সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার সাঁথিয়ায় চলতি মৌসুমে কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধিসহ আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের মুখে পড়তে হয়েছে পাঠ চাষিদের। চাষবাদে গুনতে হয়েছে বাড়তি খরচ। সে অনুযায়ী বাজারে মিলছে না দাম। এমন অবস্থায় খরচের টাকা তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা।
কৃষকেরা বলছেন, এবার অনাবৃষ্টিসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে আবাদে খরচ পড়েছে বেশি। যে দাম পাচ্ছেন এতে খরচ তোলা দায়।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পাটের গুণগত মান না থাকা ও সরবরাহ বেশি থাকায় কিছুটা দাম কমেছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছে বিগত বছরের পাট মজুত থাকায় নতুন করে কেনায় আগ্রহ কম।
সাঁথিয়া কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে।
কৃষকেরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, বীজ, কীটনাশক, সেচ নিড়ানি, কাটা, জাগ দেওয়া, শ্রমিকসহ ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ পড়েছে প্রায় প্রকার ভেদে ১৫ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা। আর ফলন হয়েছে জমির প্রকার ভেদে ৭ থেকে ১০ মণ। হাটে প্রকার ভেদে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বছর এ সময় প্রতি মণ পাট বিক্রি হতে প্রকার ভেদে ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা।
সাঁথিয়ার বোয়াইলমারি পাট হাটে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১০টা থেকেই কৃষকেরা পাট বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। দর কষাকষি শেষে বেশির ভাগ কৃষকেরা গড়ে ২ হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি করছেন।
কোনাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বলেন, ‘প্রায় ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। এবার অনাবৃষ্টিসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে আবাদে খরচ পড়েছে বেশি। যে দাম পাচ্ছি তাতে পোষাবে না।’
কৃষক আব্দুল আরও বলেন, ‘অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে সেচসহ রোগ-বালাই থেকে রক্ষা করার জন্য সার, কীটনাশকের পরিমাণ বেশি ব্যবহার করতে হয়েছে। সঙ্গে শ্রমিকের মজুরিসহ খরচ বেড়ে গেছে। যদি বাজারে সরকারিভাবে নজরদারি থাকত তা হলে পাটের দাম বেশি পেতাম। ব্যাপারীরা তাদের ইচ্ছা মাফিক পাট কিনছে।’
পাটের দাম কমার বিষয় জানতে চাইলে ব্যবসায়ী শামসুল হক বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে এখনো গত বছরের পাট রয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা পাট কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছেন কম। তা ছাড়া দুই তিন সপ্তাহে আগে বাজারে পাটের সরবরাহ কমছিল তাই দাম কিছুটা চড়া ছিল। এখন বাজারে পাটের সরবরাহ ব্যাপক তাই দাম কমেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, সাধারণত পাটের মৌসুমে বাজারে নতুন পাট ওঠায় ও সরবরাহ বেশি থাকায় দাম একটু কমে যায়। আবার আমদানি কমে গেলে দাম স্বাভাবিক হয়ে যায়। বর্তমান হাট-বাজারে পাটের যে দাম চলছে এতে কৃষকদের লাভ কম হবে। তবে তাদের খুব যে একটা লোকসান হবে না।
পাবনার সাঁথিয়ায় চলতি মৌসুমে কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধিসহ আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের মুখে পড়তে হয়েছে পাঠ চাষিদের। চাষবাদে গুনতে হয়েছে বাড়তি খরচ। সে অনুযায়ী বাজারে মিলছে না দাম। এমন অবস্থায় খরচের টাকা তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষিরা।
কৃষকেরা বলছেন, এবার অনাবৃষ্টিসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে আবাদে খরচ পড়েছে বেশি। যে দাম পাচ্ছেন এতে খরচ তোলা দায়।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পাটের গুণগত মান না থাকা ও সরবরাহ বেশি থাকায় কিছুটা দাম কমেছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছে বিগত বছরের পাট মজুত থাকায় নতুন করে কেনায় আগ্রহ কম।
সাঁথিয়া কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে।
কৃষকেরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, বীজ, কীটনাশক, সেচ নিড়ানি, কাটা, জাগ দেওয়া, শ্রমিকসহ ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ পড়েছে প্রায় প্রকার ভেদে ১৫ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা। আর ফলন হয়েছে জমির প্রকার ভেদে ৭ থেকে ১০ মণ। হাটে প্রকার ভেদে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বছর এ সময় প্রতি মণ পাট বিক্রি হতে প্রকার ভেদে ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা।
সাঁথিয়ার বোয়াইলমারি পাট হাটে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১০টা থেকেই কৃষকেরা পাট বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। দর কষাকষি শেষে বেশির ভাগ কৃষকেরা গড়ে ২ হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি করছেন।
কোনাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বলেন, ‘প্রায় ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। এবার অনাবৃষ্টিসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে আবাদে খরচ পড়েছে বেশি। যে দাম পাচ্ছি তাতে পোষাবে না।’
কৃষক আব্দুল আরও বলেন, ‘অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে সেচসহ রোগ-বালাই থেকে রক্ষা করার জন্য সার, কীটনাশকের পরিমাণ বেশি ব্যবহার করতে হয়েছে। সঙ্গে শ্রমিকের মজুরিসহ খরচ বেড়ে গেছে। যদি বাজারে সরকারিভাবে নজরদারি থাকত তা হলে পাটের দাম বেশি পেতাম। ব্যাপারীরা তাদের ইচ্ছা মাফিক পাট কিনছে।’
পাটের দাম কমার বিষয় জানতে চাইলে ব্যবসায়ী শামসুল হক বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে এখনো গত বছরের পাট রয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা পাট কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছেন কম। তা ছাড়া দুই তিন সপ্তাহে আগে বাজারে পাটের সরবরাহ কমছিল তাই দাম কিছুটা চড়া ছিল। এখন বাজারে পাটের সরবরাহ ব্যাপক তাই দাম কমেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, সাধারণত পাটের মৌসুমে বাজারে নতুন পাট ওঠায় ও সরবরাহ বেশি থাকায় দাম একটু কমে যায়। আবার আমদানি কমে গেলে দাম স্বাভাবিক হয়ে যায়। বর্তমান হাট-বাজারে পাটের যে দাম চলছে এতে কৃষকদের লাভ কম হবে। তবে তাদের খুব যে একটা লোকসান হবে না।
সিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
৮ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
৯ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
২৯ মিনিট আগেঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ জেলে এক বছরেও ফেরেননি। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না স্বজনেরা। তবু প্রিয়জনের আশায় বুক বেঁধে নীরব অপেক্ষায় দিন কাটছে এসব জেলের পরিবারের সদস্যদের।
৪০ মিনিট আগে