ঢাকার বাসগুলোতে তেলাপোকা-ছারপোকা থাকে: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

রাজধানী শহর ঢাকার যানজট নিরসনে প্রধান সড়কে অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচলে নিষেধজ্ঞা, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহনের নিবন্ধন জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করাসহ ১২ দফা সুপারিশ জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ‘গণপরিবহন সংকট ঢাকার ভয়াবহ যানজটের মূল উৎস-মুক্তি চাই নগরবাসী’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

পাশাপাশি বাসের পরিবেশ নিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঢাকার বাসগুলোতে তেলাপোকা-ছারপোকা থাকে, যাত্রীরা বসতে পারে না। এই পরিবেশ থেকে উত্তরণ করা উচিত। তাহলে মানুষ বাসে উঠতে আগ্রহ পাবে।’ 

যানবাহন চলাচলে সমিতির সুপারিশগুলো হলো—

উন্নত সিটিবাসের ব্যবস্থা করা; বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে বাসের জন্য প্রাধিকার লেনের ব্যবস্থা করা; এই মুহূর্তে ঢাকায় মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহনের নিবন্ধন জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা; রাজধানীর ঢাকার প্রধান প্রধান সড়ক করিডর থেকে প্যাডেলচালিত রিকশা, ইজিবাইকসহ ধীর গতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করা; ফুটপাত দখল মুক্ত করা, ফুটপাতে স্বচ্ছন্দে পদচারী যাতায়াতের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে সড়কে উড়াল ফুটপাত তৈরি করা; ট্রাফিক সিগন্যাল ডিজিটাল করা, আইন লঙ্ঘনের জন্য ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেম উন্নত বিশ্বের মতো ক্যামেরা পদ্ধতি চালু করা। জরিমানার অর্থ পরিবহন মালিক-চালকের ব্যাংক হিসাব থেকে আদায়ের ব্যবস্থা করা; প্রধান সড়কে বাইক পার্কিং, লোডিং, আনলোডিং বন্ধ করা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা এবং যত্রতত্র হাত তুলে রাস্তা পারাপার বন্ধ করে জেব্রাক্রসিং, ফুটওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা। 

এ ছাড়া যানজট সমস্যা চিহ্নিত করা ও তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ডিটিসিএ, ডিএনসিসি, ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে ৪ থেকে ৬ সদস্যের একটি ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ টিম সার্বক্ষণিক নগরজুড়ে যানজট পরিস্থিতি মনিটরিং করে তাৎক্ষণিক সমাধান দেবে, এমন একটি অভিজ্ঞ-বিশেষজ্ঞ টিম তৈরি করা; ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলো যানজটমুক্ত রাখার উপায় বের করা। বিকল্প সড়কসমূহ ব্যবহারে ট্রাফিক নির্দেশনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার যানজটমুক্ত করতে গুলিস্থান পার্ককে অস্থায়ী টার্মিনাল বানানো, কারিগরি দিক বিবেচনা করে রাজধানীতে প্রবেশমুখী র‍্যাম্প বাড়ানো; বৈজ্ঞানিক পন্থায় গবেষণা করে ২ বা ৩ লেনের ছোট ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ১ থেকে ২ মিনিট আর ৩ বা ৪ লেনের বড় ইন্টারসেকশনে ট্রাফিক সিগনাল ২ থেকে ৩ মিনিট চালু রাখা এবং বাস দাঁড়ালে যানজট হয় না, সমীক্ষা চালিয়ে এমন স্পটগুলো খুঁজে খুঁজে নগরজুড়ে ৩০০ বাসস্টপেজের ব্যবস্থা করা। এ সব বাসস্টপেজে যাত্রী ওঠা-নামা বাধ্যতামূলক করা। ইতিমধ্যে তৈরিকৃত বাস-বে গুলো জরুরি ভিত্তিতে যাত্রী ওঠা-নামায় ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত