এক গুলিতে নিহত দাদি, আহত নাতি হাসপাতালে

রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪, ১৯: ৫৮
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০: ২৬

রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকার একটি বাসার মূল ফটকের ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৬০ বছর বয়সী মায়া ইসলাম। সেখানে ছিলেন তাঁর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও সাত বছর বয়সী নাতি মুসা খানও। সে সময় বাসার বাইরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে লুটিয়ে পড়েন শিশু মুসা খান ও তার দাদি মায়া।

স্বজনেরা জানান, শিশু মুসার পেছনেই দাঁড়ানো ছিলেন মায়া। একটি গুলি এসে মুসার মাথার ওপরের অংশ ভেদ করে তার দাদির পেটে লাগে। এতে দুজনেই গুরুতর আহত হন। পাশে থাকা মোস্তাফিজুর ছেলে মুসা খানকে নিয়ে ছোটেন হাসপাতালে। মায়া ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে বনশ্রী এলাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি। আর ঢাকা মেডিকেলেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে শিশু মুসা। সে বনশ্রীর একটি স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে নার্সারিতে পড়ে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের সময় ১৯ জুলাই বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। মোস্তাফিজুর রহমান রাজধানীর মালিবাগ বাজারে ইলেকট্রনিকের একটি দোকান চালান। তাঁর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায়।

গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু মুসার বাবা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মুসার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। তিন দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। চেতনা ফেরার পর ওয়ার্ডে দেওয়া হলেও সে কথা বলতে পারছে না।

মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, তাঁর মা মায়া ইসলামকে প্রথমে বনশ্রীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেন পথচারীরা। পরদিন সকালে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত