Ajker Patrika

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ, অনুসন্ধান শুরু করল সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ৩৫
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ, অনুসন্ধান শুরু করল সিআইডি

স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীলিপ কুমার আগরওয়ালসহ এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম মানি লন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করেছে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীলিপ কুমার আগরওয়ালের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থ পাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শোরুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরোকে প্রকৃত ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রি করত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুবাই-সিঙ্গাপুরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় ৩টি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের পরই সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম মানি লন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করে।

এর আগে ২০২১ সালে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার আটকের পর সোনা চোরাচালান, হীরা প্রতারণা, হুন্ডি বাণিজ্যসহ অজ্ঞাত সূত্রে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে দিলীপ কুমার আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পুলিশের কাছে পিয়াসার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। 

সিআইডি পিয়াসাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, অবৈধভাবে আনা সোনা ও ভেজাল ডায়মন্ড, হীরা দিলীপের কাছে কম মূল্যে বিক্রি করত মিশু-পিয়াসা চক্র। যাতে সরকার বিপুল পরিমাণ কর থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। শুল্ক কর্মকর্তারা অনুসন্ধান চালালে তাঁর শুল্ক ফাঁকির আরও অনেক তথ্য পাবে বলেও সে সময় দাবি ওঠে। টাকা উপার্জনের উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও সে সময় অজ্ঞাত কারণে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থাগুলো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত