চাঁদপুর ফেরত লঞ্চের কেবিনে তরুণ–তরুণীর লাশ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৪, ২৩: ২৭
Thumbnail image

চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের একটি কেবিন থেকে আনেয়ার হোসেন (২৫) ও রোজিনা আক্তার (২০) নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তাঁরা সম্পর্কে প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন বলে জানা গেছে। 

আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে ওই লঞ্চটি সদরঘাটে ভেড়ার পরে খবর পেয়ে নৌ থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম। 

আনোয়ার হোসেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদের ছেলে এবং রোজিনা আক্তারের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। 

এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের সুপারভাইজর আবু সাইদ জানান, লঞ্চটি সকালে সদরঘাটে ভেড়ার পর ৩১১ নম্বর কেবিন খুলে যাত্রী বের হয়নি। আধঘণ্টা ধরে দরজায় কড়া নাড়া হয়। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর নৌ-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। 

তিনি আরও জানান, আনোয়ার ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া ইউনিয়নের বোটাল গ্রামের পাটোয়ারি বাড়ির হাফেজ মোহাম্মদের ছেলে। তিনি এক নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেয়। 

লঞ্চের চাঁদপুর ঘাটের মালিক প্রতিনিধি আজগর আলী সরকার বলেন, ‘সকালেই ঘটনাটি আমাকে লঞ্চ থেকে স্টাফরা জানায়। আমি তাদের পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’ 

থানা-পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চটি সদর ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর পূর্বে আনোয়ার হোসেন তাঁর প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চে ওঠেন। লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেন। পথিমধ্যে প্রেমিক আনোয়ার হোসেন তাঁর প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে কেবিনের ফ্যানের সঙ্গে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এর পূর্বে আনোয়ার হোসেন চিরকুট লিখে যায়। সেখানে লেখা ছিল ‘তার প্রেমিকাকে পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে না নেওয়ায় সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ 

নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, ‘লঞ্চ থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য দুটি মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় তাদের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে। আইন প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত