ফরিদপুর প্রতিনিধি
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যাঁকে করা হয়েছে, তিনি স্বাস্থ্যের দন্ত্য ‘স’ বোঝেন না বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে সরিয়ে একজন চিকিৎসককে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি ম্যাটস, ডিএসএম ইস্যুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবং সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি করেন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ করেন তাঁরা এবং পরে হাসপাতাল এলাকায় মিছিল করেন। এ ছাড়া দাবিগুলো নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
অপর দিকে মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে পাল্টা কর্মসূচি পালন করেছেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। চার দফা দাবি আদায় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘উসকানিমূলক ও অযৌক্তিক কথাবার্তার’ বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবিগুলো তুলে ধরে বলেন, এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না এবং বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) বন্ধ করতে হবে এবং ম্যাটস শিক্ষার্থীদের এসএসিএমও (স্যাকমো) পদবি পরিবর্তন করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট, স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও অরাজকতার কারণে সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার ‘স্বাস্থ্যসেবা’ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত চিকিৎসক সমাজ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। সিদ্ধান্তগুলো দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারে এবং অপচিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে। ম্যাটস, কোয়াক ও ডিএফরা গ্রামগঞ্জে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তাঁরা এসএসসি পাস করে চিকিৎসক উপাধি লিখতে চান। এসব স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ২৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আওলিয়া হোসেন বলেন, ‘২৪-পরবর্তী সময়ে দেশে সংস্কারের জোয়ার উঠেছে। অথচ এই স্বাস্থ্য খাতে তেমন কোনো সংস্কার দেখতে পাইনি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যাঁকে বানানো হয়েছে, তিনি স্বাস্থ্যের দন্ত্য ‘‘স’’ বোঝেন না, এমবিবিএসের ‘‘ম’’ বোঝেন না। আমাদের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডাক্তার নন, এর চেয়ে বড় দুঃখ হতে পারে না। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে এই উপদেষ্টাকে সরিয়ে একজন ভালো ডাক্তারকে উপদেষ্টা পদ দিতে হবে।’
২৭ ব্যাচের ইমতিয়াজ লিমন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি নো এমবিবিএস, নো বিডিএস, নো ডাক্তার। আমরা আশা করব, আগামীকাল যে রিট হবে, সেই রিট যেন আমাদের পক্ষে থাকে।’
বিক্ষোভ কর্মসূচির একপর্যায়ে তাঁদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন চিকিৎসক ও শিক্ষকেরা। এ সময় চিকিৎসকদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডা. তালুকদার নাজিবুল হাসান, ডা. খন্দকার নাজিবুল হাসান প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যাঁকে করা হয়েছে, তিনি স্বাস্থ্যের দন্ত্য ‘স’ বোঝেন না বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে সরিয়ে একজন চিকিৎসককে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি ম্যাটস, ডিএসএম ইস্যুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবং সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি করেন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ করেন তাঁরা এবং পরে হাসপাতাল এলাকায় মিছিল করেন। এ ছাড়া দাবিগুলো নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
অপর দিকে মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে পাল্টা কর্মসূচি পালন করেছেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। চার দফা দাবি আদায় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘উসকানিমূলক ও অযৌক্তিক কথাবার্তার’ বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবিগুলো তুলে ধরে বলেন, এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া কেউ চিকিৎসক উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না এবং বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) বন্ধ করতে হবে এবং ম্যাটস শিক্ষার্থীদের এসএসিএমও (স্যাকমো) পদবি পরিবর্তন করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট, স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও অরাজকতার কারণে সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার ‘স্বাস্থ্যসেবা’ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত চিকিৎসক সমাজ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। সিদ্ধান্তগুলো দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারে এবং অপচিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে। ম্যাটস, কোয়াক ও ডিএফরা গ্রামগঞ্জে অপচিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তাঁরা এসএসসি পাস করে চিকিৎসক উপাধি লিখতে চান। এসব স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ২৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আওলিয়া হোসেন বলেন, ‘২৪-পরবর্তী সময়ে দেশে সংস্কারের জোয়ার উঠেছে। অথচ এই স্বাস্থ্য খাতে তেমন কোনো সংস্কার দেখতে পাইনি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যাঁকে বানানো হয়েছে, তিনি স্বাস্থ্যের দন্ত্য ‘‘স’’ বোঝেন না, এমবিবিএসের ‘‘ম’’ বোঝেন না। আমাদের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডাক্তার নন, এর চেয়ে বড় দুঃখ হতে পারে না। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে এই উপদেষ্টাকে সরিয়ে একজন ভালো ডাক্তারকে উপদেষ্টা পদ দিতে হবে।’
২৭ ব্যাচের ইমতিয়াজ লিমন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি নো এমবিবিএস, নো বিডিএস, নো ডাক্তার। আমরা আশা করব, আগামীকাল যে রিট হবে, সেই রিট যেন আমাদের পক্ষে থাকে।’
বিক্ষোভ কর্মসূচির একপর্যায়ে তাঁদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন চিকিৎসক ও শিক্ষকেরা। এ সময় চিকিৎসকদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডা. তালুকদার নাজিবুল হাসান, ডা. খন্দকার নাজিবুল হাসান প্রমুখ।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা আরেক ট্রাক খাদে পড়ে গেছে। এতে চালকের সহকারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী সড়কের নাজিরপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাদে পড়ে যাওয়া ট্রাকে থাকা চালকের সহকারী সজিব (১৮) ও চালকের বন্ধু
১ ঘণ্টা আগে৪৪ তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে যৌক্তিক সময়ে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে ‘লং মার্চ ফর যমুনা’ কর্মসূচি পালন করেছে আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীরা। পথিমধ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের বাধার শিকার হন তারা।
১০ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের লামা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা ঐক্যের ভিত্তিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ। পাথর বিলীন হওয়ার কারণে নদী, খাল ও ঝিরি-ঝরনা শুকিয়ে খাওয়ার পানির তীব্র সংকটে পড়ছে পাহাড়িরা।
১০ ঘণ্টা আগেভূমিহীনদের থাকার জন্য সরকারিভাবে তৈরি করা হয় ‘টুইন হাউস’ প্রকল্প। প্রতিটি ঘরে দুটি করে পরিবারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এখন সেসব ঘর অবৈধভাবে কিনে নিয়ে অন্য ভূমিহীনদের কাছে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সময়মতো ভাড়া দিতে না পারলে বাসিন্দাদের করা হয় হয়রানি ও নির্যাতন।
১০ ঘণ্টা আগে