রাজশাহীর গোদাগাড়ী
রিমন রহমান, রাজশাহী
সিঁড়ির মতো উঁচু থেকে নিচু, আবার কখনো নিচু থেকে উঁচু—এমনই বৈশিষ্ট্য বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূমির। বরেন্দ্রভূমির ভৌগোলিক এই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একে বলা হয় ‘বারিন্দ ট্র্যাক্ট’। এঁটেল ও দোআঁশ হওয়ার কারণে এই মাটিতে ফলে নানা ফসল। আবার ইটভাটায় এই এঁটেল মাটির চাহিদাও তুঙ্গে। ফলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় উর্বর জমির উপরিভাগের মাটি কেটে দেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এই মাটি দিয়ে ভরাট হচ্ছে পুকুরও।
অথচ জমির উপরিভাগের মাটি কাটা আইনে নিষিদ্ধ। এরপরও শুধু গোদাগাড়ীতে কমপক্ষে ২০ মাটি সিন্ডিকেট দেদার মাটি কেটে ইটভাটায় ও পুকুর ভরাটের জন্য পাঠাচ্ছে। রাতে এই মাটি কেটে নেওয়ায় জমির মালিক কোনো টাকা পান না। তবে সিন্ডিকেটে চলে লাখ লাখ টাকার খেলা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই মাটি কাটছে এসব সিন্ডিকেট। তবে প্রশাসন সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাট-ছয়ঘাটি এলাকায় মাটি কেটে বিক্রি করছেন মো. টিয়ালম নামের এক ব্যক্তি। মাছমারা এলাকায় মাটি কাটছেন কামরুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলাম। কামারপাড়া, অভয়াসহ আশপাশের এলাকায় মাটি কাটেন মো. শাহীন। ফুলতলা এলাকায় মো. শাকিল, সিধনা দরগা এলাকায় মিনহাজ, ধনঞ্জয়পুরে বায়োজিদসহ আরও অন্তত ১৫ ব্যক্তি মাটি কেটে বিক্রি করছেন ইটভাটা ও পুকুরে। একসময় তাঁরা দিনমজুরের কাজ করতেন, এখন প্রত্যেকে ৫ থেকে ১০টি পর্যন্ত ট্রাক্টরের মালিক হয়েছেন এই মাটি বিক্রি করেই।
মাটির ক্রেতা সেজে ফোন করা হলে কামরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে তিনি সাহাব্দিপুর এলাকায় মাঠ থেকে মাটি কাটছেন। প্রতি ট্রাক্টর মাটির দাম নেবেন ১ হাজার ৪০০ টাকা। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মাটি কাটা হবে। একইভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভরাট করা হবে পুকুর। কোনো অসুবিধা নেই।
ফোন করা হয় অভয়ার শাহিনকেও। তিনিও জানান, এখন তিনি ঘনশ্যামপুর মাঠের মাটি কাটছেন। তবে চাহিদা অনুযায়ী মাটি সরবরাহ করতে পারবেন। সব মাটিই বরেন্দ্র এলাকার জমি থেকে দেওয়া হবে জানিয়ে শাহিন বলেন, ‘তবে খরচ একটু বেশি পড়বে। পুলিশ-প্রশাসন সবাইকে ম্যানেজ করেই মাটি কাটতে হবে। তা না হলে মাটি কাটা যায় না।’
গোদাগাড়ী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ওদের কোনো যোগাযোগ নেই। টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এগুলো এসি ল্যান্ডের এখতিয়ার। তিনি যখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য বের হন, তখন আমরা সহযোগিতা করি।’
পবা উপজেলার বালিয়া এলাকায় মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তির পাঁচ বিঘা আয়তনের একটি পুকুর ভরাট চলছে। পুকুর ভরাটের কাজটি করছেন নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মিলন হোসেন। যোগাযোগ করা হলে মিলন জানান, গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ি এলাকার টিয়ালম তাঁর পুকুরে মাটি সরবরাহ করছেন বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে। টিয়ালমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূমির বৈশিষ্ট্য আলাদা। দেখতে সিঁড়ির মতো লাগে। এগুলো ছোট ছোট ঢিবি। অনেকে ডাইংও বলে। এগুলো কেটে সমতল করে দেওয়া হচ্ছে। এটা সমর্থনযোগ্য নয়। এগুলো বন্ধ না করলে প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।’
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মাটি কাটা হচ্ছে। সারা দিন কিংবা সারা রাতের জন্য মাটি কাটতে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করতে গুনতে হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তবে কখনো কখনো সাধারণ মানুষ কিংবা মাঠের কৃষকেরাই বাধা হয়ে দাঁড়ান। তখন তাঁরা বারবার পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ফোন করতে থাকেন। এর ফলে কখনো কখনো প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। কিন্তু রাতে আবার ঠিকই মাটি কাটা শুরু হয়ে যায়। মাটি কাটা কখনো বন্ধ থাকে না। মাটিখেকো কোনো কোনো চক্র সংস্কার দেখিয়ে প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়েও মাটি কাটে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম বলেন, ‘যাঁরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলছেন, তাঁরা মিথ্যা বলছেন। আমার এবং ইউএনও স্যারের অফিসের কেউই মাটিখেকো চক্রের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেন না। আমরা খবর পেলেই অভিযান চালাব। তবে কিছু ব্যক্তি পুকুর সংস্কার এবং উঁচু জমি চাষাবাদের উপযোগী করার জন্য কেটে বিক্রি করতে ইউএনও স্যারের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। এটি আমাদের বিবেচনায় আছে।’
ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, ‘ম্যানেজ করার অভিযোগ একেবারেই সত্য নয়। আমরা বিষয়টি শক্তভাবেই দেখছি। সমস্যা হলো, এরা গভীর রাতে মাটি কাটে। তখন অভিযান চালানো কঠিন।’
সিঁড়ির মতো উঁচু থেকে নিচু, আবার কখনো নিচু থেকে উঁচু—এমনই বৈশিষ্ট্য বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূমির। বরেন্দ্রভূমির ভৌগোলিক এই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একে বলা হয় ‘বারিন্দ ট্র্যাক্ট’। এঁটেল ও দোআঁশ হওয়ার কারণে এই মাটিতে ফলে নানা ফসল। আবার ইটভাটায় এই এঁটেল মাটির চাহিদাও তুঙ্গে। ফলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় উর্বর জমির উপরিভাগের মাটি কেটে দেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এই মাটি দিয়ে ভরাট হচ্ছে পুকুরও।
অথচ জমির উপরিভাগের মাটি কাটা আইনে নিষিদ্ধ। এরপরও শুধু গোদাগাড়ীতে কমপক্ষে ২০ মাটি সিন্ডিকেট দেদার মাটি কেটে ইটভাটায় ও পুকুর ভরাটের জন্য পাঠাচ্ছে। রাতে এই মাটি কেটে নেওয়ায় জমির মালিক কোনো টাকা পান না। তবে সিন্ডিকেটে চলে লাখ লাখ টাকার খেলা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্থানীয় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই মাটি কাটছে এসব সিন্ডিকেট। তবে প্রশাসন সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাট-ছয়ঘাটি এলাকায় মাটি কেটে বিক্রি করছেন মো. টিয়ালম নামের এক ব্যক্তি। মাছমারা এলাকায় মাটি কাটছেন কামরুল ইসলাম ও জহুরুল ইসলাম। কামারপাড়া, অভয়াসহ আশপাশের এলাকায় মাটি কাটেন মো. শাহীন। ফুলতলা এলাকায় মো. শাকিল, সিধনা দরগা এলাকায় মিনহাজ, ধনঞ্জয়পুরে বায়োজিদসহ আরও অন্তত ১৫ ব্যক্তি মাটি কেটে বিক্রি করছেন ইটভাটা ও পুকুরে। একসময় তাঁরা দিনমজুরের কাজ করতেন, এখন প্রত্যেকে ৫ থেকে ১০টি পর্যন্ত ট্রাক্টরের মালিক হয়েছেন এই মাটি বিক্রি করেই।
মাটির ক্রেতা সেজে ফোন করা হলে কামরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে তিনি সাহাব্দিপুর এলাকায় মাঠ থেকে মাটি কাটছেন। প্রতি ট্রাক্টর মাটির দাম নেবেন ১ হাজার ৪০০ টাকা। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মাটি কাটা হবে। একইভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভরাট করা হবে পুকুর। কোনো অসুবিধা নেই।
ফোন করা হয় অভয়ার শাহিনকেও। তিনিও জানান, এখন তিনি ঘনশ্যামপুর মাঠের মাটি কাটছেন। তবে চাহিদা অনুযায়ী মাটি সরবরাহ করতে পারবেন। সব মাটিই বরেন্দ্র এলাকার জমি থেকে দেওয়া হবে জানিয়ে শাহিন বলেন, ‘তবে খরচ একটু বেশি পড়বে। পুলিশ-প্রশাসন সবাইকে ম্যানেজ করেই মাটি কাটতে হবে। তা না হলে মাটি কাটা যায় না।’
গোদাগাড়ী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ওদের কোনো যোগাযোগ নেই। টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এগুলো এসি ল্যান্ডের এখতিয়ার। তিনি যখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য বের হন, তখন আমরা সহযোগিতা করি।’
পবা উপজেলার বালিয়া এলাকায় মো. হানিফ নামের এক ব্যক্তির পাঁচ বিঘা আয়তনের একটি পুকুর ভরাট চলছে। পুকুর ভরাটের কাজটি করছেন নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মিলন হোসেন। যোগাযোগ করা হলে মিলন জানান, গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ি এলাকার টিয়ালম তাঁর পুকুরে মাটি সরবরাহ করছেন বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে। টিয়ালমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূমির বৈশিষ্ট্য আলাদা। দেখতে সিঁড়ির মতো লাগে। এগুলো ছোট ছোট ঢিবি। অনেকে ডাইংও বলে। এগুলো কেটে সমতল করে দেওয়া হচ্ছে। এটা সমর্থনযোগ্য নয়। এগুলো বন্ধ না করলে প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।’
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মাটি কাটা হচ্ছে। সারা দিন কিংবা সারা রাতের জন্য মাটি কাটতে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করতে গুনতে হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তবে কখনো কখনো সাধারণ মানুষ কিংবা মাঠের কৃষকেরাই বাধা হয়ে দাঁড়ান। তখন তাঁরা বারবার পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ফোন করতে থাকেন। এর ফলে কখনো কখনো প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। কিন্তু রাতে আবার ঠিকই মাটি কাটা শুরু হয়ে যায়। মাটি কাটা কখনো বন্ধ থাকে না। মাটিখেকো কোনো কোনো চক্র সংস্কার দেখিয়ে প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়েও মাটি কাটে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম বলেন, ‘যাঁরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলছেন, তাঁরা মিথ্যা বলছেন। আমার এবং ইউএনও স্যারের অফিসের কেউই মাটিখেকো চক্রের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেন না। আমরা খবর পেলেই অভিযান চালাব। তবে কিছু ব্যক্তি পুকুর সংস্কার এবং উঁচু জমি চাষাবাদের উপযোগী করার জন্য কেটে বিক্রি করতে ইউএনও স্যারের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। এটি আমাদের বিবেচনায় আছে।’
ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, ‘ম্যানেজ করার অভিযোগ একেবারেই সত্য নয়। আমরা বিষয়টি শক্তভাবেই দেখছি। সমস্যা হলো, এরা গভীর রাতে মাটি কাটে। তখন অভিযান চালানো কঠিন।’
বন্ধের ৫২ দিন পর আজ রোববার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে (কুয়েট) প্রবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে দাবি না মানায় সারা রাত প্রশাসনিক ভবনের সা
৩১ মিনিট আগেচট্টগ্রামের ডিসি হিলে সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন পরিষদের মঞ্চে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার সন্ধ্যায় এই হামলা চালানো হয়। এ সময় মঞ্চের কাঠামো ভেঙে ফেলার পাশাপাশি চেয়ার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলা হয়। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, হামলা বলতে শুধু ব্যানার খুলে ফেলা হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমি কাউন্সিলের সদস্যপদ থেকে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাসীন উদ্দীনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে উপাচার্যের নির্দেশে শিক্ষক মোহাসীনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে অব্যাহতিপত্র দেন রেজিস্ট্রার মনিরুল ইমলাম। যদিও মোহাসীন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে
৪১ মিনিট আগেময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কিশোর ছেলেসহ এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। চুরি ও মাদক সেবনের অভিযোগে ডাকা সালিসে না আসায় শত শত লোকজন তাঁদের বাড়িতে গিয়ে এই হামলা চালান বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামে এই
৪৪ মিনিট আগে