বাসব রায়, কবি
কবি হতে হতেই আর কবি হওয়া হলো না। কখনো কখনো আপাদমস্তক নিজেকে কবিদের সারির একজন ভাবতে থাকি, চলায়-বলায়-ভাবনায় একটা অপরিসীম কবিত্ব ভাব চলে আসে। দু-একটা কবিতা-টবিতা গোছের হয়তো লিখেও ফেলি, হয়তো নান্দনিক হয় না এটা ঠিক কিন্তু আমি সুদূর ভবিষ্যতের ভাবনায় নিমজ্জিত হতে পারি বেশ আর তখনই নিজের দেহে নিজের মনে আমি কবি হয়ে উঠি।
বাংলা সাহিত্যের বর্ণিল আকাশে রবিঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশসহ শামসুর রাহমান প্রমুখের বিচরণ ছিল অনবদ্য। বাংলা সাহিত্য তাঁদের হাত ধরে এগিয়েছে বহুদূর। ভাষার জন্য আত্মত্যাগী বাঙালি সাহিত্যে নন্দিত হবেন এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত চর্চা এবং সৃজনীশক্তি প্রখর হলেই ভাবনাগুলো সমৃদ্ধ হবে এবং সাহিত্যের গতিধারা নতুনের পথ ধরে চলতে অভ্যস্ত হবে।
জীবনানন্দ দাশের মতে, ‘সকলেই কবি নয় কেউ কেউ কবি’। সত্যিই তাই। কবি হওয়া সবচেয়ে জটিল বিষয়; আধুনিক কবিতা আরও ক্ষুরধার মেধাবীদের কাজ। ছন্দ, মাত্রাবোধ ইত্যাদি যথাযথভাবে ঠিক রেখে দৃঢ় কল্পরূপের সমন্বয়ে অভিনব ভাবনার প্রয়োগ হলেই কেবল তা কবিতা হতে পারে। ভাবকল্পের ওপর কবিতার প্রকৃত রূপ প্রকাশ পায়। খুব একটা সহজ-সরল পথে না গিয়ে একটুখানি এদিক-সেদিক করে যথার্থ উপমার উপস্থিতি ঘটিয়ে উপলব্ধির বিস্তার ঘটানোই কবিতার কাজ। একজন কবি তাঁর পাঠকের অন্তরের আসল ভাবনাকে নানান গতিধারায় ব্যক্ত করতে সমর্থ হন। সৃষ্টিটি শৈল্পিক হলেই পাঠকনন্দিত হয়ে পড়বে তথা আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
আমাদের যাপিত জীবনের দৈনন্দিন হিসাব বা বেহিসাবি কাজগুলোর ফিরিস্তি মানেই কবিতা। কবিতারও গাণিতিক দিক আছে। কড়ায়-গণ্ডায় জীবনের গতিপ্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সচেষ্ট হন একমাত্র কবিরাই। শৈশব, কৈশোর, যৌবন আর প্রৌঢ়ত্বের মাঝে ঘটে যাওয়া বিস্তীর্ণ ঘটনার পুরোপুরি অবয়ব হলো এই কবিতা। প্রায় সব মানুষের জীবনই ভালোবেসে বাঁচতে চায়, ভালোবেসে মরতে চায় আবার আমৃত্যু ভালোবাসার কাঙাল হয়। বৈপরীত্যের মাঝেই সাদৃশ্যের ছবি আঁকেন কবিরা, বেদনার মানচিত্রে সুখের স্বরলিপি তুলে ধরেন এই কবিরাই। কবিরা সময়ের আয়না, কবিরা সমাজের উন্মুক্ত ভাবনায় নিজেদের সমর্পণ করে মজা পান, আনন্দ লাভ করেন।
বাংলা ভাষায় বর্তমানে কবিদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা অদূর ভবিষ্যতে ভারসাম্য বজায় রাখতে হিমশিম খাবে। কবি হওয়ার আগেই আমরা কবি হয়ে যাই, আর মুশকিলটা তখনই হয়ে যায়। কবি হতেই হবে এমন তো কেউ বলেনি, আবার কবি হওয়া যাবে না এমন নির্দেশনাই বা দিল কে! মানসিক লড়াই আজীবনের সঙ্গী আমাদের। আমরা তবুও হাসিমুখে পথ চলি, হাজার কষ্টের কাব্যকথাকে উড়িয়ে দিয়ে সুখের বা স্বপ্নের প্রচ্ছদ তৈরি করি। সাধারণত গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা প্রভৃতি সাহিত্যের অন্যতম নিয়ামক। সব সময়ই আদি ও অনাদিকালের অন্যতম ভাবনাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং সেই আলোতে সমৃদ্ধির পথে কিছু কাম্য পৃষ্ঠপোষকতার সৃষ্টি হবে, সেটাই স্বাভাবিক। আমরা সঠিক পৃষ্ঠপোষকতায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব, এটা জোর দিয়ে বলা যায়।
সভ্যতার বিকাশে, সমৃদ্ধির পথে, বিপ্লবের সূচনায়, বৈষম্যের বিপরীতে কবিতার গুরুত্ব সর্বাধিক। চেতনার মূলে কুঠারাঘাত করতে হলে কোমল শব্দের কঠিন পঙক্তির ঝংকার দরকার এবং সুললিত আকাঙ্ক্ষা বা বাসনার আড়ালে চিরসত্যকে ধারণ করবার এক অনন্য প্রয়াস থাকতে হবে। কবিরা বরাবরই সত্যের অনুসন্ধান করেন এবং এমন অনুসন্ধান থেকেই আহরিত হয় হিরে-মাণিক্য আর জহরত। সত্যানুসন্ধানী কবির দেহ ও মন থাকে পবিত্র; কোনো প্রকার রক্তচক্ষু বা বিপত্তি কবিকে তাঁর পথ থেকে সরাতে বা বিচ্যুত করতে পারে না।
কবি সাজা বা কবি হওয়ার মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। আমরা যারা দুয়েকজন কবিতা লিখি তাতে করে কবি সাজা যায় বটে, কিন্তু কবি হওয়া যায় না। কবি হতে গেলে কবি হওয়ার প্রকৃত রসদের সন্ধান করতে হবে। কবিতার স্নিগ্ধ রূপ এবং বৈপ্লবিক চেতনা সাধারণদের মনে জায়গা করে নেয় খুব সহজেই। সবভাবেই কবিরা ফিরে পাক তাঁদের অথেনটিক ভাবনা বা শিকড়।
কবি হতে হতেই আর কবি হওয়া হলো না। কখনো কখনো আপাদমস্তক নিজেকে কবিদের সারির একজন ভাবতে থাকি, চলায়-বলায়-ভাবনায় একটা অপরিসীম কবিত্ব ভাব চলে আসে। দু-একটা কবিতা-টবিতা গোছের হয়তো লিখেও ফেলি, হয়তো নান্দনিক হয় না এটা ঠিক কিন্তু আমি সুদূর ভবিষ্যতের ভাবনায় নিমজ্জিত হতে পারি বেশ আর তখনই নিজের দেহে নিজের মনে আমি কবি হয়ে উঠি।
বাংলা সাহিত্যের বর্ণিল আকাশে রবিঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশসহ শামসুর রাহমান প্রমুখের বিচরণ ছিল অনবদ্য। বাংলা সাহিত্য তাঁদের হাত ধরে এগিয়েছে বহুদূর। ভাষার জন্য আত্মত্যাগী বাঙালি সাহিত্যে নন্দিত হবেন এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত চর্চা এবং সৃজনীশক্তি প্রখর হলেই ভাবনাগুলো সমৃদ্ধ হবে এবং সাহিত্যের গতিধারা নতুনের পথ ধরে চলতে অভ্যস্ত হবে।
জীবনানন্দ দাশের মতে, ‘সকলেই কবি নয় কেউ কেউ কবি’। সত্যিই তাই। কবি হওয়া সবচেয়ে জটিল বিষয়; আধুনিক কবিতা আরও ক্ষুরধার মেধাবীদের কাজ। ছন্দ, মাত্রাবোধ ইত্যাদি যথাযথভাবে ঠিক রেখে দৃঢ় কল্পরূপের সমন্বয়ে অভিনব ভাবনার প্রয়োগ হলেই কেবল তা কবিতা হতে পারে। ভাবকল্পের ওপর কবিতার প্রকৃত রূপ প্রকাশ পায়। খুব একটা সহজ-সরল পথে না গিয়ে একটুখানি এদিক-সেদিক করে যথার্থ উপমার উপস্থিতি ঘটিয়ে উপলব্ধির বিস্তার ঘটানোই কবিতার কাজ। একজন কবি তাঁর পাঠকের অন্তরের আসল ভাবনাকে নানান গতিধারায় ব্যক্ত করতে সমর্থ হন। সৃষ্টিটি শৈল্পিক হলেই পাঠকনন্দিত হয়ে পড়বে তথা আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
আমাদের যাপিত জীবনের দৈনন্দিন হিসাব বা বেহিসাবি কাজগুলোর ফিরিস্তি মানেই কবিতা। কবিতারও গাণিতিক দিক আছে। কড়ায়-গণ্ডায় জীবনের গতিপ্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সচেষ্ট হন একমাত্র কবিরাই। শৈশব, কৈশোর, যৌবন আর প্রৌঢ়ত্বের মাঝে ঘটে যাওয়া বিস্তীর্ণ ঘটনার পুরোপুরি অবয়ব হলো এই কবিতা। প্রায় সব মানুষের জীবনই ভালোবেসে বাঁচতে চায়, ভালোবেসে মরতে চায় আবার আমৃত্যু ভালোবাসার কাঙাল হয়। বৈপরীত্যের মাঝেই সাদৃশ্যের ছবি আঁকেন কবিরা, বেদনার মানচিত্রে সুখের স্বরলিপি তুলে ধরেন এই কবিরাই। কবিরা সময়ের আয়না, কবিরা সমাজের উন্মুক্ত ভাবনায় নিজেদের সমর্পণ করে মজা পান, আনন্দ লাভ করেন।
বাংলা ভাষায় বর্তমানে কবিদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা অদূর ভবিষ্যতে ভারসাম্য বজায় রাখতে হিমশিম খাবে। কবি হওয়ার আগেই আমরা কবি হয়ে যাই, আর মুশকিলটা তখনই হয়ে যায়। কবি হতেই হবে এমন তো কেউ বলেনি, আবার কবি হওয়া যাবে না এমন নির্দেশনাই বা দিল কে! মানসিক লড়াই আজীবনের সঙ্গী আমাদের। আমরা তবুও হাসিমুখে পথ চলি, হাজার কষ্টের কাব্যকথাকে উড়িয়ে দিয়ে সুখের বা স্বপ্নের প্রচ্ছদ তৈরি করি। সাধারণত গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা প্রভৃতি সাহিত্যের অন্যতম নিয়ামক। সব সময়ই আদি ও অনাদিকালের অন্যতম ভাবনাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় এবং সেই আলোতে সমৃদ্ধির পথে কিছু কাম্য পৃষ্ঠপোষকতার সৃষ্টি হবে, সেটাই স্বাভাবিক। আমরা সঠিক পৃষ্ঠপোষকতায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব, এটা জোর দিয়ে বলা যায়।
সভ্যতার বিকাশে, সমৃদ্ধির পথে, বিপ্লবের সূচনায়, বৈষম্যের বিপরীতে কবিতার গুরুত্ব সর্বাধিক। চেতনার মূলে কুঠারাঘাত করতে হলে কোমল শব্দের কঠিন পঙক্তির ঝংকার দরকার এবং সুললিত আকাঙ্ক্ষা বা বাসনার আড়ালে চিরসত্যকে ধারণ করবার এক অনন্য প্রয়াস থাকতে হবে। কবিরা বরাবরই সত্যের অনুসন্ধান করেন এবং এমন অনুসন্ধান থেকেই আহরিত হয় হিরে-মাণিক্য আর জহরত। সত্যানুসন্ধানী কবির দেহ ও মন থাকে পবিত্র; কোনো প্রকার রক্তচক্ষু বা বিপত্তি কবিকে তাঁর পথ থেকে সরাতে বা বিচ্যুত করতে পারে না।
কবি সাজা বা কবি হওয়ার মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। আমরা যারা দুয়েকজন কবিতা লিখি তাতে করে কবি সাজা যায় বটে, কিন্তু কবি হওয়া যায় না। কবি হতে গেলে কবি হওয়ার প্রকৃত রসদের সন্ধান করতে হবে। কবিতার স্নিগ্ধ রূপ এবং বৈপ্লবিক চেতনা সাধারণদের মনে জায়গা করে নেয় খুব সহজেই। সবভাবেই কবিরা ফিরে পাক তাঁদের অথেনটিক ভাবনা বা শিকড়।
গত সপ্তাহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাজাগানিয়া একটি খবর প্রচারিত হওয়ার পর দেশব্যাপী বেশ আলোচনা চলছে। ৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউ থান শিউ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা...
২১ ঘণ্টা আগেসমগ্র বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন দেখছে। আমূল বদলে যাওয়ার স্বপ্ন। বাংলাদেশকে এই স্বপ্ন দেখাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে কেন্দ্র করেই স্বপ্নগুলো আবর্তিত হতে শুরু করেছে।
২১ ঘণ্টা আগেভারতবর্ষে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সহাবস্থান করলেও ঔপনিবেশিক শাসন এবং ব্রিটিশদের বিভেদমূলক রাজনৈতিক কৌশলের কারণে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গভীর হয়ে ওঠে। তারই চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে ১৯৪৭ সালে, যখন উপমহাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে জন্ম নেয় ভারত ও পাকিস্তান।
২১ ঘণ্টা আগেকেন্দ্রীয় আকর্ষণ হিসেবে উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ আয়োজিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। আশির দশকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রা আজ জাতীয় পরিচয়ের এক জীবন্ত প্রতীক। ২০১৬ সালে ইউনেসকো একে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আমাদের সাংস্কৃতিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে...
২১ ঘণ্টা আগে