ক্রীড়া ডেস্ক
প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে এসে আফগানিস্তান রীতিমতো চমকে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জিতে যায় আফগানরা। সেই আফগানদের সামনে সুযোগ ছিল ইতিহাসকে নতুন মাত্রা দেওয়ার। তবে সেটা প্রোটিয়ারা হতে দিলে তো!
শারজায় গতকাল সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেটা ছিল আফগানিস্তানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশের মঞ্চ। সেই লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদি। তবে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ৮৯ রানের ইনিংস ছাড়া বলার মতো আর কিছুই ছিল না আফগানদের ইনিংসে। ৩৪ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানরা। রান তাড়া করতে নেমে ৩৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭০ রান করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭ উইকেটে জিতে প্রোটিয়ারা মুখ রক্ষা করল। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মতো একটি বিব্রতকর রেকর্ড থেকে বেঁচে গেল। কারণ টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোকে তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আফগানিস্তান ধবলধোলাই করেছে সাতবার, যার মধ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল আফগানরা।
এত দিন আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার দেখা হতো শুধু আইসিসি ইভেন্টেই। এবারের সিরিজের আগে ( ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ) ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলে পাঁচবার দল দুটি মুখোমুখি হয়েছিল। প্রতিবারই হেরেছিল আফগানরা। সেখানে এবার প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে চমক দেখায় আফগানরা। ৬ উইকেট ও ১৭৭ রানের জয় আফগানরা পায় প্রথম দুই ওয়ানডেতে। যেখানে ১৭৭ রানের জয়টি আফগানিস্তানের ওয়ানডেতে রানের হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। প্রথম ওয়ানডেতে তো প্রোটিয়াদের ১০৬ রানে গুটিয়ে ১৪৪ বল হাতে রেখে জেতে আফগানরা।
এবার আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচই হয়েছিল শারজাহে। একই মাঠে গতকাল প্রোটিয়াদের হারাতে পারলে তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে টেস্ট খেলুড়ে দলকে আটবার ধবলধোলাইয়ের স্বাদ উপহার দিত আফগানরা। সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও ধ্বনিত হয়েছে শাহিদির কণ্ঠে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘সিরিজটা জিতে ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে এটা দারুণ ছিল এবং অনেক কিছু শেখারও ছিল এখান থেকে। আরও খুশি হতাম যদি এই ম্যাচটা জিততে পারতাম।’
তিন ম্যাচের সিরিজে টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোকে ধবলধোলাইয়ের বেশির ভাগই আফগানিস্তান করেছে তুলনামূলক দুর্দান্ত প্রতিপক্ষকে। এই তালিকায় আফগানরা তিনবার করে ধবলধোলাই করেছেন আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে, যার শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। সবশেষ ঘটনা ২০২২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজে সর্বোচ্চ ম্যাচ আফগানিস্তান জিতেছে ২০১৮ সালে। সেবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল আফগানরা। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানদের সব মিলিয়ে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয়ের ঘটনা ৩টি। ২০১৯ সালে বৃষ্টিবিঘ্নিত চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে ২২৪ রানে হারিয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজটি জেতে আফগানরা। এই বাংলাদেশে এসেই গত বছর ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল আফগানরা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আফগানরা ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে।
টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোকে আফগানিস্তানের ধবলধোলাই
প্রতিপক্ষ সিরিজের ফল সংস্করণ সাল
আয়ারল্যান্ড ৩-০ টি-টোয়েন্টি ২০১৭
বাংলাদেশ ৩-০ টি-টোয়েন্টি ২০১৮
আয়ারল্যান্ড ৩-০ টি-টোয়েন্টি ২০১৯
আয়ারল্যান্ড ৩-০ ওয়ানডে ২০২১
জিম্বাবুয়ে ৩-০ টি-টোয়েন্টি ২০২১
জিম্বাবুয়ে ৩-০ ওয়ানডে ২০২২
জিম্বাবুয়ে ৩-০ টি-টোয়েন্টি ২০২২
*তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ
*২০২৪-এর ২২ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ওয়ানডে
প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে এসে আফগানিস্তান রীতিমতো চমকে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জিতে যায় আফগানরা। সেই আফগানদের সামনে সুযোগ ছিল ইতিহাসকে নতুন মাত্রা দেওয়ার। তবে সেটা প্রোটিয়ারা হতে দিলে তো!
শারজায় গতকাল সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেটা ছিল আফগানিস্তানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশের মঞ্চ। সেই লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদি। তবে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ৮৯ রানের ইনিংস ছাড়া বলার মতো আর কিছুই ছিল না আফগানদের ইনিংসে। ৩৪ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানরা। রান তাড়া করতে নেমে ৩৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭০ রান করে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭ উইকেটে জিতে প্রোটিয়ারা মুখ রক্ষা করল। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মতো একটি বিব্রতকর রেকর্ড থেকে বেঁচে গেল। কারণ টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোকে তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আফগানিস্তান ধবলধোলাই করেছে সাতবার, যার মধ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল আফগানরা।
এত দিন আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার দেখা হতো শুধু আইসিসি ইভেন্টেই। এবারের সিরিজের আগে ( ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ) ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলে পাঁচবার দল দুটি মুখোমুখি হয়েছিল। প্রতিবারই হেরেছিল আফগানরা। সেখানে এবার প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে চমক দেখায় আফগানরা। ৬ উইকেট ও ১৭৭ রানের জয় আফগানরা পায় প্রথম দুই ওয়ানডেতে। যেখানে ১৭৭ রানের জয়টি আফগানিস্তানের ওয়ানডেতে রানের হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। প্রথম ওয়ানডেতে তো প্রোটিয়াদের ১০৬ রানে গুটিয়ে ১৪৪ বল হাতে রেখে জেতে আফগানরা।
এবার আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচই হয়েছিল শারজাহে। একই মাঠে গতকাল প্রোটিয়াদের হারাতে পারলে তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে টেস্ট খেলুড়ে দলকে আটবার ধবলধোলাইয়ের স্বাদ উপহার দিত আফগানরা। সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও ধ্বনিত হয়েছে শাহিদির কণ্ঠে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘সিরিজটা জিতে ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে এটা দারুণ ছিল এবং অনেক কিছু শেখারও ছিল এখান থেকে। আরও খুশি হতাম যদি এই ম্যাচটা জিততে পারতাম।’
তিন ম্যাচের সিরিজে টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোকে ধবলধোলাইয়ের বেশির ভাগই আফগানিস্তান করেছে তুলনামূলক দুর্দান্ত প্রতিপক্ষকে। এই তালিকায় আফগানরা তিনবার করে ধবলধোলাই করেছেন আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে, যার শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। সবশেষ ঘটনা ২০২২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজে সর্বোচ্চ ম্যাচ আফগানিস্তান জিতেছে ২০১৮ সালে। সেবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল আফগানরা। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানদের সব মিলিয়ে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয়ের ঘটনা ৩টি। ২০১৯ সালে বৃষ্টিবিঘ্নিত চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে ২২৪ রানে হারিয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজটি জেতে আফগানরা। এই বাংলাদেশে এসেই গত বছর ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল আফগানরা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আফগানরা ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে।
টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোকে আফগানিস্তানের ধবলধোলাই
প্রতিপক্ষ সিরিজের ফল সংস্করণ সাল
আয়ারল্যান্ড ৩-০ টি-টোয়েন্টি ২০১৭
বাংলাদেশ ৩-০ টি-টোয়েন্টি ২০১৮
আয়ারল্যান্ড ৩-০ টি-টোয়েন্টি ২০১৯
আয়ারল্যান্ড ৩-০ ওয়ানডে ২০২১
জিম্বাবুয়ে ৩-০ টি-টোয়েন্টি ২০২১
জিম্বাবুয়ে ৩-০ ওয়ানডে ২০২২
জিম্বাবুয়ে ৩-০ টি-টোয়েন্টি ২০২২
*তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ
*২০২৪-এর ২২ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ওয়ানডে
টি-টোয়েন্টিতে ২০২৪ সাল ভারতের কেটেছে অসাধারণ। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ টেস্টেও তাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। তবে বছরের শেষভাগে এসে টেস্টে হোঁচট খাচ্ছে এশিয়ার দলটি। সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে এসেও বেকায়দায় পড়েছে ভারত।
১৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ দল অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে আজ। টেস্ট শুরুর আগেই গত রাতে একাদশ ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে আলোচনা। কদিন আগে শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হবেন তিনি। কিন্তু সূত্র জানিয়েছে, পিটার বাটলার মেয়েদের কোচ হিসেবেই থাকছেন।
১ ঘণ্টা আগেটেস্ট ক্যারিয়ারের ফিফটির ম্যাচেই নেতৃত্ব দেবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এর চেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত মিরাজের জন্য আর কী হতে পারে! মিরাজও অ্যান্টিগায় গতকাল যখন সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন, তাঁকে দেখেই বোঝা গেছে এমন রোমাঞ্চ তাঁকে কতটা স্পর্শ করেছে।
২ ঘণ্টা আগে