বিশ্ব ওয়ান হেলথ দিবস
মো. শাহারিয়ার হোসেন তালুকদার
প্রতিবছর ৩ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ান হেলথ ডে’, যার মূল উদ্দেশ্য মানুষ, প্রাণী এবং পরিবেশের মধ্যে সুস্থতার গভীর সম্পর্ককে তুলে ধরা। এবারের প্রতিপাদ্য ‘দ্য নিড ফর ওয়ান হেলথ অ্যাপরোচ টু অ্যাড্রেস শেয়ারড হেলথ থ্রেটস অ্যাট দ্য হিউম্যান-অ্যানিমেল-এনভায়রনমেন্ট ইন্টারফেস’—আমাদের এই সমন্বিত স্বাস্থ্য মডেলের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। এই বিশেষ দিনে আমরা আলোচনায় নিয়ে আসব কীভাবে ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণাটি বিশ্বব্যাপী সামগ্রিক স্বাস্থ্য, বিশেষ করে সংক্রামক রোগ ও এন্টিমাইক্রোবিয়্যাল রেজিস্ট্যান্সের মতো সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
ওয়ান হেলথ বলতে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যের আন্তঃসংযোগকে বোঝায়। অর্থাৎ মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের সুস্থতা পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৭৫ শতাংশ উদ্ভূত সংক্রামক রোগ প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়, যাকে জুনোটিক ডিজিজেস বলে। পোল্ট্রি ও মাংস উৎপাদনে অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে যে এন্টিমাইক্রোবিয়্যাল রেজিস্ট্যান্সের সমস্যা বাড়ছে, তা এখন এক বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট।
বাংলাদেশে ওয়ান হেলথ ধারণার যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে, যখন দেশে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। ২০০৭ থেকে ২০১৬-এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন পোল্ট্রি খামারে এইচ৫ এন ১ ভাইরাসের সংক্রমণে হাজার হাজার মুরগি মারা যায় বা আক্রান্ত হয়। ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫২টি জেলায় এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়, যা তখন বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট স্বাস্থ্য সংকট তৈরি করে।
সরকার ও স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো ওই সময়ই বুঝতে পারে যে শুধু পশু বা মানুষের স্বাস্থ্য দেখভাল করলেই চলবে না, বরং তাদের স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি পরিবেশের স্বাস্থ্যকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি, ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) এবং আইসিডিডিআর, বি-এর যৌথ উদ্যোগে ২০১৫ সালে সিভাসুর অধীনে ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ইনস্টিটিউটটি গবেষণা ও নজরদারির মাধ্যমে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের মধ্যে রোগের বিস্তার, এর কারণ ও সমাধান নিয়ে নিরন্তর কাজ করছে।
এন্টিমাইক্রোবিয়্যাল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) হলো এমন এক সমস্যা যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণভাবে, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো এখন জীবাণুর বিরুদ্ধে তেমন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না, কারণ অতিরিক্ত ও অপব্যবহারের কারণে এই জীবাণুগুলো প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে।
ওয়েলকাম ট্রাস্ট এবং বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৭ লাখ মানুষ এএমআর-এর কারণে মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশে কিছু গবেষণা অনুযায়ী, মুরগি ও গবাদিপশুর চিকিৎসায় প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। এই অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে যেসব প্রতিরোধী জীবাণু তৈরি হচ্ছে, তা শুধু প্রাণী নয়, মানুষের দেহেও মারাত্মক রোগ ছড়াতে সক্ষম। ২০১৯ সালের একটি রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৭০ শতাংশ সংক্রমণই এএমআর-এর কারণে প্রতিরোধী হয়ে উঠছে, যা দেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
জুনোটিক রোগ, যেমন অ্যানথ্রাক্স, জলাতংক, এবং ব্রুসেলোসিস প্রমাণ করে যে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ওয়ান হেলথ পদ্ধতির বিকল্প নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ জুনোটিক রোগে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশেও এর প্রভাব দেখা যায়, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে মানুষ ও পশু কাছাকাছি থাকে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মানব শরীরে ৮৫৪টি এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত হয়, যেখানে মৃত্যুহার ছিল প্রায় ৫৩ শতাংশ। এরপর থেকে দেশের হাসপাতালগুলোতে ইনফ্লুইয়েঞ্জার জন্য রুটিন হাসপাতাল-বেইসড সার্ভিলেন্স শুরু হয় এবং জনঘনত্বপূর্ণ এলাকায় ‘লংগিটিউডিনাল পপুলেশন-বেইজড সার্ভিলেন্স’ কার্যক্রম চালু করা হয়।
পরিবেশের স্বাস্থ্য, বিশেষত পানি ও বাতাসের দূষণ, বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পানি দূষণের কারণে হেপাটাইটিস, ডায়রিয়া, কলেরার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জলাভূমি ও মাটির দূষণও ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। ২০২৩ সালের ইউনিসেফের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ বস্তির মানুষের মধ্যে পানিবাহিত রোগের প্রবণতা বেশি।
পরিবেশগত স্বাস্থ্যের অবনতি শুধু মানুষ ও প্রাণীর জন্য নয়, বরং আমাদের পুরো বাস্তুতন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রাকৃতিক সম্পদগুলোকে সুরক্ষিত রাখা মানে আমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎকেও সুরক্ষিত রাখা।
ওয়ান হেলথ ধারণার ভিত্তিতে, আমরা যদি সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি, তবে এএমআর, জুনোটিক রোগ এবং পরিবেশগত সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আসবে।
মো. শাহারিয়ার হোসেন তালুকদার, সদস্য, কমিউনিকেশন সেল, ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিবছর ৩ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ান হেলথ ডে’, যার মূল উদ্দেশ্য মানুষ, প্রাণী এবং পরিবেশের মধ্যে সুস্থতার গভীর সম্পর্ককে তুলে ধরা। এবারের প্রতিপাদ্য ‘দ্য নিড ফর ওয়ান হেলথ অ্যাপরোচ টু অ্যাড্রেস শেয়ারড হেলথ থ্রেটস অ্যাট দ্য হিউম্যান-অ্যানিমেল-এনভায়রনমেন্ট ইন্টারফেস’—আমাদের এই সমন্বিত স্বাস্থ্য মডেলের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। এই বিশেষ দিনে আমরা আলোচনায় নিয়ে আসব কীভাবে ‘ওয়ান হেলথ’ ধারণাটি বিশ্বব্যাপী সামগ্রিক স্বাস্থ্য, বিশেষ করে সংক্রামক রোগ ও এন্টিমাইক্রোবিয়্যাল রেজিস্ট্যান্সের মতো সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
ওয়ান হেলথ বলতে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যের আন্তঃসংযোগকে বোঝায়। অর্থাৎ মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের সুস্থতা পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৭৫ শতাংশ উদ্ভূত সংক্রামক রোগ প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়, যাকে জুনোটিক ডিজিজেস বলে। পোল্ট্রি ও মাংস উৎপাদনে অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে যে এন্টিমাইক্রোবিয়্যাল রেজিস্ট্যান্সের সমস্যা বাড়ছে, তা এখন এক বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট।
বাংলাদেশে ওয়ান হেলথ ধারণার যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে, যখন দেশে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। ২০০৭ থেকে ২০১৬-এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন পোল্ট্রি খামারে এইচ৫ এন ১ ভাইরাসের সংক্রমণে হাজার হাজার মুরগি মারা যায় বা আক্রান্ত হয়। ৬৪টি জেলার মধ্যে ৫২টি জেলায় এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়, যা তখন বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট স্বাস্থ্য সংকট তৈরি করে।
সরকার ও স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো ওই সময়ই বুঝতে পারে যে শুধু পশু বা মানুষের স্বাস্থ্য দেখভাল করলেই চলবে না, বরং তাদের স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি পরিবেশের স্বাস্থ্যকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি, ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) এবং আইসিডিডিআর, বি-এর যৌথ উদ্যোগে ২০১৫ সালে সিভাসুর অধীনে ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ইনস্টিটিউটটি গবেষণা ও নজরদারির মাধ্যমে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের মধ্যে রোগের বিস্তার, এর কারণ ও সমাধান নিয়ে নিরন্তর কাজ করছে।
এন্টিমাইক্রোবিয়্যাল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) হলো এমন এক সমস্যা যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণভাবে, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো এখন জীবাণুর বিরুদ্ধে তেমন কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না, কারণ অতিরিক্ত ও অপব্যবহারের কারণে এই জীবাণুগুলো প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে।
ওয়েলকাম ট্রাস্ট এবং বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ৭ লাখ মানুষ এএমআর-এর কারণে মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশে কিছু গবেষণা অনুযায়ী, মুরগি ও গবাদিপশুর চিকিৎসায় প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। এই অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে যেসব প্রতিরোধী জীবাণু তৈরি হচ্ছে, তা শুধু প্রাণী নয়, মানুষের দেহেও মারাত্মক রোগ ছড়াতে সক্ষম। ২০১৯ সালের একটি রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৭০ শতাংশ সংক্রমণই এএমআর-এর কারণে প্রতিরোধী হয়ে উঠছে, যা দেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
জুনোটিক রোগ, যেমন অ্যানথ্রাক্স, জলাতংক, এবং ব্রুসেলোসিস প্রমাণ করে যে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ওয়ান হেলথ পদ্ধতির বিকল্প নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ জুনোটিক রোগে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশেও এর প্রভাব দেখা যায়, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে মানুষ ও পশু কাছাকাছি থাকে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মানব শরীরে ৮৫৪টি এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের ঘটনা নিশ্চিত হয়, যেখানে মৃত্যুহার ছিল প্রায় ৫৩ শতাংশ। এরপর থেকে দেশের হাসপাতালগুলোতে ইনফ্লুইয়েঞ্জার জন্য রুটিন হাসপাতাল-বেইসড সার্ভিলেন্স শুরু হয় এবং জনঘনত্বপূর্ণ এলাকায় ‘লংগিটিউডিনাল পপুলেশন-বেইজড সার্ভিলেন্স’ কার্যক্রম চালু করা হয়।
পরিবেশের স্বাস্থ্য, বিশেষত পানি ও বাতাসের দূষণ, বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পানি দূষণের কারণে হেপাটাইটিস, ডায়রিয়া, কলেরার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জলাভূমি ও মাটির দূষণও ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। ২০২৩ সালের ইউনিসেফের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ বস্তির মানুষের মধ্যে পানিবাহিত রোগের প্রবণতা বেশি।
পরিবেশগত স্বাস্থ্যের অবনতি শুধু মানুষ ও প্রাণীর জন্য নয়, বরং আমাদের পুরো বাস্তুতন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রাকৃতিক সম্পদগুলোকে সুরক্ষিত রাখা মানে আমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎকেও সুরক্ষিত রাখা।
ওয়ান হেলথ ধারণার ভিত্তিতে, আমরা যদি সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি, তবে এএমআর, জুনোটিক রোগ এবং পরিবেশগত সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আসবে।
মো. শাহারিয়ার হোসেন তালুকদার, সদস্য, কমিউনিকেশন সেল, ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়
চীনের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা পাওয়া গেলে তিস্তা নদীর ড্রেজিং, নদী ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব। চীনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশের কৃষি, জ্বালানি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।
১ দিন আগেঢাকার ঈদ উৎসব কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বহু শতাব্দীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক রীতিনীতির এক বর্ণিল প্রতিচ্ছবি। মুঘল আমল থেকে শুরু করে আধুনিক সময় পর্যন্ত এই উৎসবের রূপ ও রীতিতে অনেক পরিবর্তন এলেও এর মূল চেতনা আজও বহমান।
২ দিন আগেই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের যুগেও পাঠক সংবাদপত্রে চিঠি লেখেন—এটাই প্রমাণ করে, মুদ্রিত শব্দের আবেদন এখনো ফুরিয়ে যায়নি। দ্রুত বদলে যাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমের ভিড়েও কিছু কথা থাকে, যা কাগজে ছাপা হয়ে আলো ছড়ায়।
৩ দিন আগেঅপারেশন সার্চলাইটের নৃশংসতায় তখন আকাশে উড়ছে শকুন। রাজপথে চিৎকার করছে কুকুর। আকাশে ‘কা কা’ করে কর্কশ কণ্ঠে ডেকে কাকেরা বুঝিয়ে দিচ্ছে, সোনার বাংলাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে পাকিস্তানি হানাদারেরা।
৪ দিন আগে