খান রফিক, বরিশাল
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সাত দিনে পার হলেও জেলে নামধারী ‘সশস্ত্র দস্যুদের’ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বরিশালের নদ-নদীতে একের পর এক মার খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে জেলার মেঘনায় ঘেরা হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে নির্বিচার মা ইলিশ নিধন চলছে। রাত হলেই দুর্বৃত্তরা একসঙ্গে ৪০-৫০ জন ট্রলারে চড়ে হামলা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। গত দুই দিনে এমন অন্তত তিনটি ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলায় অন্তত দুই ডজন স্পট ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্পটে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের শেল্টারে ইলিশ নিধন করছে জেলেরা। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযান জোরদার করলেও দস্যুরা শাখা নদীতে ঢুকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, আগুন নিক্ষেপ এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় হিজলার ধুলখোলা ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে প্রশাসনের অভিযানকালে হাইমচর, রায়পুর ও হিজলার মিলিত স্থান মেঘনা নদীতে প্রশাসনের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সদস্য, কোস্ট গার্ড ও উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের নিয়ে যৌথ অভিযান চলাকালে হঠাৎ মধ্যরাতে তিনটি ফাইটার বোটে ৪০-৫০ জন দস্যু এ হামলা চালায়। তারা ইটপাটকেল ও আগুন নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় তাদের তিনটি বোটের ক্ষতি হয় এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। অবশ্য ঘটনাস্থল থেকে ৩৫ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৩৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরবদী ইউপির ওরাকল, জানপুর নামক স্থানে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন র্যাব ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় ১১ জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয় তথ্যমতে, হিজলার অন্তত এক ডজন স্পটে মা ইলিশ নিধনের মহোৎসব চলছে; বিশেষ করে হিজলা-গৌরবদী ইউপির জানপুর ৩ নম্বর ঘাট, চরকিল্লা বাজারসংলগ্ন মেঘনা, জানপুর সাতপাড়া, পুরাতন হিজলা মন্দিরসংলগ্ন, অন্তর্বাম, উরাকুল, ধুলখোলা ইউপির ৭ নম্বর ঘাট, ধুলখোলা রাস্তার মাথা, ধুলখোলার আলীগঞ্জ, বড়জালিয়া ইউপির বোম্বাই শহর, প্রেমবাজার নদীর পাড়, বাউশিয়া মাছঘাট এলাকায় রাত নামলেই ট্রলারে করে মাছ ধরছে জেলেরা। তবে এসব স্থানে যখন প্রশাসন অভিযান চালায়, তখন জেলেরা শক্তিশালী ট্রলারে করে শাখা নদীতে প্রবেশ করে। অভিযোগ রয়েছে, ৫ আগস্টের পর হিজলার সব মাছঘাট বিএনপি নেতারা দখল করায় তাঁদের ইশারায় চলছে ইলিশ নিধন।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজিব রায় বলেন, ‘তারা কয়েকটি দলে যুক্ত হয়ে রামদা, লোহার রড নিয়ে হামলা করে। রাতে বড় ট্রলার নিয়ে বেশি তৎপরতা দেখায়। তাদের পাঁচটি টিম এখন মেঘনায় রয়েছে। এর আগে প্রশাসন ও র্যাবের ওপর দুই দফায় হামলা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন মেঘনা দস্যুমুক্ত করতে।’
এদিকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মেহেন্দীগঞ্জের চিত্রও একই। সেখানকার কালাবদর, মেঘনা, গজারিয়া নদীতে মা ইলিশ নিধন চলছে দেদার। প্রশাসন দেখলে জেলেরা হামলা করছে। বিশেষ করে কালাবদরের দড়িরচর খাজুরিয়া এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দস্যুরা। সেখানেও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রচ্ছায়ায় ইলিশ নিধনের অভিযোগ রয়েছে। দড়িরচর খাজুরিয়া ছাড়াও উলানিয়া দক্ষিণের মেঘনা নদীর শাখায়, শ্রীপুর ও বাউশিয়ায় মা ইলিশ নিধন চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে গত শুক্রবার সকালে উপজেলার কাজিরহাট থানার ঘোড়াঘাট এলাকায় গজারিয়া নদীর পাড়ে ইলিশ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে আহত হন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল মীরসহ সাত-আটজন।
সার্বিক বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস একাধিক হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, এর মধ্যেই তাঁদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে যৌথ অভিযানে সাত-আটটি টিম তৎপর রয়েছে।
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সাত দিনে পার হলেও জেলে নামধারী ‘সশস্ত্র দস্যুদের’ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বরিশালের নদ-নদীতে একের পর এক মার খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে জেলার মেঘনায় ঘেরা হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে নির্বিচার মা ইলিশ নিধন চলছে। রাত হলেই দুর্বৃত্তরা একসঙ্গে ৪০-৫০ জন ট্রলারে চড়ে হামলা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। গত দুই দিনে এমন অন্তত তিনটি ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলায় অন্তত দুই ডজন স্পট ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্পটে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের শেল্টারে ইলিশ নিধন করছে জেলেরা। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযান জোরদার করলেও দস্যুরা শাখা নদীতে ঢুকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, আগুন নিক্ষেপ এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় হিজলার ধুলখোলা ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে প্রশাসনের অভিযানকালে হাইমচর, রায়পুর ও হিজলার মিলিত স্থান মেঘনা নদীতে প্রশাসনের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সদস্য, কোস্ট গার্ড ও উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের নিয়ে যৌথ অভিযান চলাকালে হঠাৎ মধ্যরাতে তিনটি ফাইটার বোটে ৪০-৫০ জন দস্যু এ হামলা চালায়। তারা ইটপাটকেল ও আগুন নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় তাদের তিনটি বোটের ক্ষতি হয় এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। অবশ্য ঘটনাস্থল থেকে ৩৫ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৩৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরবদী ইউপির ওরাকল, জানপুর নামক স্থানে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন র্যাব ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় ১১ জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয় তথ্যমতে, হিজলার অন্তত এক ডজন স্পটে মা ইলিশ নিধনের মহোৎসব চলছে; বিশেষ করে হিজলা-গৌরবদী ইউপির জানপুর ৩ নম্বর ঘাট, চরকিল্লা বাজারসংলগ্ন মেঘনা, জানপুর সাতপাড়া, পুরাতন হিজলা মন্দিরসংলগ্ন, অন্তর্বাম, উরাকুল, ধুলখোলা ইউপির ৭ নম্বর ঘাট, ধুলখোলা রাস্তার মাথা, ধুলখোলার আলীগঞ্জ, বড়জালিয়া ইউপির বোম্বাই শহর, প্রেমবাজার নদীর পাড়, বাউশিয়া মাছঘাট এলাকায় রাত নামলেই ট্রলারে করে মাছ ধরছে জেলেরা। তবে এসব স্থানে যখন প্রশাসন অভিযান চালায়, তখন জেলেরা শক্তিশালী ট্রলারে করে শাখা নদীতে প্রবেশ করে। অভিযোগ রয়েছে, ৫ আগস্টের পর হিজলার সব মাছঘাট বিএনপি নেতারা দখল করায় তাঁদের ইশারায় চলছে ইলিশ নিধন।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজিব রায় বলেন, ‘তারা কয়েকটি দলে যুক্ত হয়ে রামদা, লোহার রড নিয়ে হামলা করে। রাতে বড় ট্রলার নিয়ে বেশি তৎপরতা দেখায়। তাদের পাঁচটি টিম এখন মেঘনায় রয়েছে। এর আগে প্রশাসন ও র্যাবের ওপর দুই দফায় হামলা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন মেঘনা দস্যুমুক্ত করতে।’
এদিকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মেহেন্দীগঞ্জের চিত্রও একই। সেখানকার কালাবদর, মেঘনা, গজারিয়া নদীতে মা ইলিশ নিধন চলছে দেদার। প্রশাসন দেখলে জেলেরা হামলা করছে। বিশেষ করে কালাবদরের দড়িরচর খাজুরিয়া এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দস্যুরা। সেখানেও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রচ্ছায়ায় ইলিশ নিধনের অভিযোগ রয়েছে। দড়িরচর খাজুরিয়া ছাড়াও উলানিয়া দক্ষিণের মেঘনা নদীর শাখায়, শ্রীপুর ও বাউশিয়ায় মা ইলিশ নিধন চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে গত শুক্রবার সকালে উপজেলার কাজিরহাট থানার ঘোড়াঘাট এলাকায় গজারিয়া নদীর পাড়ে ইলিশ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে আহত হন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল মীরসহ সাত-আটজন।
সার্বিক বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস একাধিক হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, এর মধ্যেই তাঁদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে যৌথ অভিযানে সাত-আটটি টিম তৎপর রয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সরকারি জমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
৫ মিনিট আগেকর্ণফুলী চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার উপজেলার ইছানগর বিএফডিসি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ মিনিট আগেহবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সরকারি নলকূপ (টিউবওয়েল) থেকে পানি নিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সোয়া ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মধ্যপাড়ায় প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে। জানা গেছে,
১৫ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভিন্ন পরীক্ষার প্রভিশনাল ও মূল সনদ (সার্টিফিকেট) প্রদান প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব এই প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন।
১৭ মিনিট আগে