চলতি সপ্তাহে ‘নিউ গ্লেন’ রকেটের প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের ব্যক্তিগত মহাকাশ কোম্পানি ‘ব্লু অরিজিন’। রকেটটি ভারী লোড বা যন্ত্রপাতি (যেমন—উপগ্রহ, মহাকাশযান, বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি) মহাকাশে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হবে। তবে উৎক্ষেপণের নির্দিষ্ট সময় এখনো ঘোষণা করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
মহাকাশযান তৈরির জন্য বছরের পর বছর ধরে কাজ করার পর ২০১৬ সালে রকেট উৎক্ষেপণের ঘোষণা দিয়েছিলেন জেফ বেজোস। আগামী ৬ জানুয়ারি সোমবার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশনে প্রথম নিউ গ্লেন রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছে ব্লু অরিজিন।
নাসা মহাকাশচারী জন গ্লেনের নাম অনুসারে এই রকেটের নামকরণ করা হয়েছে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম আমেরিকান নভোচারী ছিলেন তিনি।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিউ গ্লেন রকেটের উৎক্ষেপণের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উৎক্ষেপণ হবে রাত ১টায়।
তবে, ব্লু অরিজিন এখনো নির্দিষ্ট উৎক্ষেপণের তারিখ এবং সময় ঘোষণা করেনি। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর সফল প্রথম পর্যায়ের হট-ফায়ার (মহাকাশযানের ইঞ্জিন সিস্টেমের কার্যক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষা) পরীক্ষার পর প্রথম নিউ গ্লেন রকেট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত। এই মিশনটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।
কারণ, প্রতিষ্ঠানটি একটি নতুন রকেট সিস্টেম পরীক্ষা করবে এবং প্রথম পর্যায়ের সমুদ্রের ওপর অবতরণের চেষ্টা করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ব্লু অরিজিনের সিইও ডেভ লিম্প জানিয়েছেন, তাঁদের শুধু রকেটের পে-লোডগুলো (যে যন্ত্র বা উপগ্রহ রকেটে উঠবে) প্রস্তুত করে সেটি রকেটে স্থাপন করতে হবে। এরপর তারা উৎক্ষেপণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে।
জেফ বেজোস এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘পরবর্তী গন্তব্য—উৎক্ষেপণ।’
এফএএ জানিয়েছে, ব্লু অরিজিন নিউ গ্লেন রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণ ৬ জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের এর মধ্যে হতে পারে, যার জন্য প্রায় ৪ ঘণ্টার উৎক্ষেপণ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন উৎক্ষেপণের জন্য একটি বিকল্প সময় থাকবে।
ব্লু অরিজিন তাদের প্রথম নিউ গ্লেন রকেটের নাম দিয়েছে ‘সো ইউ আর টেলিং মি দেয়ার ইজ আ চান্স’। তারা ইতিমধ্যে রকেটটির প্রথম পর্যায়ের ল্যান্ডিং করার জন্য সমুদ্রে নিজেদের ড্রোন শিপ ‘জ্যাকলিন’ পাঠিয়েছে। এই ড্রোনটি বেজোসের মায়ের নামে রাখা হয়েছে।
গ্লেন একটি তুলনামূলক ভারী রকেট। এটি স্পেসএক্সের ফ্যালকন এবং স্টারশিপ রকেটের মতো পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। ব্লু অরিজিন জানিয়েছে, প্রতিটি নিউ গ্লেন রকেট ২৫ বার উৎক্ষেপণ করা যাবে।
নিউ গ্লেন রকেটের পে-লোড ফেয়ারিংটি প্রায় ২৩ ফুট (৭ মিটার) দীর্ঘ, যা সাধারণত ব্যবহৃত ১৫ ফুট (৫ মিটার) ফেয়ারিংয়ের তুলনায় অনেক বড়। পে-লোড ফেয়ারিং হলো—রকেটের ওপরের অংশের শক্ত কাঠামো, যা রকেটের মহাকাশে পাঠানোর যন্ত্রপাতি (যেমন—উপগ্রহ) সুরক্ষিত রাখে। এটি রকেটের পে-লোডটিকে বাতাস, তাপ এবং অন্যান্য পরিবেশগত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
নিউ গ্লেন রকেটটি একবারে ১৩ টন পর্যন্ত পে-লোড (যন্ত্রপাতি বা উপগ্রহ) জিওস্টেশনারি অরবিটে (বিশ্বের নির্দিষ্ট স্থানে) এবং ৪৫ টন লো আর্থ অরবিটে (পৃথিবীর কাছের কক্ষপথ) পাঠাতে পারে।
ব্লু অরিজিন জানিয়েছে, রকেটের পে-লোড ফেয়ারিংয়ের আকার বড় হওয়ায় এতে আরও বেশি বা বড় আকারের যন্ত্রপাতি রাখা যেতে পারে। এতে আরও বেশি বা বড় আকারের যন্ত্রপাতি বা উপগ্রহ রাখা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: স্পেস ডটকম ও ফ্লোরিডা টুডে
চলতি সপ্তাহে ‘নিউ গ্লেন’ রকেটের প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিলিয়নিয়ার জেফ বেজোসের ব্যক্তিগত মহাকাশ কোম্পানি ‘ব্লু অরিজিন’। রকেটটি ভারী লোড বা যন্ত্রপাতি (যেমন—উপগ্রহ, মহাকাশযান, বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি) মহাকাশে পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হবে। তবে উৎক্ষেপণের নির্দিষ্ট সময় এখনো ঘোষণা করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
মহাকাশযান তৈরির জন্য বছরের পর বছর ধরে কাজ করার পর ২০১৬ সালে রকেট উৎক্ষেপণের ঘোষণা দিয়েছিলেন জেফ বেজোস। আগামী ৬ জানুয়ারি সোমবার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশনে প্রথম নিউ গ্লেন রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছে ব্লু অরিজিন।
নাসা মহাকাশচারী জন গ্লেনের নাম অনুসারে এই রকেটের নামকরণ করা হয়েছে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম আমেরিকান নভোচারী ছিলেন তিনি।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিউ গ্লেন রকেটের উৎক্ষেপণের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উৎক্ষেপণ হবে রাত ১টায়।
তবে, ব্লু অরিজিন এখনো নির্দিষ্ট উৎক্ষেপণের তারিখ এবং সময় ঘোষণা করেনি। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর সফল প্রথম পর্যায়ের হট-ফায়ার (মহাকাশযানের ইঞ্জিন সিস্টেমের কার্যক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষা) পরীক্ষার পর প্রথম নিউ গ্লেন রকেট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত। এই মিশনটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।
কারণ, প্রতিষ্ঠানটি একটি নতুন রকেট সিস্টেম পরীক্ষা করবে এবং প্রথম পর্যায়ের সমুদ্রের ওপর অবতরণের চেষ্টা করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ব্লু অরিজিনের সিইও ডেভ লিম্প জানিয়েছেন, তাঁদের শুধু রকেটের পে-লোডগুলো (যে যন্ত্র বা উপগ্রহ রকেটে উঠবে) প্রস্তুত করে সেটি রকেটে স্থাপন করতে হবে। এরপর তারা উৎক্ষেপণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে।
জেফ বেজোস এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘পরবর্তী গন্তব্য—উৎক্ষেপণ।’
এফএএ জানিয়েছে, ব্লু অরিজিন নিউ গ্লেন রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণ ৬ জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাত ১টা থেকে ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের এর মধ্যে হতে পারে, যার জন্য প্রায় ৪ ঘণ্টার উৎক্ষেপণ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন উৎক্ষেপণের জন্য একটি বিকল্প সময় থাকবে।
ব্লু অরিজিন তাদের প্রথম নিউ গ্লেন রকেটের নাম দিয়েছে ‘সো ইউ আর টেলিং মি দেয়ার ইজ আ চান্স’। তারা ইতিমধ্যে রকেটটির প্রথম পর্যায়ের ল্যান্ডিং করার জন্য সমুদ্রে নিজেদের ড্রোন শিপ ‘জ্যাকলিন’ পাঠিয়েছে। এই ড্রোনটি বেজোসের মায়ের নামে রাখা হয়েছে।
গ্লেন একটি তুলনামূলক ভারী রকেট। এটি স্পেসএক্সের ফ্যালকন এবং স্টারশিপ রকেটের মতো পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। ব্লু অরিজিন জানিয়েছে, প্রতিটি নিউ গ্লেন রকেট ২৫ বার উৎক্ষেপণ করা যাবে।
নিউ গ্লেন রকেটের পে-লোড ফেয়ারিংটি প্রায় ২৩ ফুট (৭ মিটার) দীর্ঘ, যা সাধারণত ব্যবহৃত ১৫ ফুট (৫ মিটার) ফেয়ারিংয়ের তুলনায় অনেক বড়। পে-লোড ফেয়ারিং হলো—রকেটের ওপরের অংশের শক্ত কাঠামো, যা রকেটের মহাকাশে পাঠানোর যন্ত্রপাতি (যেমন—উপগ্রহ) সুরক্ষিত রাখে। এটি রকেটের পে-লোডটিকে বাতাস, তাপ এবং অন্যান্য পরিবেশগত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
নিউ গ্লেন রকেটটি একবারে ১৩ টন পর্যন্ত পে-লোড (যন্ত্রপাতি বা উপগ্রহ) জিওস্টেশনারি অরবিটে (বিশ্বের নির্দিষ্ট স্থানে) এবং ৪৫ টন লো আর্থ অরবিটে (পৃথিবীর কাছের কক্ষপথ) পাঠাতে পারে।
ব্লু অরিজিন জানিয়েছে, রকেটের পে-লোড ফেয়ারিংয়ের আকার বড় হওয়ায় এতে আরও বেশি বা বড় আকারের যন্ত্রপাতি রাখা যেতে পারে। এতে আরও বেশি বা বড় আকারের যন্ত্রপাতি বা উপগ্রহ রাখা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: স্পেস ডটকম ও ফ্লোরিডা টুডে
আইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
৮ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
১ দিন আগেপৃথিবী ছাড়া মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিগত কয়েক দশক ধরে গবেষণা পরিচালনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই উত্তরের খোঁজে আরেক ধাপ এগোল মানবজাতি। নাসার জ্যোতির্বিদরা দাবি করেছেন, পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে ‘কে২–১৮ বি’ নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে...
২ দিন আগে