অনলাইন ডেস্ক
চিংড়ি চাষের জন্য এক অমানবিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে স্ত্রী চিংড়ির একটি বা উভয় চোখই কেটে বা উপড়ে ফেলা হয়। এটি জলজ প্রাণী চাষে ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত ও কার্যকর পদ্ধতি। ক্রাস্টেসিয়ান (খোলসযুক্ত জলজ প্রাণী) প্রাণীদের প্রজননক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই পদ্ধতি। মূলত বাণিজ্যিক চিংড়ি চাষে ব্যাপকভাবে এটি ব্যবহৃত হয়।
চিংড়ির প্রজননক্ষমতা বাড়ানোর এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘আইস্টক অ্যাবলেশন’। যখন স্ত্রী চিংড়ির চোখে উপড়ে ফেলা হয়, তখন সাধারণত মাত্র ৩ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই ডিম্বাশয়ের পূর্ণ বিকাশ ঘটে।
১৯৭০ ও ৮০-র দশকে বাণিজ্যিক চিংড়ি চাষে একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল এই পদ্ধতি। কারণ, এটি নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্যভাবে স্ত্রী চিংড়ি থেকে ব্যাপক পরিমাণে ডিম উৎপাদন সম্ভব করে তোলে, যা চাষের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেছিল।
স্ত্রী চিংড়ি ও কাঁকড়ার চোখে অবস্থিত নিউরোএন্ডোক্রাইন গ্রন্থি থেকে এমন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা তাদের ডিম উৎপাদন ও পরিপক্বতা নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রন্থির অন্যতম অংশ হলো এক্স-অরগান-সাইনাস গ্ল্যান্ড কমপ্লেক্স। এই অংশ থেকে গোনাড-ইনজহিবিটিং হরমোন (জিআইএইচ) নিঃসরণ হয়। এই হরমোন ডিম্বাশয় পরিপক্ব হতে বাধা দেয়।
তাই আইস্টক অ্যাবলেশন পদ্ধতিতে স্ত্রী চিংড়ির চোখ অপসারণ করলে এই হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হয়। এর ফলে ডিম্বাশয়ের বৃদ্ধি ও পরিপক্বতা দ্রুত ঘটে। স্ত্রী চিংড়ি বা কাঁকড়া স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রজননে সক্ষম হয় এবং ডিম দিতে পারে।
আইস্টক অ্যাবলেশন যেভাবে করা হয়—
আইস্টক অ্যাবলেশন পদ্ধতিতে উভয় চোখের বদলে সাধারণত এক চোখ অপসারণ করা হয়। কারণ, এতে প্রাণীটির মৃত্যুঝুঁকি কম।
চিমটি দিয়ে: চোখের মাঝামাঝি অংশ চিমটি দিয়ে চেপে চোখটি নষ্ট করা হয়। এতে চোখের অভ্যন্তরীণ গঠন ভেঙে যায় এবং হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হয়।
ব্লেড বা সুচ কিংবা কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলা: চোখ ব্লেড, সুচ বা কাঁচি গরম করে সেগুলো দিয়ে চোখ কেটে ফেলা হয়।
যন্ত্র ব্যবহার করে নষ্ট করা: ইলেক্ট্রোকটারির যন্ত্র বা লাল গরম তার ব্যবহার করে চোখ পোড়ানো হয়। এই পদ্ধতিতে ক্ষত দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্ত্রী চিংড়ির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
চোখ বেঁধে ফেলা: সার্জিক্যাল সুতা বা অন্য সুতা দিয়ে শক্ত করে চোখে বেঁধে ফেলা হয়। ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই অংশ অকেজো হয়ে পড়ে। এই পদ্ধতিতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষত বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুবিধাও রয়েছে।
এই পদ্ধতিতে খামারিদের সুবিধা
১. বাণিজ্যিক লাভ: চাষিরা স্বল্প সময়ে বেশিসংখ্যক প্রজননক্ষম স্ত্রী চিংড়ি পান। ফলে উৎপাদন ও লাভ বাড়ে।
২. বংশবিস্তারে গতি বৃদ্ধি
৩. চাষের চক্র দ্রুত হয় এবং এই পদ্ধতিতে চিংড়িগুলো একাধিকবার ডিম পাড়তে সক্ষম হয়।
চোখ অপসারণের ফলে স্ত্রী চিংড়ির বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। সেগুলো হলো—
ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি: বেশিবার ডিম পাড়ার ফলে মোট ডিমের সংখ্যা বাড়ে। তবে একক ডিমের আকার বড় হয় না।
চিংড়ি খোলস ঝরার চক্রের সময়: চিংড়ির শরীরে কিছু সময় পর পর পুরোনো খোলসটি দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং নতুন একটি খোলস তৈরি হয়, যাতে চিংড়ির বৃদ্ধি হয়। সাধারণত চিংড়ির শারীরিক বৃদ্ধি এবং শক্তি চাহিদা বৃদ্ধির জন্য খোলস পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি ঘটতে থাকে। তবে আইস্টক অ্যাবলেশনের মাধ্যমে এই চক্রের সময় কমে যায়।
মৃত্যুহার বৃদ্ধি: আইস্টক অ্যাবলেশন স্ত্রী চিংড়ির মৃত্যুহার তিন গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।
স্ত্রী চিংড়ির শারীরিক অবস্থার অবনতি: চিংড়ির শারীরিক স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
পোনা ফোটার হার কমে: কিছু ক্ষেত্রে ডিম থেকে পোনা ফোটার হার কমে যেতে পারে।
ডিম্বাশয়ের রং পরিবর্তন হয়: ডিম্বাশয়ের রঙে পরিবর্তন দেখা যায়।
শক্তির চাহিদা বৃদ্ধি: চিংড়ির শরীরে শক্তির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
ডিমের গুণগত মান কমে যায়: উৎপাদিত ডিমের গুণগত মান কমে যেতে পারে।
রোগের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ে: ডিম থেকে বেড়ে ওঠা পোনাগুলো এর মতো রোগের প্রতি বেশি সংবেদনশীল হতে পারে।
এগুলো সব চিংড়ির প্রজনন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত করতে পারে।
বিতর্ক ও পরিবেশগত দিক
আইস্টক অ্যাবলেশন পদ্ধতি নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। কারণ, এটি একটি আঘাতজনিত ও যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে প্রাণীদের আচরণ পরিবর্তিত হয়, কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর হারও বাড়ে। কিছু গবেষক মনে করেন, এটি প্রাণীদের ওপর নির্যাতন করার শামিল।
এ ছাড়া অ্যাবলেশন করা চিংড়ি থেকে উৎপন্ন পোনা সব সময় স্বাস্থ্যবান হয় না। ফলে উৎপাদিত চিংড়ির গুণগত মান কমে যেতে পারে।
বিকল্প পদ্ধতির সন্ধান
প্রাকৃতিক খাদ্য, হরমোন প্রয়োগ, জেনেটিক পরিবর্তন এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চিংড়ির প্রজনন বাড়ানোর ওপর কাজ করছেন গবেষকেরা। এর মাধ্যমে আইস্টক অ্যাবলেশনের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করা যাবে।
আইস্টক অ্যাবলেশন চিংড়ি চাষে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর পদ্ধতি হলেও এটি নিয়ে নৈতিক ও পরিবেশগত দিক থেকে প্রশ্ন রয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তায় ভবিষ্যতে হয়তো এমন একটি উপায় বের হবে, যেখানে প্রাণীর ওপর যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি ছাড়াই উচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা যাবে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, দ্য ফিশ সোসাইটি
আরও খবর পড়ুন:
চিংড়ি চাষের জন্য এক অমানবিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে স্ত্রী চিংড়ির একটি বা উভয় চোখই কেটে বা উপড়ে ফেলা হয়। এটি জলজ প্রাণী চাষে ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত ও কার্যকর পদ্ধতি। ক্রাস্টেসিয়ান (খোলসযুক্ত জলজ প্রাণী) প্রাণীদের প্রজননক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই পদ্ধতি। মূলত বাণিজ্যিক চিংড়ি চাষে ব্যাপকভাবে এটি ব্যবহৃত হয়।
চিংড়ির প্রজননক্ষমতা বাড়ানোর এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘আইস্টক অ্যাবলেশন’। যখন স্ত্রী চিংড়ির চোখে উপড়ে ফেলা হয়, তখন সাধারণত মাত্র ৩ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই ডিম্বাশয়ের পূর্ণ বিকাশ ঘটে।
১৯৭০ ও ৮০-র দশকে বাণিজ্যিক চিংড়ি চাষে একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল এই পদ্ধতি। কারণ, এটি নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্যভাবে স্ত্রী চিংড়ি থেকে ব্যাপক পরিমাণে ডিম উৎপাদন সম্ভব করে তোলে, যা চাষের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেছিল।
স্ত্রী চিংড়ি ও কাঁকড়ার চোখে অবস্থিত নিউরোএন্ডোক্রাইন গ্রন্থি থেকে এমন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা তাদের ডিম উৎপাদন ও পরিপক্বতা নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রন্থির অন্যতম অংশ হলো এক্স-অরগান-সাইনাস গ্ল্যান্ড কমপ্লেক্স। এই অংশ থেকে গোনাড-ইনজহিবিটিং হরমোন (জিআইএইচ) নিঃসরণ হয়। এই হরমোন ডিম্বাশয় পরিপক্ব হতে বাধা দেয়।
তাই আইস্টক অ্যাবলেশন পদ্ধতিতে স্ত্রী চিংড়ির চোখ অপসারণ করলে এই হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হয়। এর ফলে ডিম্বাশয়ের বৃদ্ধি ও পরিপক্বতা দ্রুত ঘটে। স্ত্রী চিংড়ি বা কাঁকড়া স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রজননে সক্ষম হয় এবং ডিম দিতে পারে।
আইস্টক অ্যাবলেশন যেভাবে করা হয়—
আইস্টক অ্যাবলেশন পদ্ধতিতে উভয় চোখের বদলে সাধারণত এক চোখ অপসারণ করা হয়। কারণ, এতে প্রাণীটির মৃত্যুঝুঁকি কম।
চিমটি দিয়ে: চোখের মাঝামাঝি অংশ চিমটি দিয়ে চেপে চোখটি নষ্ট করা হয়। এতে চোখের অভ্যন্তরীণ গঠন ভেঙে যায় এবং হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হয়।
ব্লেড বা সুচ কিংবা কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলা: চোখ ব্লেড, সুচ বা কাঁচি গরম করে সেগুলো দিয়ে চোখ কেটে ফেলা হয়।
যন্ত্র ব্যবহার করে নষ্ট করা: ইলেক্ট্রোকটারির যন্ত্র বা লাল গরম তার ব্যবহার করে চোখ পোড়ানো হয়। এই পদ্ধতিতে ক্ষত দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্ত্রী চিংড়ির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
চোখ বেঁধে ফেলা: সার্জিক্যাল সুতা বা অন্য সুতা দিয়ে শক্ত করে চোখে বেঁধে ফেলা হয়। ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই অংশ অকেজো হয়ে পড়ে। এই পদ্ধতিতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষত বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুবিধাও রয়েছে।
এই পদ্ধতিতে খামারিদের সুবিধা
১. বাণিজ্যিক লাভ: চাষিরা স্বল্প সময়ে বেশিসংখ্যক প্রজননক্ষম স্ত্রী চিংড়ি পান। ফলে উৎপাদন ও লাভ বাড়ে।
২. বংশবিস্তারে গতি বৃদ্ধি
৩. চাষের চক্র দ্রুত হয় এবং এই পদ্ধতিতে চিংড়িগুলো একাধিকবার ডিম পাড়তে সক্ষম হয়।
চোখ অপসারণের ফলে স্ত্রী চিংড়ির বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। সেগুলো হলো—
ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি: বেশিবার ডিম পাড়ার ফলে মোট ডিমের সংখ্যা বাড়ে। তবে একক ডিমের আকার বড় হয় না।
চিংড়ি খোলস ঝরার চক্রের সময়: চিংড়ির শরীরে কিছু সময় পর পর পুরোনো খোলসটি দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং নতুন একটি খোলস তৈরি হয়, যাতে চিংড়ির বৃদ্ধি হয়। সাধারণত চিংড়ির শারীরিক বৃদ্ধি এবং শক্তি চাহিদা বৃদ্ধির জন্য খোলস পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি ঘটতে থাকে। তবে আইস্টক অ্যাবলেশনের মাধ্যমে এই চক্রের সময় কমে যায়।
মৃত্যুহার বৃদ্ধি: আইস্টক অ্যাবলেশন স্ত্রী চিংড়ির মৃত্যুহার তিন গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।
স্ত্রী চিংড়ির শারীরিক অবস্থার অবনতি: চিংড়ির শারীরিক স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
পোনা ফোটার হার কমে: কিছু ক্ষেত্রে ডিম থেকে পোনা ফোটার হার কমে যেতে পারে।
ডিম্বাশয়ের রং পরিবর্তন হয়: ডিম্বাশয়ের রঙে পরিবর্তন দেখা যায়।
শক্তির চাহিদা বৃদ্ধি: চিংড়ির শরীরে শক্তির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
ডিমের গুণগত মান কমে যায়: উৎপাদিত ডিমের গুণগত মান কমে যেতে পারে।
রোগের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ে: ডিম থেকে বেড়ে ওঠা পোনাগুলো এর মতো রোগের প্রতি বেশি সংবেদনশীল হতে পারে।
এগুলো সব চিংড়ির প্রজনন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত করতে পারে।
বিতর্ক ও পরিবেশগত দিক
আইস্টক অ্যাবলেশন পদ্ধতি নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। কারণ, এটি একটি আঘাতজনিত ও যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে প্রাণীদের আচরণ পরিবর্তিত হয়, কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর হারও বাড়ে। কিছু গবেষক মনে করেন, এটি প্রাণীদের ওপর নির্যাতন করার শামিল।
এ ছাড়া অ্যাবলেশন করা চিংড়ি থেকে উৎপন্ন পোনা সব সময় স্বাস্থ্যবান হয় না। ফলে উৎপাদিত চিংড়ির গুণগত মান কমে যেতে পারে।
বিকল্প পদ্ধতির সন্ধান
প্রাকৃতিক খাদ্য, হরমোন প্রয়োগ, জেনেটিক পরিবর্তন এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চিংড়ির প্রজনন বাড়ানোর ওপর কাজ করছেন গবেষকেরা। এর মাধ্যমে আইস্টক অ্যাবলেশনের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করা যাবে।
আইস্টক অ্যাবলেশন চিংড়ি চাষে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর পদ্ধতি হলেও এটি নিয়ে নৈতিক ও পরিবেশগত দিক থেকে প্রশ্ন রয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তায় ভবিষ্যতে হয়তো এমন একটি উপায় বের হবে, যেখানে প্রাণীর ওপর যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতি ছাড়াই উচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা যাবে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, দ্য ফিশ সোসাইটি
আরও খবর পড়ুন:
আইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
৮ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
১ দিন আগেপৃথিবী ছাড়া মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিগত কয়েক দশক ধরে গবেষণা পরিচালনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই উত্তরের খোঁজে আরেক ধাপ এগোল মানবজাতি। নাসার জ্যোতির্বিদরা দাবি করেছেন, পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে ‘কে২–১৮ বি’ নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে...
২ দিন আগে