অনলাইন ডেস্ক
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা ‘প্ল্যানেট প্যারেড’-এর সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্বের বহু মানুষ, যেখানে আমাদের সৌরজগতের সব গ্রহ একই সরলরেখায় দেখা যাবে। ২০৪০ সালের আগে আর দেখা যাবে না এই চমকপ্রদ দৃশ্য। রাতের আকাশে গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্ল্যানেট প্যারেডের চূড়ান্ত পর্ব এটি।
এই দিনে আমাদের সৌরজগতের সাতটি গ্রহ—বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন একত্রে এক সারিতে আসবে। নাসার মতে, চারটির বেশি গ্রহ একত্রিত হওয়ার এমন ঘটনা অত্যন্ত বিরল এবং একে মহাজাগতিক সারিবদ্ধ বা প্ল্যানেটারি প্যারেড বলা হয়। যদিও এটি বিশেষ কোনো জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষা নয়, তবে এটি সাধারণত ‘গ্রহের সারিবদ্ধ’ বা ‘গ্রহের প্রদর্শনী’ হিসেবেই পরিচিত।
প্ল্যানেটারি প্যারেড কী
মহাকাশবিষয়ক ওয়েবসাইট স্পেস ডট কমের মতে, আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলো সূর্যের চারপাশে একটি সাধারণ রেখা বরাবর বা কক্ষে প্রদক্ষিণ করে, যাকে ইক্লিপটিক বলা হয়। এ কারণে গ্রহগুলো সব সময় আকাশে একটি রেখার মধ্যে বা কাছাকাছি অবস্থান করে। যখন চারটি বা তার বেশি গ্রহ একত্রিত হয়, তখন সেটি এক বিরল ও দৃষ্টিনন্দন ঘটনায় পরিণত হয়।
বিরল ঘটনাটি উপভোগ করবেন যেভাবে
এই বিরল আকাশগঙ্গার ঘটনা দেখার ভালো সময় হলো সূর্যাস্তের ৪৫ মিনিট পর। এই সময়ে চারটি গ্রহ—শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও ইউরেনাস—খালি চোখে দেখা যাবে। তবে, শনি, বুধ ও নেপচুন দেখতে ভালো মানের দুটো দুরবিন বা টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে।
বিবিসির মতে, শুক্র গ্রহকে সূর্যাস্তের পর পশ্চিমে দেখতে পাবেন। মঙ্গল আকাশের দক্ষিণে উচ্চ স্থানে অবস্থান করবে এবং এটি আগামী মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত দৃশ্যমান থাকবে। বৃহস্পতি দেখতে পাবেন দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে। ইউরেনাস খালি চোখেও দেখা সম্ভব, তবে পরিষ্কার ও অন্ধকার আকাশ ছাড়া এটি দেখা কঠিন হতে পারে। এটি প্লেইডিস নক্ষত্র মালার নিচে পশ্চিম-দক্ষিণ আকাশে দেখা যাবে।
তবে কিছু গ্রহ দেখতে সহজ হবে না। শনি সূর্যের খুব কাছে অবস্থান করবে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এটি সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে আকাশে মিলে যাবে। নেপচুন দেখতে চাইলে একটি দুরবিন বা টেলিস্কোপের সাহায্য নিতে হবে।
এই প্ল্যানেটারি প্যারেডে সপ্তম গ্রহ হিসেবে যুক্ত হয়েছে বুধ, যা সূর্যাস্তের পরে পশ্চিম-দক্ষিণ আকাশে দেখতে পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য আকাশ মেঘমুক্ত থাকতে হবে।
এটি দেখার জন্য খোলা স্থানে যেতে হবে, যেখানে দৃষ্টির সামনে কোনো বাধা না থাকে। শহরের আলো থেকে দূরে গিয়ে, অন্ধকার স্থানে অবস্থান করলে এটি ভালোভাবে দেখা যাবে। যদিও শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও ইউরেনাস খালি চোখেও দেখা যাবে। তবে দুরবিন বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে আরও পরিষ্কারভাবে দেখতে পারবেন। বিশেষ করে বুধ, শনি ও নেপচুন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এটির সৌন্দর্য অনেকটাই বাড়বে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা ‘প্ল্যানেট প্যারেড’-এর সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্বের বহু মানুষ, যেখানে আমাদের সৌরজগতের সব গ্রহ একই সরলরেখায় দেখা যাবে। ২০৪০ সালের আগে আর দেখা যাবে না এই চমকপ্রদ দৃশ্য। রাতের আকাশে গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্ল্যানেট প্যারেডের চূড়ান্ত পর্ব এটি।
এই দিনে আমাদের সৌরজগতের সাতটি গ্রহ—বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন একত্রে এক সারিতে আসবে। নাসার মতে, চারটির বেশি গ্রহ একত্রিত হওয়ার এমন ঘটনা অত্যন্ত বিরল এবং একে মহাজাগতিক সারিবদ্ধ বা প্ল্যানেটারি প্যারেড বলা হয়। যদিও এটি বিশেষ কোনো জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষা নয়, তবে এটি সাধারণত ‘গ্রহের সারিবদ্ধ’ বা ‘গ্রহের প্রদর্শনী’ হিসেবেই পরিচিত।
প্ল্যানেটারি প্যারেড কী
মহাকাশবিষয়ক ওয়েবসাইট স্পেস ডট কমের মতে, আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলো সূর্যের চারপাশে একটি সাধারণ রেখা বরাবর বা কক্ষে প্রদক্ষিণ করে, যাকে ইক্লিপটিক বলা হয়। এ কারণে গ্রহগুলো সব সময় আকাশে একটি রেখার মধ্যে বা কাছাকাছি অবস্থান করে। যখন চারটি বা তার বেশি গ্রহ একত্রিত হয়, তখন সেটি এক বিরল ও দৃষ্টিনন্দন ঘটনায় পরিণত হয়।
বিরল ঘটনাটি উপভোগ করবেন যেভাবে
এই বিরল আকাশগঙ্গার ঘটনা দেখার ভালো সময় হলো সূর্যাস্তের ৪৫ মিনিট পর। এই সময়ে চারটি গ্রহ—শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও ইউরেনাস—খালি চোখে দেখা যাবে। তবে, শনি, বুধ ও নেপচুন দেখতে ভালো মানের দুটো দুরবিন বা টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে।
বিবিসির মতে, শুক্র গ্রহকে সূর্যাস্তের পর পশ্চিমে দেখতে পাবেন। মঙ্গল আকাশের দক্ষিণে উচ্চ স্থানে অবস্থান করবে এবং এটি আগামী মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত দৃশ্যমান থাকবে। বৃহস্পতি দেখতে পাবেন দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে। ইউরেনাস খালি চোখেও দেখা সম্ভব, তবে পরিষ্কার ও অন্ধকার আকাশ ছাড়া এটি দেখা কঠিন হতে পারে। এটি প্লেইডিস নক্ষত্র মালার নিচে পশ্চিম-দক্ষিণ আকাশে দেখা যাবে।
তবে কিছু গ্রহ দেখতে সহজ হবে না। শনি সূর্যের খুব কাছে অবস্থান করবে এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এটি সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে আকাশে মিলে যাবে। নেপচুন দেখতে চাইলে একটি দুরবিন বা টেলিস্কোপের সাহায্য নিতে হবে।
এই প্ল্যানেটারি প্যারেডে সপ্তম গ্রহ হিসেবে যুক্ত হয়েছে বুধ, যা সূর্যাস্তের পরে পশ্চিম-দক্ষিণ আকাশে দেখতে পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য আকাশ মেঘমুক্ত থাকতে হবে।
এটি দেখার জন্য খোলা স্থানে যেতে হবে, যেখানে দৃষ্টির সামনে কোনো বাধা না থাকে। শহরের আলো থেকে দূরে গিয়ে, অন্ধকার স্থানে অবস্থান করলে এটি ভালোভাবে দেখা যাবে। যদিও শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও ইউরেনাস খালি চোখেও দেখা যাবে। তবে দুরবিন বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে আরও পরিষ্কারভাবে দেখতে পারবেন। বিশেষ করে বুধ, শনি ও নেপচুন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এটির সৌন্দর্য অনেকটাই বাড়বে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ প্রথমবারের মতো নেপচুনের অরোরার (মেরুপ্রভা বা মেরুজ্যোতি) ছবি স্পষ্টভাবে ধারণ করা হয়েছে। ১৯৮৯ সালে ভয়েজার ২ মহাকাশযান নেপচুনের পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সময় অতিবেগুনি (ইউভি) রশ্মির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নেপচুনের অরোরার অস্পষ্ট ছবি তোলা হয়। এবার ওয়েব টেলিস্কোপের ইনফ্রারেড
৪ দিন আগেনাসার পারসিভারেন্স রোভারের (রোবট) মাধ্যমে মঙ্গলে প্রথমবারের মতো মহাকাশযাত্রীর স্যুটের কিছু উপকরণের পরীক্ষা হচ্ছে। ২০২১ সালে মঙ্গলে অবতরণ করা পারসিভারেন্স রোভারটি এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান ছাড়াও, মঙ্গলে মানব অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিও নিচ্ছে। রোভারটি মঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশে পাঁচটি ম
৫ দিন আগেসমুদ্রের নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত হাঙর। কারণ অন্যান্য মাছের মতো শব্দ উৎপাদনকারী অঙ্গ এদের নেই। তবে এক নতুন গবেষণায় প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে, বেলুন ফাটানোর মতো শব্দ তৈরি করতে পারে এক প্রজাতির হাঙর।
৬ দিন আগেমঙ্গলগ্রহে সবচেয়ে বড় জৈব যৌগ আবিষ্কার করেছে নাসার কিউরিওসিটি রোভার। গ্রহটিতে একসময় প্রাণের বিকাশ হয়েছিল কি না, তা জানার নতুন পথ খুলে দিল এই আবিষ্কার। এই জৈব যৌগগুলো ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন বছর পুরোনো একটি শিলার নমুনায় পাওয়া গেছে।
৭ দিন আগে