চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া থেকে প্রায় তিন ফুট উচ্চতার বিরল প্রজাতির একটি মদনটাক পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার একদিলতোলা গ্রাম থেকে পাখিটিকে উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন ও একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্যরা।
প্রতিবছরই চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া থেকে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় ছোট-বড় মাছ আহরণ করা হয়। এ মাছের একটি বড় অংশ অবিক্রীত থেকে যায়। এই অবিক্রীত মাছ থেকেই তৈরি হয় শুঁটকি। আর ক্রমেই সিংড়ার মিঠা পানির মাছের শুঁটকির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে মানুষের। এখন বেশ চড়া দামেই এসব শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে। সিংড়ায় চারটি চাতাল ও
একেক ঋতুতে তার সৌন্দর্যে যোগ হয় একেক রং। শীতে যেমন ঘন সবুজ আর হলুদ, বর্ষায় তেমনি রুপালি। গ্রীষ্ম আর শীতে ফসলের সমারোহ দেখে বোঝার উপায় নেই, বর্ষায় ঢেউয়ের পর ঢেউ আছড়ে পড়ে তীরে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ বিল চলনবিল। পাবনা, বগুড়া, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলা নিয়ে বিলটি অবস্থিত। বর্ষা মৌসুমে এই বিলে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। আর এসব অঞ্চলের জেলেরা মাছ ধরে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
মৎস্যভান্ডার খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভরা মৌসুমেও দেশীয় প্রজাতির মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। সাধারণত বর্ষার শেষে আশ্বিন-কার্তিক মাসে প্রচুর দেশি জাতের মাছ ধরা পড়ে; কিন্তু এ বছর চাহিদা অনুযায়ী মাছ ধরা না পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শুঁটকির চাতাল মালিকেরা।
নাটোরের গুরুদাসপুরের আত্রাই, নন্দকুঁজা ও গুমানী নদীতে ভেসে উঠছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। এসব পোনা ধরে বাজারে বিক্রি করছেন নদীপারের লোকজন। এর মধ্যে কিছু মরে যাওয়া পোনা পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল চলনবিল। রাজশাহী, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার অংশবিশেষ জুড়ে এর অবস্থান। এ বিল বিভিন্ন জলখাত দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত ছোট-বড় অনেকগুলো বিলের সমষ্টি। বর্ষাকালে তা প্রায় ৩৬৮ বর্গ কিমি বিস্তৃত একটি জলরাশিতে পরিণত হয়। ‘হাঁটতে থাকা মানুষের গান’ উপন্যাসজুড়ে ঔপন্যাসিক জাকির তালুকদার চলনবিলের
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ বড়াল নদীতে অপরিকল্পিতভাবে সুইসগেট নির্মাণ, অবৈধ স্থাপনা, পানি দূষণ ও দখলদারের কারণে এখন তা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এভাবেই বাংলাদেশের
ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে ও চলনবিলের কৃষি, খাল বিল, নদী-নালা পুনরুদ্ধারে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১টার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে সভাটির আয়োজন করে।
চলনবিলে শিকারির কিল্লা ঘরের ফাঁদ থেকে রক্ষা পেল বিভিন্ন প্রজাতির ১০১টি পাখি। উদ্ধারকৃত পাখিগুলো সকাল সাড়ে ১০টায় চলনবিল গেট এলাকার একটি পাখি কলোনিতে অবমুক্ত করা হয়।
বিশাল বিলের বুকজুড়ে জলরাশি। সেই জলের ঢেউ দোলা দিয়ে যায় হৃদয়ে। কিংবা নৌকায় বসে ঝিরিঝিরি হাওয়ায় উদাসী হয় মন। ইচ্ছে করে বিলের পানিতে নেমে পা ভেজাতে। বিলের পানিতে সূর্যাস্তের দৃশ্য নিয়ে যায় ভালো লাগার অন্য জগতে
চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চলতি বছরের প্রথমদিকে বন্যার পানি বেড়ে গিয়েছিল। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় গত ১ মাসে ফসলের মাঠ চাষের উপযোগী হয়ে উঠেছে। এসব জমি প্রস্তুত করতে এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন কৃষকেরা।