ১৯৬৮ সালের শেষের দিকে। সে বছরের ৬ ডিসেম্বর পল্টন ময়দানের জনসমাবেশে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী গভর্নর হাউস ঘেরাওয়ের ডাক দেন। সে সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ছিলেন আইয়ুব খানের একনিষ্ঠ চর মোনায়েম খান।
পল্টনের সেই জনসভা থেকে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে গভর্নর হাউস ঘেরাও করা হয়। এরপর মওলানা ভাসানী ৭ ডিসেম্বর সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবিতে সেই হরতাল সর্বাত্মকভাবে পালিত হয়েছিল।
৭ ডিসেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বেশ কয়েকজন ছাত্র গুরুতর আহত হন। তাই ৮ ডিসেম্বরও সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। দোকানপাট থেকে হাট-বাজার, কলকারখানা—সর্বত্রই ছিল চূড়ান্ত ধর্মঘট। যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সমগ্র দেশ।
হরতালের পর মওলানা ভাসানী ঘোষণা দেন, শেখ মুজিবকে মুক্তি দেওয়া না হলে বাস্তিল দুর্গের মতো সেনানিবাস ভেঙে মুক্ত করা হবে মুজিবকে। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য বেশ কয়েকটি অঞ্চলে হরতালের ডাক দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর হরতাল পালিত হয়।
আইয়ুব খানের পেটোয়া বাহিনী ও পুলিশ নড়াইল ও নরসিংদীর হাতিরদিয়া বাজারে গুলি করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।
সাংবাদিক ও রাজনীতিক নির্মল সেন তখন চাকরি করতেন দৈনিক পাকিস্তানে। আসাদ নির্মল সেনের কাছে এই সংবাদটি পৌঁছে দিয়েছিলেন। আসাদের শহীদ হওয়ার পর নির্মল সেন লিখেছিলেন, ‘সেদিন আসাদ এসেছিল খবর দিতে, আজ এল খবর হয়ে।’
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে একপর্যায়ে ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া ও মেনন গ্রুপ)।
ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপে ছিলেন আসাদুজ্জামান আসাদ। তাঁর জন্ম ১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এমএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
শহীদ আসাদকে নিয়ে বাংলায় আছে অসংখ্য লেখা। আছে কবিতা। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা শামসুর রাহমানের ‘আসাদের শার্ট’। তিনি শহীদ আসাদের শার্টকে দেখেছেন ‘আমাদের প্রাণের পতাকা’ হিসেবে।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী
বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন ও বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান। আইয়ুববিরোধী এই আন্দোলনের মধ্যে রোপিত হয়েছিল বাঙালির স্বাধীনতার বীজ। আসাদের এক রক্তমাখা শার্টে খুঁজে পাওয়া গেল মুক্তির পথ। মিছিলে হাজারো মানুষের গর্জন জানান দিল—পাকিস্তানি শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে দিয়ে বাঙালি আসছে স্বাধীনতার দৃপ্ত শপথ নিয়ে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে বটতলায় সমাবেশ শেষে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল নিয়ে অন্য অনেকের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে সময়ের ঢাকা হল ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি আমানুল্লাহ মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ। মিছিলে পুলিশ বাধা দেয় এবং ফিরে যেতে বলে। কিন্তু বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে আসাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারী ছাত্ররা ‘আইয়ুব শাহির গদিতে, আগুন জ্বালো এক সাথে’সহ নানা স্লোগান দিতে দিতে চানখাঁরপুলের দিকে এগিয়ে যান।
মিছিলটি চানখাঁরপুলের কাছাকাছি আসতেই পুলিশ হামলা চালায়। এখানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ঘণ্টাখানেক সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আসাদসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা ঢাকা হলের পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে আসাদকে লক্ষ্য করে খুব কাছে থেকে রিভলবারের গুলি ছোড়েন পুলিশের এক কর্মকর্তা। গুলিবিদ্ধ আসাদ লুটিয়ে পড়েন রাজপথে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসাদের শহীদ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্রসমাজ। তাঁর রক্তমাখা শার্ট হয়ে উঠে মুক্তির নিশানা। শহীদ আসাদের রক্তমাখা শার্ট নিয়ে পরদিন ঢাকায় বের হয় শোক মিছিল। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ছুটে যায় মোহাম্মদপুরের আইয়ুব গেটের সামনে। আইয়ুব গেটের নামফলক গুঁড়িয়ে দিয়ে রক্ত দিয়ে লেখা হয় ‘আসাদ গেট’।
আসাদের মৃত্যুর পর ২৪ জানুয়ারি হরতালে পুলিশ আবারও জনতার মিছিলে গুলি চালায়। সেদিন শহীদ হন রুস্তম আলী ও স্কুলশিক্ষার্থী মতিয়ুর রহমান। এরপর আইয়ুব পতনের আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। অবশেষে সে বছর ২৫ মার্চ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন আইয়ুব খান।
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি পর্বের সূচনা হয়েছিল ১৯৬৮ সালের শেষের দিকে। সে বছরের ৬ ডিসেম্বর পল্টন ময়দানের জনসমাবেশে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী গভর্নর হাউস ঘেরাওয়ের ডাক দেন। সে সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ছিলেন আইয়ুব খানের একনিষ্ঠ চর মোনায়েম খান।
পল্টনের সেই জনসভা থেকে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে গভর্নর হাউস ঘেরাও করা হয়। এরপর মওলানা ভাসানী ৭ ডিসেম্বর সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবিতে সেই হরতাল সর্বাত্মকভাবে পালিত হয়েছিল।
৭ ডিসেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বেশ কয়েকজন ছাত্র গুরুতর আহত হন। তাই ৮ ডিসেম্বরও সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। দোকানপাট থেকে হাট-বাজার, কলকারখানা—সর্বত্রই ছিল চূড়ান্ত ধর্মঘট। যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সমগ্র দেশ।
হরতালের পর মওলানা ভাসানী ঘোষণা দেন, শেখ মুজিবকে মুক্তি দেওয়া না হলে বাস্তিল দুর্গের মতো সেনানিবাস ভেঙে মুক্ত করা হবে মুজিবকে। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য বেশ কয়েকটি অঞ্চলে হরতালের ডাক দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর হরতাল পালিত হয়।
আইয়ুব খানের পেটোয়া বাহিনী ও পুলিশ নড়াইল ও নরসিংদীর হাতিরদিয়া বাজারে গুলি করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।
সাংবাদিক ও রাজনীতিক নির্মল সেন তখন চাকরি করতেন দৈনিক পাকিস্তানে। আসাদ নির্মল সেনের কাছে এই সংবাদটি পৌঁছে দিয়েছিলেন। আসাদের শহীদ হওয়ার পর নির্মল সেন লিখেছিলেন, ‘সেদিন আসাদ এসেছিল খবর দিতে, আজ এল খবর হয়ে।’
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে একপর্যায়ে ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া ও মেনন গ্রুপ)।
ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপে ছিলেন আসাদুজ্জামান আসাদ। তাঁর জন্ম ১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এমএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
শহীদ আসাদকে নিয়ে বাংলায় আছে অসংখ্য লেখা। আছে কবিতা। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা শামসুর রাহমানের ‘আসাদের শার্ট’। তিনি শহীদ আসাদের শার্টকে দেখেছেন ‘আমাদের প্রাণের পতাকা’ হিসেবে।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী
আওয়ামী লীগ সরকার হয়ে উঠেছিল স্বৈরাচারী সরকার। সেই সরকারকে হটিয়ে দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল ছাত্ররা। সেই আন্দোলনে ঢুকে পড়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। একসময় প্রকাশ পেল, এই আন্দোলন আসলে অনেক ধরনের দলের সম্মিলিত কিংবা বিচ্ছিন্ন প্রয়াসের সমষ্টি।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ইতিহাসমুখী একটি দেশ। এর কারণ বুঝতে কঠিন কিছু জানতে হয় না। বায়ান্ন থেকে একাত্তর সেই ইতিহাসের পূর্ণ অধ্যায়। এই গৌরবময় অতীত যারা অস্বীকার করে, তারা ভুলে যায় এই হচ্ছে দেশ ও জাতির মূল ভিত্তি। এর সঙ্গে কোনো শাসক, অপশাসক বা রাজনীতিকে জড়িয়ে ফেললে বড় ভুল হবে।
১০ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৬ জানুয়ারি রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, গণতন্ত্র মঞ্চ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন
১০ ঘণ্টা আগেআনু মুহাম্মদ অর্থনীতিবিদ ও অ্যাকটিভিস্ট। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক। দীর্ঘ সময় তিনি জাতীয় স্বার্থে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির অন্যতম সংগঠক।
১ দিন আগে