অনলাইন ডেস্ক
আকর্ষণীয় চেহারার শিক্ষার্থীরা উচ্চতর গ্রেড পেয়ে থাকেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। তবে নারী শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের এ সুবিধা কেবল সরাসরি ক্লাস নেওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে! গবেষণা বলছে, অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো গ্রেড পাওয়ার হার কমে যায়।
অনলাইন সংবাদমাধ্যম সাইপোস্টের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ‘স্টুডেন্ট বিউটি অ্যান্ড গ্রেডস আন্ডার ইন–পারসন অ্যান্ড রিমোট টিচিং’ শীর্ষক গবেষণাটি ইকোনমিক লেটার্স সাময়িকীতে ২০২২ সালের ৬ আগস্ট প্রকাশিত হয়।
অনেক গবেষণাতেই উঠে এসেছে, ব্যক্তির সাফল্যের পেছনে তার শারীরিক সৌন্দর্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। আকর্ষণীয় চেহারার মানুষ অর্থ বেশি উপার্জন করে। তারা কম আকর্ষণীয় চেহারার মানুষের তুলনায় জীবনের প্রতি বেশি তুষ্ট থাকেন। তবে সৌন্দর্যের এ সুবিধার পেছনে ঠিক কোন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে।
তবে একদল গবেষক বৈষম্যের ধারণার মাধ্যমে সৌন্দর্যের এ সুবিধা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। সহজাতভাবেই নিয়োগকর্তারা অনাকর্ষণীয় কর্মীদের তুলনায় আকর্ষণীয় চেহারার কর্মীদের বেশি সুবিধা দিয়ে থাকেন। আরেকটি গবেষণা বলছে, সৌন্দর্য এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাধ্যমে তাকে আরও সৃষ্টিশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে।
সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও নতুন এ গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক অ্যাড্রিয়ান মেহিক বলেন, ‘আমি সাধারণত বৈষম্য নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণায় লিঙ্গ ও বর্ণভেদে বৈষম্যের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলেও শিক্ষার ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের ভিত্তিতে বৈষম্যের ওপর তেমন একটা গবেষণা করা হয়নি।’
অ্যাড্রিয়ান মেহিক আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় সৌন্দর্যের ভিত্তিতে বৈষম্য করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ শিক্ষকেরা সরাসরি শিক্ষার্থীর চেহারা দেখতে পারছিলেন না। এরপরও অনলাইনে লিঙ্গভেদে বৈষম্যের সম্ভাবনা থেকেই যায়, কারণ চেহারা না দেখা গেলেও সেখানে শিক্ষার্থীর নাম দেখা যায়।’
সৌন্দর্যের এ বৈষম্যমূলক সুবিধাকে ব্যাখ্যা করার জন্য মেহিক বাস্তব উপাত্তের ভিত্তিতে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষণার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডের ওপর সরাসরি ও অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর আকর্ষণীয় চেহারার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া অত্যন্ত কম থাকে। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে যেসব আকর্ষণ কাজ করে তাতে সৃষ্টিশীলতার প্রভাবই বেশি থাকে।
গবেষকেরা সুইডেনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিষয়ের পাঁচ শ্রেণির মোট ৩০৭ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা করোনা মহামারির সময় অনলাইন ক্লাস করেছেন। এ ক্ষেত্রে কোর্সগুলোর বিষয় একই থাকলেও লেকচার ও সেমিনারগুলো অনলাইনে পরিচালনা করা হয়।
অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ভিডিও অন রাখতে উৎসাহিত করা হলেও তা বাধ্যতামূলক ছিল না। প্রতিটি শিক্ষার্থীর শারীরিক সৌন্দর্যের মাত্রা নির্ধারণ করার জন্য মেহিক দৈবচয়নে ৭৪ জনকে বাছাই করেন। শিক্ষার্থীদের মুখ দেখে তাঁদের সৌন্দর্যের মাত্রার অনুযায়ী নম্বর দিয়েছেন।
ডেটা বিশ্লেষণের সময় মেহিক সরাসরি ক্লাসে সৌন্দর্যের কারণে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার প্রমাণ পান। সম্পূর্ণ অনলাইনে পরিচালনা করা অ–গাণিতিক কোর্সের (বাণিজ্য, অর্থনীতি) ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর গ্রেডের ওপর তাঁদের আকর্ষণীয় চেহারা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। তবে গাণিতিক কোর্সের (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান) ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রভাব পাওয়া যায়নি।
তবে এমনটাই হবে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন গবেষক। কারণ অ–গাণিতিক কোর্সগুলোতে নানা ধরনের অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশন যুক্ত থাকে এবং এগুলোতে শিক্ষার্থী–শিক্ষকের মিথস্ক্রিয়া বেশি হয়ে থাকে। আর গাণিতিক কোর্সগুলোতে গ্রেড সম্পূর্ণ চূড়ান্ত পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে।
তবে গবেষণায় দেখা যায়, অনলাইন ক্লাসে কেবল নারী শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এই সৌন্দর্যের কারণে সুবিধা পাওয়ার ধারণা অকার্যকর হয়ে যায়। অ–গাণিতিক কোর্সগুলোতে আকর্ষণীয় নারী শিক্ষার্থীদের গ্রেড উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। কিন্তু পুরুষ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনটির লেখক বলেন, এ বৈষম্য থেকে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য সুবিধার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। অনলাইন ক্লাসে তাদের মধ্যে আর উচ্চ গ্রেড পাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় না। তবে শিক্ষক–শিক্ষার্থী মিথস্ক্রিয়া কম থাকা সত্ত্বেও আকর্ষণীয় পুরুষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চ গ্রেড পাওয়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য সৌন্দর্য সৃষ্টিশীলতা বর্ধনকারী একটি বৈশিষ্ট্য।
মেহিক বলেন, ‘এ গবেষণার মূল বিষয় হলো—সরাসরি ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থী উভয়ই সৌন্দর্যের সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তবে ক্লাস অনলাইনে চলে গেলেই নারীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। অন্তত আমার কাছে মনে হয়, পুরুষ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের জন্য নয় বরং তাদের সৃষ্টিশীল বৈশিষ্ট্যের কারণে সৌন্দর্য সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে তারা সৃষ্টিশীল হয়ে থাকেন। আর আকর্ষণীয় নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য সুবিধা পাওয়ার জন্য বৈষম্যই কাজ করে।’
মেহিক বলেন, ‘অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পরও পুরুষ শিক্ষার্থীরা ভালো করছে দেখে আমি বেশ অবাক হয়েছি।’ গবেষণা প্রতিবেদনটিতে মেহিক শারীরিক সৌন্দর্য কেন পুরুষ শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীলতা বাড়াতে পারে তার বিভিন্ন কারণ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এর একটি কারণ হলো, শারীরিকভাবে আকর্ষণীয় মানুষেরা বেশি অধ্যবসায়ী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকে। তারা সমবয়সীদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে থাকে। যেহেতু অ–গাণিতিক কোর্সগুলোতে সৃজনশীল অ্যাসাইনমেন্ট এবং গ্রুপ ওয়ার্ক থাকে, তাই যে পুরুষেরা আরও আকর্ষণীয় তারা এই কোর্সগুলো বেশ ভালো করে থাকেন। আকর্ষণীয় ব্যক্তিদের মধ্যে আগে থেকেই সামাজিক দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বেশি থাকে।
মেহিক বলেন, ‘মানুষ কেন সৌন্দর্যের ভিত্তিতে বৈষম্য করে থাকে এর জবাব দেওয়া গবেষকদের জন্য বেশ কঠিন। হয়তো আমরা যখন আকর্ষণীয় কাউকে দেখি তখন আমরা তাঁর মধ্যে এমনসব বৈশিষ্ট্য আছে বলে ধরে নেই, যা আসলে তার মধ্যে নেই, যেমন, বুদ্ধিমত্তা। তবে এর কারণ বের করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।’
আকর্ষণীয় চেহারার শিক্ষার্থীরা উচ্চতর গ্রেড পেয়ে থাকেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। তবে নারী শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের এ সুবিধা কেবল সরাসরি ক্লাস নেওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে! গবেষণা বলছে, অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো গ্রেড পাওয়ার হার কমে যায়।
অনলাইন সংবাদমাধ্যম সাইপোস্টের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ‘স্টুডেন্ট বিউটি অ্যান্ড গ্রেডস আন্ডার ইন–পারসন অ্যান্ড রিমোট টিচিং’ শীর্ষক গবেষণাটি ইকোনমিক লেটার্স সাময়িকীতে ২০২২ সালের ৬ আগস্ট প্রকাশিত হয়।
অনেক গবেষণাতেই উঠে এসেছে, ব্যক্তির সাফল্যের পেছনে তার শারীরিক সৌন্দর্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। আকর্ষণীয় চেহারার মানুষ অর্থ বেশি উপার্জন করে। তারা কম আকর্ষণীয় চেহারার মানুষের তুলনায় জীবনের প্রতি বেশি তুষ্ট থাকেন। তবে সৌন্দর্যের এ সুবিধার পেছনে ঠিক কোন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে।
তবে একদল গবেষক বৈষম্যের ধারণার মাধ্যমে সৌন্দর্যের এ সুবিধা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। সহজাতভাবেই নিয়োগকর্তারা অনাকর্ষণীয় কর্মীদের তুলনায় আকর্ষণীয় চেহারার কর্মীদের বেশি সুবিধা দিয়ে থাকেন। আরেকটি গবেষণা বলছে, সৌন্দর্য এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মাধ্যমে তাকে আরও সৃষ্টিশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে।
সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও নতুন এ গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক অ্যাড্রিয়ান মেহিক বলেন, ‘আমি সাধারণত বৈষম্য নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। অর্থনীতি বিষয়ক গবেষণায় লিঙ্গ ও বর্ণভেদে বৈষম্যের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলেও শিক্ষার ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের ভিত্তিতে বৈষম্যের ওপর তেমন একটা গবেষণা করা হয়নি।’
অ্যাড্রিয়ান মেহিক আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় সৌন্দর্যের ভিত্তিতে বৈষম্য করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ শিক্ষকেরা সরাসরি শিক্ষার্থীর চেহারা দেখতে পারছিলেন না। এরপরও অনলাইনে লিঙ্গভেদে বৈষম্যের সম্ভাবনা থেকেই যায়, কারণ চেহারা না দেখা গেলেও সেখানে শিক্ষার্থীর নাম দেখা যায়।’
সৌন্দর্যের এ বৈষম্যমূলক সুবিধাকে ব্যাখ্যা করার জন্য মেহিক বাস্তব উপাত্তের ভিত্তিতে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষণার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডের ওপর সরাসরি ও অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর আকর্ষণীয় চেহারার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া অত্যন্ত কম থাকে। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে যেসব আকর্ষণ কাজ করে তাতে সৃষ্টিশীলতার প্রভাবই বেশি থাকে।
গবেষকেরা সুইডেনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিষয়ের পাঁচ শ্রেণির মোট ৩০৭ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা করোনা মহামারির সময় অনলাইন ক্লাস করেছেন। এ ক্ষেত্রে কোর্সগুলোর বিষয় একই থাকলেও লেকচার ও সেমিনারগুলো অনলাইনে পরিচালনা করা হয়।
অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ভিডিও অন রাখতে উৎসাহিত করা হলেও তা বাধ্যতামূলক ছিল না। প্রতিটি শিক্ষার্থীর শারীরিক সৌন্দর্যের মাত্রা নির্ধারণ করার জন্য মেহিক দৈবচয়নে ৭৪ জনকে বাছাই করেন। শিক্ষার্থীদের মুখ দেখে তাঁদের সৌন্দর্যের মাত্রার অনুযায়ী নম্বর দিয়েছেন।
ডেটা বিশ্লেষণের সময় মেহিক সরাসরি ক্লাসে সৌন্দর্যের কারণে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার প্রমাণ পান। সম্পূর্ণ অনলাইনে পরিচালনা করা অ–গাণিতিক কোর্সের (বাণিজ্য, অর্থনীতি) ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর গ্রেডের ওপর তাঁদের আকর্ষণীয় চেহারা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। তবে গাণিতিক কোর্সের (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান) ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রভাব পাওয়া যায়নি।
তবে এমনটাই হবে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন গবেষক। কারণ অ–গাণিতিক কোর্সগুলোতে নানা ধরনের অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশন যুক্ত থাকে এবং এগুলোতে শিক্ষার্থী–শিক্ষকের মিথস্ক্রিয়া বেশি হয়ে থাকে। আর গাণিতিক কোর্সগুলোতে গ্রেড সম্পূর্ণ চূড়ান্ত পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে।
তবে গবেষণায় দেখা যায়, অনলাইন ক্লাসে কেবল নারী শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এই সৌন্দর্যের কারণে সুবিধা পাওয়ার ধারণা অকার্যকর হয়ে যায়। অ–গাণিতিক কোর্সগুলোতে আকর্ষণীয় নারী শিক্ষার্থীদের গ্রেড উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। কিন্তু পুরুষ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনটির লেখক বলেন, এ বৈষম্য থেকে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য সুবিধার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। অনলাইন ক্লাসে তাদের মধ্যে আর উচ্চ গ্রেড পাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় না। তবে শিক্ষক–শিক্ষার্থী মিথস্ক্রিয়া কম থাকা সত্ত্বেও আকর্ষণীয় পুরুষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চ গ্রেড পাওয়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য সৌন্দর্য সৃষ্টিশীলতা বর্ধনকারী একটি বৈশিষ্ট্য।
মেহিক বলেন, ‘এ গবেষণার মূল বিষয় হলো—সরাসরি ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থী উভয়ই সৌন্দর্যের সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তবে ক্লাস অনলাইনে চলে গেলেই নারীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। অন্তত আমার কাছে মনে হয়, পুরুষ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের জন্য নয় বরং তাদের সৃষ্টিশীল বৈশিষ্ট্যের কারণে সৌন্দর্য সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে তারা সৃষ্টিশীল হয়ে থাকেন। আর আকর্ষণীয় নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য সুবিধা পাওয়ার জন্য বৈষম্যই কাজ করে।’
মেহিক বলেন, ‘অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার পরও পুরুষ শিক্ষার্থীরা ভালো করছে দেখে আমি বেশ অবাক হয়েছি।’ গবেষণা প্রতিবেদনটিতে মেহিক শারীরিক সৌন্দর্য কেন পুরুষ শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীলতা বাড়াতে পারে তার বিভিন্ন কারণ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এর একটি কারণ হলো, শারীরিকভাবে আকর্ষণীয় মানুষেরা বেশি অধ্যবসায়ী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকে। তারা সমবয়সীদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে থাকে। যেহেতু অ–গাণিতিক কোর্সগুলোতে সৃজনশীল অ্যাসাইনমেন্ট এবং গ্রুপ ওয়ার্ক থাকে, তাই যে পুরুষেরা আরও আকর্ষণীয় তারা এই কোর্সগুলো বেশ ভালো করে থাকেন। আকর্ষণীয় ব্যক্তিদের মধ্যে আগে থেকেই সামাজিক দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বেশি থাকে।
মেহিক বলেন, ‘মানুষ কেন সৌন্দর্যের ভিত্তিতে বৈষম্য করে থাকে এর জবাব দেওয়া গবেষকদের জন্য বেশ কঠিন। হয়তো আমরা যখন আকর্ষণীয় কাউকে দেখি তখন আমরা তাঁর মধ্যে এমনসব বৈশিষ্ট্য আছে বলে ধরে নেই, যা আসলে তার মধ্যে নেই, যেমন, বুদ্ধিমত্তা। তবে এর কারণ বের করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।’
আমাদের অনেকেরই অফিসে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। আর দিনের একটা বড় সময় বসে থাকাটা বাড়ায় হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি। এমনকি অবসর সময়ে শরীরচর্চা করেও এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মিলবে না। এসব তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
৩ দিন আগেবিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
৮ দিন আগেটয়লেটে ফোন নিয়ে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এমনও হতে আপনি হয়তো টয়লেটে বসেই মোবাইলে লেখাটি পড়ছেন। শৌচাগারে যে কাজটি ৩ মিনিটে করা সম্ভব সেটি কিছু পড়া, স্ক্রল এবং পোস্ট করে অন্তত ১৫ মিনিট পার করে দিচ্ছেন অনায়াসে। আপাতদৃষ্টিতে এটি সময় কাটানোর নির্দোষ উপায় মনে হলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি আপনার স্বাস্থ্যের
৮ দিন আগেসৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস ও এর পাঁচটি চাঁদ সম্পর্কে নতুন তথ্য জানাল বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহ ও এর চাঁদগুলো একেবারে নিষ্প্রাণ নয়, বরং ইউরেনাসের চাঁদগুলোতে সমুদ্র থাকতে পারে। ফলে চাঁদগুলোয় জীবন ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগে