Ajker Patrika

আধুনিক রসায়নের জনককে কেন মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ফ্রান্স

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ২২: ৫১
আধুনিক রসায়নের জনককে কেন মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ফ্রান্স

আতোয়াঁ লোরঁ দ্য ল্যাভয়সিয়ে। তাঁর জন্ম ১৭৪৩ সালের ২৬ আগস্ট। ছিলেন ফরাসি অভিজাত এবং বিখ্যাত রসায়নবিদ। আঠারো শতকে রসায়নবিজ্ঞানে বিপ্লব আনা কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব তিনি। রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের ইতিহাসে তাঁর অনন্য স্থান রয়েছে। তাঁকে প্রায়ই ‘আধুনিক রসায়নের জনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

রসায়নবিদ্যায় ল্যাভয়সিয়ের সেরা অবদানের কৃতিত্ব দেওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো, তিনি রসায়নকে একটি গুণগত (qualitative) বিজ্ঞান থেকে পরিমাণগত (quantitative) বিজ্ঞানে রূপান্তর করেছেন। ল্যাভয়সিয়ে যে আবিষ্কারের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত, সেটি হলো দহন বিক্রিয়ায় অক্সিজেনের ভূমিকা নির্ধারণ। তিনিই ১৭৭৮ সালে অক্সিজেন এবং ১৭৮৩ সালে হাইড্রোজেন আবিষ্কার ও নামকরণ করেন।

ল্যাভয়সিয়ে পরিমাপের ম্যাট্রিক পদ্ধতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনিই প্রথম মৌলের একটি বিস্তৃত পর্যায় সারণি তৈরি করেন। এ ছাড়া রাসায়নিক পদার্থের নামকরণের নীতিগুলোর সংস্কার সাধনেও অবদান রাখেন।

১৭৮৭ সালে ল্যাভয়সিয়ে সিলিকনের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তিনি প্রথম গন্ধককে (সালফার) যৌগ নয়, বরং একটি মৌলিক পদার্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ল্যাভয়সিয়ে আবিষ্কার করেন, পদার্থের আকৃতি বা গঠন পরিবর্তন করা গেলেও এর ভর সব সময় একই থাকে।

ল্যাভয়সিয়ে ফ্রান্সের তৎকালীন বেশ কিছু অভিজাত পরিষদের ক্ষমতাধর সদস্য ছিলেন। তিনি ‘ফের্ম জেনেরাল’ নামক সংস্থার প্রশাসক ছিলেন। কিন্তু এ সংস্থা ‘অঁসিয়াঁ রেজিম’ বা ফ্রান্সের তৎকালীন রাজতন্ত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সবচেয়ে ঘৃণ্য একটি অংশ ছিল। এই সংস্থা রাষ্ট্রের সম্পদ থেকে অন্যায়ভাবে মুনাফা করছিল। সংস্থার চুক্তিগুলো ছিল অত্যন্ত গোপনীয় এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনী ছিল, যারা সাধারণ মানুষের ওপর জোরজবরদস্তি চালাত।

এসব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই মূলত ল্যাভয়সিয়ের বৈজ্ঞানিক গবেষণার অর্থসংস্থানে সাহায্য করত।

ফরাসি বিপ্লবের চূড়ান্ত পর্যায়ে জ্যঁ পল মারা গেলে তাঁকে কর ফাঁকি এবং ভেজাল তামাক বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। জ্যঁ পল মারা যাওয়ার এক বছর পরই ১৭৯৪ সালের ৮ মে ল্যাভয়সিয়েকে গিলোটিনে চড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব অবদানের জন্য তাঁর প্রাণভিক্ষা চাওয়া হলেও আমলে নেওয়া হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত