Ajker Patrika

লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত-চীন উত্তেজনা নিরসনে আলোচনা 

লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত-চীন উত্তেজনা নিরসনে আলোচনা 

কাশ্মীরের লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কের উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনা চলছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে, পূর্ব লাদাখের বেশ কিছু জায়গায় ভারতীয় ও চীনা বাহিনী সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। পরে ব্যাপক কূটনৈতিক ও সামরিক সংলাপের মাধ্যমে দুপক্ষ কিছু এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধির জেসওয়াল বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবারই জানা। আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। তবে, আমরা সামরিক এবং কূটনৈতিক উভয় দিকেই সংলাপ করেছি।’

গত অক্টোবর ও নভেম্বর ভারত এ চীনের মধ্যে সংঘটিত হওয়া সর্বশেষ সামরিক ও কূটনৈতিক আলাপ নিয়েও কথা বলেন জেসওয়াল। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো একসঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করা যেন কোনো সমাধান বেরিয়ে আসে।’

গত ৯ ও ১০ অক্টোবর সামরিক আলোচনায় এ দুই পক্ষ ওয়েস্টার্ন সেক্টরের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (এলএসি) বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে জিইয়ে থাকা সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য উন্মুক্ত ও গঠনমূলক আলোচনা করে। ভারত সরকার পূর্ব লাদাখকে ‘ওয়েস্টার্ন সেক্টর’ বলে চিহ্নিত করে। 

জেসওয়াল বলেন, গত ৩০ নভেম্বরের কূটনৈতিক সংলাপে দুই পক্ষ গভীর ও গঠনমূলক আলোচনা করে। পূর্ব লাদাখে সামরিক সংঘাত থেকে পূর্ণবিরতির প্রস্তাবনাই ছিল এ আলোচনার মূল বিষয়। 

সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি স্থাপন ছাড়া চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না বলে ভারত বরাবরই বলে আসছে। ২০২০ সালের ৫ মে ভারত–চীন সীমান্তে অবস্থিত প্যাঙ্গং হ্রদ এলাকায় ভয়াবহ সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখ সীমান্তে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

পরে জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কে আরও অবনতি ঘটে। গত কয়েক দশকে দুই পক্ষে সংঘটিত সামরিক সংঘাতের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ছিল এটি।

ধারাবাহিক সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার পর ২০২১ সালে প্যাঙ্গং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীরে এবং গোগরা এলাকায় এ দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত