Ajker Patrika

আফগানদের অপেক্ষায় রেখে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
লাহোরে বৃষ্টি আসার আগে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের কক্ষপথেই রেখেছিলেন ট্রাভিস হেড। ছবি: এএফপি
লাহোরে বৃষ্টি আসার আগে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের কক্ষপথেই রেখেছিলেন ট্রাভিস হেড। ছবি: এএফপি

সেমিফাইনালে উঠতে দুই দলের জন্যই এটি ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। তবে শুরু হয়েও বৃষ্টির কারণে এই লড়াই শেষ না হওয়ায় আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ চারে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ বাতিল হওয়ায় এক পয়েন্ট পাওয়া আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও তা অনেক ‘যদি’, ‘কিন্তু’র ওপর নির্ভর করছে।

২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথু শর্ট ও ট্রাভিস হেড মিলে তুলাধুনা করতে থাকেন আফগান বোলারদের। শর্টের ঝড় যদিও থেমে যায় অল্পতেই। ১৫ বলে ২০ রানে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হন তিনি। এর আগে হেডকে সরানোর সুযোগও ছিল আফগানদের সামনে। মিড অনে সহজ ক্যাচটি নিতে পারেননি রশিদ খান। তাঁর প্রতিক্রিয়া যেন বলে দিচ্ছিল, ম্যাচই ফেলে দিয়েছেন তিনি।

নতুন জীবন পেয়ে হেড তা কাজে লাগান ভালোভাবে। তাঁর ব্যাটে লক্ষ্যের পথে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বাধ সাধে বৃষ্টি। ১২.৫ ওভারে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ গেলে আর তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় দুই দলই পেয়েছে ১ পয়েন্ট করে। তাতে মোট ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া। এই গ্রুপে এখন দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান—দুই দলেরই পয়েন্ট ৩। অস্ট্রেলিয়ার পরে এই গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে কারা সেমিফাইনালে যাবে, সেটা নির্ভর করছে আজকের দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ম্যাচের ফলাফলের ওপর। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে তারাই চলে যাবে সেমিতে। হারলে নেট রানরেটের হিসাব হবে আফগানিস্তানের সঙ্গে।

লক্ষ্য তাড়ায় গতকাল বৃষ্টি আসার আগে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। হেড ৫৯ ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান করেছে আফগানরা। এ ম্যাচেও টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। ইংল্যান্ড ম্যাচের নায়ক ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে প্রত্যাশা থাকলেও এবার ২২ রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁর আগে প্রথম ওভারে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে বোল্ড করে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন স্পেন্সার জনসন। দ্বিতীয় উইকেটে সেদিকুল্লাহ আতালকে নিয়ে ৬৭ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম। তাঁকে ফেরান অ্যাডাম জাম্পা। রহমত শাহ অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

তবে চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে নিয়ে ৬৮ রানের জুটি গড়েন আতাল। মারকুটে এই ব্যাটার দারুণ খেললেও সাজঘরে ফিরতে হয় সেঞ্চুরির আগেই। জনসনের বল কাভারে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্টিভেন স্মিথের কাছে। ৯৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৫ রানে আউট হন তিনি।

মাঝের ওভারে অবশ্য ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানরা। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রাখেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তাঁর ৬৩ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৭ রানে আড়াই শ পেরিয়ে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে আফগানরা। দারুণ এই ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪৭ রান খরচে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন বেন ডারশুইস। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট নেন জনসন ও জাম্পা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত