নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবতী এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে সমতলে নেমে আসছে অর্ধশতাধিক বন্য হাতি। ক্ষুধার তাড়নায় দিশেহারা বন্য হাতির পালটি খাচ্ছে টিলায় থাকা গাছের ছাল-বাকল। এদিকে মাঠে মাঠে এখন বোরো ধান। এভাবে হাতির পাল সমতলে নেমে আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। হাতি প্রতিরোধে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা।
আজ বুধবার দুপুরে মধুটিলা ইকোপাকের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে অর্ধশতাধিক বন্য হাতির পালটি সীমান্ত এলাকায় রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার দাওধারা-কাটাবাড়ি জঙ্গলে হাতির পালটির অবস্থান। সাত-আটটি শাবকসহ দলটি খাদ্যের সন্ধানে এক টিলা থেকে অন্য টিলা চষে বেড়াচ্ছে। ক্ষুধা নিবারণে খাচ্ছে গাছের ছাল-বাকল।
বন বিভাগ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি জেলার চারটি উপজেলায় সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় সারা বছর শতাধিক বন্য হাতি কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে চলাফেরা করে। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অর্ধশতাধিক বন্য হাতির দল উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা-কাটাবাড়ি পাহাড়ে অবস্থান করছে। প্রায়ই খাদ্যের সন্ধানে দলটি টিলা থেকে নেমে সমতলে অবস্থান করে। পরে লোকালয়ে নেমে আসে। এতে ফসল বাঁচাতে হাতি প্রতিরোধে স্থানীয় কৃষকেরা দিন-রাত পাহারা দিচ্ছেন।
ফসল রক্ষায় কৃষকেরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। প্রায় প্রতি রাতেই হাতির দলটি জঙ্গল থেকে দুই কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পার করে সীমান্ত সড়কে চলে আসে।
গত সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, ৪০-৪৫টি বন্য হাতির পাল দলবেঁধে নাকুগাঁও এলাকায় টিলা থেকে আরেক টিলায় খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সমতলে নেমেও অবস্থান করছে। খাবার না থাকায় বন বিভাগের বিভিন্ন সামাজিক বনায়নের গাছের ছাল-বাকল তুলে খাচ্ছে হাতি। টিলার মাটি শুঁড় দিয়ে হাতির নিজের শরীরে ছুড়ে মারছে।
এ সময় হাতির সাত-আটটি ছোট বাচ্চা দলের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এই দৃশ্য দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। মানুষের বিচরণ দেখে একাধিকবার একটি হাতি লোকজনকে তাড়া করছে। লোকজন এদিক-ওদিক ছুটে যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, ফসল রক্ষায় কৃষকেরা রাত-দিন পাহারা দিচ্ছেন। এ ছাড়া নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে হাতি প্রতিরোধে ফসলি জমি ঘেঁষে হাতিকে ভয় দেখাতে ১০০ মিটার জিআই তার ও একটি জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে।
নাকুগাঁও গ্রামের কৃষক মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে অর্ধশতাধিক বন্য হাতির পালটি দিনে দাওধারা-কাটাবাড়ি জঙ্গলে অবস্থান করছে। সন্ধ্যার নামার আগেই হাতির দলটি বোরোখেতে নেমে আসতে চায়। তখন হইহুল্লোড় করে হাতির দলটিকে প্রতিরোধ করা হয়। এলাকায় হাতি থাকায় পালাক্রমে আমগর রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে।’
প্রান্তিক কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘এক একর জমির ধানে ও দিন মজুরির কাজ করে আমার চার সদস্যের সংসার চলে। ৬০ হাজার টাকা ধার-দেনা কইরা দুই একর জমিতে বোরো ধান আবাদ করছি। ধানগাছ ভালো হইছে। কিন্তু গত সোমবার অর্ধশতাধিক বন্য হাতির পাল খেতের পাশে অবস্থান করছে। এ নিয়ে আমরা ফসল লইয়া ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি।’
নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর বন্য হাতির পাল খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে ফসল নষ্টের পাশাপাশি প্রাণহানি ঘটাচ্ছে। কৃষকদের সঙ্গে আমিও হাতি প্রতিরোধে সেখানে অবস্থান করছি। কেউ যেন হাতির ক্ষতি করতে না পারে। অন্যদিকে হাতির দলটিও যেন কৃষকের ফসল নষ্ট করতে না পারে তাই হাতির খবর পেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাচ্ছি। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মশাল জ্বালাতে কেরোসিনের ব্যবস্থা করা হলে কৃষকদের হাতি তাড়াতে সুবিধা হতো।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফসল রক্ষায় ও হাতিকে নিরাপদ রাখতে বন বিভাগের পাশাপাশি এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম কাজ করছে। তবে হাতি দ্বারা কোনো কৃষকের ফসল নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই আমরা বলব হাতিকে যেন বিরক্ত করা না হয়।’
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবতী এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে সমতলে নেমে আসছে অর্ধশতাধিক বন্য হাতি। ক্ষুধার তাড়নায় দিশেহারা বন্য হাতির পালটি খাচ্ছে টিলায় থাকা গাছের ছাল-বাকল। এদিকে মাঠে মাঠে এখন বোরো ধান। এভাবে হাতির পাল সমতলে নেমে আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। হাতি প্রতিরোধে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা।
আজ বুধবার দুপুরে মধুটিলা ইকোপাকের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে অর্ধশতাধিক বন্য হাতির পালটি সীমান্ত এলাকায় রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার দাওধারা-কাটাবাড়ি জঙ্গলে হাতির পালটির অবস্থান। সাত-আটটি শাবকসহ দলটি খাদ্যের সন্ধানে এক টিলা থেকে অন্য টিলা চষে বেড়াচ্ছে। ক্ষুধা নিবারণে খাচ্ছে গাছের ছাল-বাকল।
বন বিভাগ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি জেলার চারটি উপজেলায় সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় সারা বছর শতাধিক বন্য হাতি কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে চলাফেরা করে। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অর্ধশতাধিক বন্য হাতির দল উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা-কাটাবাড়ি পাহাড়ে অবস্থান করছে। প্রায়ই খাদ্যের সন্ধানে দলটি টিলা থেকে নেমে সমতলে অবস্থান করে। পরে লোকালয়ে নেমে আসে। এতে ফসল বাঁচাতে হাতি প্রতিরোধে স্থানীয় কৃষকেরা দিন-রাত পাহারা দিচ্ছেন।
ফসল রক্ষায় কৃষকেরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। প্রায় প্রতি রাতেই হাতির দলটি জঙ্গল থেকে দুই কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পার করে সীমান্ত সড়কে চলে আসে।
গত সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, ৪০-৪৫টি বন্য হাতির পাল দলবেঁধে নাকুগাঁও এলাকায় টিলা থেকে আরেক টিলায় খাদ্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সমতলে নেমেও অবস্থান করছে। খাবার না থাকায় বন বিভাগের বিভিন্ন সামাজিক বনায়নের গাছের ছাল-বাকল তুলে খাচ্ছে হাতি। টিলার মাটি শুঁড় দিয়ে হাতির নিজের শরীরে ছুড়ে মারছে।
এ সময় হাতির সাত-আটটি ছোট বাচ্চা দলের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এই দৃশ্য দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। মানুষের বিচরণ দেখে একাধিকবার একটি হাতি লোকজনকে তাড়া করছে। লোকজন এদিক-ওদিক ছুটে যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, ফসল রক্ষায় কৃষকেরা রাত-দিন পাহারা দিচ্ছেন। এ ছাড়া নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে হাতি প্রতিরোধে ফসলি জমি ঘেঁষে হাতিকে ভয় দেখাতে ১০০ মিটার জিআই তার ও একটি জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে।
নাকুগাঁও গ্রামের কৃষক মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে অর্ধশতাধিক বন্য হাতির পালটি দিনে দাওধারা-কাটাবাড়ি জঙ্গলে অবস্থান করছে। সন্ধ্যার নামার আগেই হাতির দলটি বোরোখেতে নেমে আসতে চায়। তখন হইহুল্লোড় করে হাতির দলটিকে প্রতিরোধ করা হয়। এলাকায় হাতি থাকায় পালাক্রমে আমগর রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে।’
প্রান্তিক কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘এক একর জমির ধানে ও দিন মজুরির কাজ করে আমার চার সদস্যের সংসার চলে। ৬০ হাজার টাকা ধার-দেনা কইরা দুই একর জমিতে বোরো ধান আবাদ করছি। ধানগাছ ভালো হইছে। কিন্তু গত সোমবার অর্ধশতাধিক বন্য হাতির পাল খেতের পাশে অবস্থান করছে। এ নিয়ে আমরা ফসল লইয়া ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি।’
নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর বন্য হাতির পাল খাবারের খোঁজে লোকালয়ে এসে ফসল নষ্টের পাশাপাশি প্রাণহানি ঘটাচ্ছে। কৃষকদের সঙ্গে আমিও হাতি প্রতিরোধে সেখানে অবস্থান করছি। কেউ যেন হাতির ক্ষতি করতে না পারে। অন্যদিকে হাতির দলটিও যেন কৃষকের ফসল নষ্ট করতে না পারে তাই হাতির খবর পেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাচ্ছি। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মশাল জ্বালাতে কেরোসিনের ব্যবস্থা করা হলে কৃষকদের হাতি তাড়াতে সুবিধা হতো।’
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফসল রক্ষায় ও হাতিকে নিরাপদ রাখতে বন বিভাগের পাশাপাশি এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম কাজ করছে। তবে হাতি দ্বারা কোনো কৃষকের ফসল নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই আমরা বলব হাতিকে যেন বিরক্ত করা না হয়।’
বাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১০ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
২৯ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগে