অনলাইন ডেস্ক
আতোয়াঁ লোরঁ দ্য ল্যাভয়সিয়ে। তাঁর জন্ম ১৭৪৩ সালের ২৬ আগস্ট। ছিলেন ফরাসি অভিজাত এবং বিখ্যাত রসায়নবিদ। আঠারো শতকে রসায়নবিজ্ঞানে বিপ্লব আনা কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব তিনি। রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের ইতিহাসে তাঁর অনন্য স্থান রয়েছে। তাঁকে প্রায়ই ‘আধুনিক রসায়নের জনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
রসায়নবিদ্যায় ল্যাভয়সিয়ের সেরা অবদানের কৃতিত্ব দেওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো, তিনি রসায়নকে একটি গুণগত (qualitative) বিজ্ঞান থেকে পরিমাণগত (quantitative) বিজ্ঞানে রূপান্তর করেছেন। ল্যাভয়সিয়ে যে আবিষ্কারের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত, সেটি হলো দহন বিক্রিয়ায় অক্সিজেনের ভূমিকা নির্ধারণ। তিনিই ১৭৭৮ সালে অক্সিজেন এবং ১৭৮৩ সালে হাইড্রোজেন আবিষ্কার ও নামকরণ করেন।
ল্যাভয়সিয়ে পরিমাপের ম্যাট্রিক পদ্ধতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনিই প্রথম মৌলের একটি বিস্তৃত পর্যায় সারণি তৈরি করেন। এ ছাড়া রাসায়নিক পদার্থের নামকরণের নীতিগুলোর সংস্কার সাধনেও অবদান রাখেন।
১৭৮৭ সালে ল্যাভয়সিয়ে সিলিকনের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তিনি প্রথম গন্ধককে (সালফার) যৌগ নয়, বরং একটি মৌলিক পদার্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ল্যাভয়সিয়ে আবিষ্কার করেন, পদার্থের আকৃতি বা গঠন পরিবর্তন করা গেলেও এর ভর সব সময় একই থাকে।
ল্যাভয়সিয়ে ফ্রান্সের তৎকালীন বেশ কিছু অভিজাত পরিষদের ক্ষমতাধর সদস্য ছিলেন। তিনি ‘ফের্ম জেনেরাল’ নামক সংস্থার প্রশাসক ছিলেন। কিন্তু এ সংস্থা ‘অঁসিয়াঁ রেজিম’ বা ফ্রান্সের তৎকালীন রাজতন্ত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সবচেয়ে ঘৃণ্য একটি অংশ ছিল। এই সংস্থা রাষ্ট্রের সম্পদ থেকে অন্যায়ভাবে মুনাফা করছিল। সংস্থার চুক্তিগুলো ছিল অত্যন্ত গোপনীয় এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনী ছিল, যারা সাধারণ মানুষের ওপর জোরজবরদস্তি চালাত।
এসব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই মূলত ল্যাভয়সিয়ের বৈজ্ঞানিক গবেষণার অর্থসংস্থানে সাহায্য করত।
ফরাসি বিপ্লবের চূড়ান্ত পর্যায়ে জ্যঁ পল মারা গেলে তাঁকে কর ফাঁকি এবং ভেজাল তামাক বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। জ্যঁ পল মারা যাওয়ার এক বছর পরই ১৭৯৪ সালের ৮ মে ল্যাভয়সিয়েকে গিলোটিনে চড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব অবদানের জন্য তাঁর প্রাণভিক্ষা চাওয়া হলেও আমলে নেওয়া হয়নি।
আতোয়াঁ লোরঁ দ্য ল্যাভয়সিয়ে। তাঁর জন্ম ১৭৪৩ সালের ২৬ আগস্ট। ছিলেন ফরাসি অভিজাত এবং বিখ্যাত রসায়নবিদ। আঠারো শতকে রসায়নবিজ্ঞানে বিপ্লব আনা কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব তিনি। রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের ইতিহাসে তাঁর অনন্য স্থান রয়েছে। তাঁকে প্রায়ই ‘আধুনিক রসায়নের জনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
রসায়নবিদ্যায় ল্যাভয়সিয়ের সেরা অবদানের কৃতিত্ব দেওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো, তিনি রসায়নকে একটি গুণগত (qualitative) বিজ্ঞান থেকে পরিমাণগত (quantitative) বিজ্ঞানে রূপান্তর করেছেন। ল্যাভয়সিয়ে যে আবিষ্কারের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত, সেটি হলো দহন বিক্রিয়ায় অক্সিজেনের ভূমিকা নির্ধারণ। তিনিই ১৭৭৮ সালে অক্সিজেন এবং ১৭৮৩ সালে হাইড্রোজেন আবিষ্কার ও নামকরণ করেন।
ল্যাভয়সিয়ে পরিমাপের ম্যাট্রিক পদ্ধতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনিই প্রথম মৌলের একটি বিস্তৃত পর্যায় সারণি তৈরি করেন। এ ছাড়া রাসায়নিক পদার্থের নামকরণের নীতিগুলোর সংস্কার সাধনেও অবদান রাখেন।
১৭৮৭ সালে ল্যাভয়সিয়ে সিলিকনের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তিনি প্রথম গন্ধককে (সালফার) যৌগ নয়, বরং একটি মৌলিক পদার্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ল্যাভয়সিয়ে আবিষ্কার করেন, পদার্থের আকৃতি বা গঠন পরিবর্তন করা গেলেও এর ভর সব সময় একই থাকে।
ল্যাভয়সিয়ে ফ্রান্সের তৎকালীন বেশ কিছু অভিজাত পরিষদের ক্ষমতাধর সদস্য ছিলেন। তিনি ‘ফের্ম জেনেরাল’ নামক সংস্থার প্রশাসক ছিলেন। কিন্তু এ সংস্থা ‘অঁসিয়াঁ রেজিম’ বা ফ্রান্সের তৎকালীন রাজতন্ত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সবচেয়ে ঘৃণ্য একটি অংশ ছিল। এই সংস্থা রাষ্ট্রের সম্পদ থেকে অন্যায়ভাবে মুনাফা করছিল। সংস্থার চুক্তিগুলো ছিল অত্যন্ত গোপনীয় এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনী ছিল, যারা সাধারণ মানুষের ওপর জোরজবরদস্তি চালাত।
এসব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই মূলত ল্যাভয়সিয়ের বৈজ্ঞানিক গবেষণার অর্থসংস্থানে সাহায্য করত।
ফরাসি বিপ্লবের চূড়ান্ত পর্যায়ে জ্যঁ পল মারা গেলে তাঁকে কর ফাঁকি এবং ভেজাল তামাক বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। জ্যঁ পল মারা যাওয়ার এক বছর পরই ১৭৯৪ সালের ৮ মে ল্যাভয়সিয়েকে গিলোটিনে চড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব অবদানের জন্য তাঁর প্রাণভিক্ষা চাওয়া হলেও আমলে নেওয়া হয়নি।
প্রথমবারের মতো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর মুহূর্তের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণের আগের পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। ছবিতে নক্ষত্রটিকে অদ্ভুত ডিম আকারের কোকুনের (রেশমগুটি) মতো দেখা যায়।
৯ মিনিট আগেআমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৩ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৯ দিন আগেটয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এমনও হতে আপনি হয়তো টয়লেটে বসেই মোবাইলে লেখাটি পড়ছেন। শৌচাগারে যে কাজটি ৩ মিনিটে করা সম্ভব সেটি কিছু পড়া, স্ক্রল এবং পোস্ট করে অন্তত ১৫ মিনিট পার করে দিচ্ছেন অনায়াসে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সময় কাটানোর নির্দোষ উপায় মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের
৯ দিন আগে