শনির চাঁদে প্রাণের সন্ধান করবে নাসা, স্পেসএক্সের সঙ্গে ২৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের চুক্তি

অনলাইন ডেস্ক    
Thumbnail image
পারমাণবিক শক্তি চালিত মহাকাশযান হলো ‘ড্রাগনফ্লাই’। ছবি: নাসা

শনির চাঁদে জীবনের সন্ধানে জন্য ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের সঙ্গে ২৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলার মূল্যের চুক্তি করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। এই চুক্তি ড্রাগনফ্লাই মিশনকে সমর্থন দেবে। ড্রাগনফ্লাই একটি রোটোরক্রাফট ল্যান্ডার মিশন যা নাসার ‘নিউ ফন্ট্রেটিয়ার্স প্রোগ্রাম’ এর অধীনে রয়েছে। সৌরজগৎ অনুসন্ধানের জন্য মাঝারি আকারের মহাকাশযান মিশনের জন্য অর্থ সরবরাহ করে এই প্রোগ্রামটি। ড্রাগনফ্লাই এই প্রোগ্রামের চতুর্থ মিশন এবং এর মোট ব্যয় প্রায় ৩৩৫ কোটি ডলার হবে।

পারমাণবিক শক্তি চালিত মহাকাশযান হলো ‘ড্রাগনফ্লাই’। এটি মঙ্গলের রোভার (মঙ্গলে পৃষ্ঠের ওপর চলাচল করতে সক্ষম রোবট যা বিভিন্ন উপাদান সংগ্রহ করে) আকারের কাছাকাছি এবং এটি ড্রোনের মতো উড়তে পারে। এটি টাইটান (শনি গ্রহের একটি চাঁদ) এর পৃষ্ঠ থেকে উপাদান সংগ্রহ করবে এবং তা বিশ্লেষণ করবে। এটি পৌঁছাতে টাইটানে পৌঁছাতে ছয় বছর সময় নিবে এবং দেড় বছর থাকার পর সেখানে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালাবে।

নাসা বলেছে, ‘ড্রাগনফ্লাইয়ের বৈজ্ঞানিক টুলগুলো টাইটানের পরিবেশের বাস যোগ্যতা বিশ্লেষণ করবে। টাইটানে প্রাক জীবন রসায়ন সম্পর্কে তদন্ত করবে। এই চাঁদে সম্ভবত দীর্ঘ সময় ধরে কার্বন সমৃদ্ধ উপাদান এবং তরল পানি একত্রিত হয়েছে। এটি পানিভিত্তিক বা হাইড্রোকার্বনভিত্তিক জীবনের অস্তিত্ব কখনো ছিল কিনা, তা জানার জন্য একটি প্রাথমিক ইঙ্গিত।

কিছু বিজ্ঞানী যেভাবে বিশ্বাস করেন টাইটান সম্ভবত জীবন ধারণ করতে পারে। এই তথ্যের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে নাসা বলছে, এটি ‘জীবনের গঠন উপাদানের সন্ধানে আমাদের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁদ হলো টাইটান। বৃহস্পতির চাঁদ ‘গ্যানিমিড’ এর পরেই এর অবস্থান। ঘন বায়ুমণ্ডল এবং তরল মিথেন ও ইথেন এর হ্রদগুলোর জন্য টাইটান পরিচিত।

২০২৮ সালের জুলাই মাসে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন রকেটে করে ড্রাগনফ্লাই উৎক্ষেপণ হতে পারে।

এই ঘোষণা নাসার এর মহাকাশমুখী বড় মিশনগুলোতে স্পেসএক্সের বড় ভূমিকা তুলে ধরে।

টেসলার সিইও ইলন মাস্ক স্পেসএক্স পরিচালনা করে। এ ছাড়া নাসার ‘আর্টিমিস III’ মিশনের জন্য একটি চাঁদের অবতরণের ল্যান্ডার বানাচ্ছে স্পেসএক্স। এর উদ্দেশ্য চাঁদে প্রথম নারী এবং প্রথম বর্ণবৈচিত্র্যসম্পন্ন ব্যক্তিকে পাঠানো। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে এই মিশনটি শুরু হওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে তহবিলের অভাব এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তারিখটি পিছিয়ে গেছে।

এদিকে, এই সপ্তাহের শুরুতে স্টারশিপ রকেটগুলো উৎক্ষেপণের আরও বেশি বাড়ানোর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চাঁদ এবং মঙ্গলে মহাকাশযান কোম্পানিটির মূল্য লক্ষ্য। ২০২৫ সাল থেকে কোম্পানিটি প্রতি বছর ২৫টি উৎক্ষেপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

তথ্যসূত্র: সিনেট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত