যুক্তরাজ্যে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হতে চলা নতুন ইন্টারনেট আইনের জন্য গুগল ,মেটাসহ বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে প্রতি বছর ৭০ মিলিয়ন বা ৭ কোটি পাউন্ড ফি আরোপ করা হবে। দেশটির যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অফকম বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে।
অফকম তাদের একটি পরামর্শে জানিয়েছে যে, বড় ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোর বিশ্বব্যাপী আয়ের ওপর একটি লেভি বা মাশুল আরোপ করার পরিকল্পনা করছে, যাতে নতুন ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট’ বাস্তবায়নের অতিরিক্ত খরচ মেটানো যায়। অফকমের অনুমান অনুযায়ী, এই খরচ বছরে মিলিয়ন পাউন্ড হতে পারে।
প্রায় ২০টি কোম্পানি আয়ের সীমা পূরণ করবে বলে মনে করছে অফকম। বড় বড় টেক কোম্পানিগুলোর আয়ের একটি ছোট অংশ হিসেবে আদায় করা হবে। এই চার্জটি হবে তাদের বিশ্বব্যাপী আয়ের দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা ‘যোগ্য বিশ্বব্যাপী আয়’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অফকম অনুমান করেছে, সবচেয়ে বড় পাঁচটি কোম্পানি–সম্ভবত মেটা, গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যাপল এবং টিকটক–এই ‘যোগ্য আয়’-এর প্রায় ৯১ শতাংশ দেবে। অর্থাৎ এই খরচের বেশির ভাগটাই তারা বহন করবে। অর্থাৎ বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হতে পারে।
২০২৬ সালে এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা রয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হলো—অনলাইন সেফটি অ্যাক্টের মূল উদ্দেশ্য। এই আইন জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে। আইন অনুসারে, কিছু প্রাপ্তবয়স্ক সাইটে বয়স যাচাইয়ের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হবে।
এরপর মার্চ থেকে আরও অনেক সাইট (যেমন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সার্চ ইঞ্জিন) অবৈধ ক্ষতি (যেমন অপব্যবহার, মিথ্যা তথ্য, বা অনলাইনে ক্ষতিকর কনটেন্ট) রোধে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হবে।
এই ফি ব্রিটেনে পরিচালিত বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে। এই কোম্পানিগুলো থেকে ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যের বিক্রয়ের ওপর ২ শতাংশ ডিজিটাল সেবা কর আদায় করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে গত বছর যুক্তরাজ্য মোট ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড ফি সংগ্রহ করেছে।
অফকম জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি আয় অর্জনকারী কোম্পানিগুলোই এই লেভি দিতে হবে এবং যারা বছরে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের নিচে আয় করবে তারা এই চার্জ থেকে মুক্ত থাকবে।
যদিও এই ফি বড় টেক কোম্পানির আয়ের তুলনায় একটি ছোট পরিমাণ। তবে আইনটির বাস্তবায়ন একটি বিতর্কিত বিষয়ে পরিণত হতে পারে। গত ডিসেম্বরেই কিছু ছোট কোম্পানি বলেছিল, এই আইন মেনে চলার জন্য তারা তাদের সাইট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।
এ ছাড়া, এই আইন বাস্তবায়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ এক্স প্ল্যাটফর্মের মালিক ও ট্রাম্পের সমর্থন ইলন মাস্ক এ আইনটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কম্পিউটার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের মেথিউ সিনক্লেয়ার বলেছেন, ‘সঠিকভাবে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং বিনিয়োগকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি সুযোগ হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। নতুন আইন প্রণয়ন সম্পর্কে যারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাদের উচিত এমন পদক্ষেপ নেওয়া যা প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবন ও উন্নতির প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে আনে।
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে অফকম।
তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
যুক্তরাজ্যে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হতে চলা নতুন ইন্টারনেট আইনের জন্য গুগল ,মেটাসহ বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে প্রতি বছর ৭০ মিলিয়ন বা ৭ কোটি পাউন্ড ফি আরোপ করা হবে। দেশটির যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অফকম বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে।
অফকম তাদের একটি পরামর্শে জানিয়েছে যে, বড় ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোর বিশ্বব্যাপী আয়ের ওপর একটি লেভি বা মাশুল আরোপ করার পরিকল্পনা করছে, যাতে নতুন ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট’ বাস্তবায়নের অতিরিক্ত খরচ মেটানো যায়। অফকমের অনুমান অনুযায়ী, এই খরচ বছরে মিলিয়ন পাউন্ড হতে পারে।
প্রায় ২০টি কোম্পানি আয়ের সীমা পূরণ করবে বলে মনে করছে অফকম। বড় বড় টেক কোম্পানিগুলোর আয়ের একটি ছোট অংশ হিসেবে আদায় করা হবে। এই চার্জটি হবে তাদের বিশ্বব্যাপী আয়ের দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা ‘যোগ্য বিশ্বব্যাপী আয়’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অফকম অনুমান করেছে, সবচেয়ে বড় পাঁচটি কোম্পানি–সম্ভবত মেটা, গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যাপল এবং টিকটক–এই ‘যোগ্য আয়’-এর প্রায় ৯১ শতাংশ দেবে। অর্থাৎ এই খরচের বেশির ভাগটাই তারা বহন করবে। অর্থাৎ বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হতে পারে।
২০২৬ সালে এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা রয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হলো—অনলাইন সেফটি অ্যাক্টের মূল উদ্দেশ্য। এই আইন জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে। আইন অনুসারে, কিছু প্রাপ্তবয়স্ক সাইটে বয়স যাচাইয়ের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হবে।
এরপর মার্চ থেকে আরও অনেক সাইট (যেমন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সার্চ ইঞ্জিন) অবৈধ ক্ষতি (যেমন অপব্যবহার, মিথ্যা তথ্য, বা অনলাইনে ক্ষতিকর কনটেন্ট) রোধে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হবে।
এই ফি ব্রিটেনে পরিচালিত বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে। এই কোম্পানিগুলো থেকে ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যের বিক্রয়ের ওপর ২ শতাংশ ডিজিটাল সেবা কর আদায় করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে গত বছর যুক্তরাজ্য মোট ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ড ফি সংগ্রহ করেছে।
অফকম জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি আয় অর্জনকারী কোম্পানিগুলোই এই লেভি দিতে হবে এবং যারা বছরে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের নিচে আয় করবে তারা এই চার্জ থেকে মুক্ত থাকবে।
যদিও এই ফি বড় টেক কোম্পানির আয়ের তুলনায় একটি ছোট পরিমাণ। তবে আইনটির বাস্তবায়ন একটি বিতর্কিত বিষয়ে পরিণত হতে পারে। গত ডিসেম্বরেই কিছু ছোট কোম্পানি বলেছিল, এই আইন মেনে চলার জন্য তারা তাদের সাইট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।
এ ছাড়া, এই আইন বাস্তবায়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ এক্স প্ল্যাটফর্মের মালিক ও ট্রাম্পের সমর্থন ইলন মাস্ক এ আইনটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কম্পিউটার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের মেথিউ সিনক্লেয়ার বলেছেন, ‘সঠিকভাবে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং বিনিয়োগকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি সুযোগ হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। নতুন আইন প্রণয়ন সম্পর্কে যারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাদের উচিত এমন পদক্ষেপ নেওয়া যা প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবন ও উন্নতির প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে আনে।
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে অফকম।
তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে ডট বাংলা ডোমেইনে ই-মেইলের ব্যবহার। আজ মঙ্গলবার ইউনিভার্সেল অ্যাকসেপটেন্স দিবস-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন) এর ব্যবহার শুরু করে। এ দিন ‘বিটিআরসি. বাংলা’ ডোমেইনে নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং ইমেইল অ্যাপ্লিকেশন উদ্বোধন করেন বিটিআরসি...
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার ইংরেজি সংস্করণে আর্টিকেল বা নিবন্ধের সংখ্যা ৭০ লাখের কাছাকাছি। তবে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্করণটি ফরাসি, স্প্যানিশ বা চীনা ভাষায় নয়—এটি ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে প্রচলিত স্থানীয় ভাষা সেবুয়ানোয় লেখা হয়েছে। এই সংস্করণের নিবন্ধসংখ্যা ৬০ লাখেরও বেশি।
৫ ঘণ্টা আগেসর্বশেষ উইন্ডোজ ১১ আপডেটের পর একটি ‘রহস্যময়’ খালি ফোল্ডার দেখতে পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। ফোল্ডারে কিছু না থাকলেও তা ডিলিট করতে মানা করছে মাইক্রোসফট। কারণ এটি উইন্ডোজের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা আপডেটের অংশ।
৭ ঘণ্টা আগেমাত্র তিন মাস আগে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল আর ১ উন্মোচন করে চীনের কোম্পানি ডিপসিক। এরই মধ্যে মডেলটি বিভিন্ন সেবা ও পণ্যে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা করেছে। বিশেষ করে চীনে দেশপ্রেম ও প্রযুক্তিগত আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠেছে এই মডেল। তবে সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক দিক হলো—চীন সরকারের নজরদারি...
৮ ঘণ্টা আগে