৩৪ লাখ টাকার বিল পেতে ঘুষ: ওসমানী হাসপাতালের ৩ নার্সের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ১৬
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ৩৩

৩৪ লাখ টাকার বিল পাইয়ে দিতে ঘুষ লেনদেনের সময় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে দুই নার্স আটকের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হানিফ।

মামলার প্রধান আসামি হলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স ইসরাইল আলী সাদেক। তিনি বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সাধারণ সম্পাদক। অপর দুজন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হওয়া সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. আমিনুল ইসলাম ও সুমন চন্দ্র দেব।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ঘুষের ছয় লাখ টাকাসহ ওই দুই আসামিকে (আমিনুল-সুমন) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আটক করেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এ ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি ইসরাইল আলী সাদেক পালিয়ে যান।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাদেকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে মামলা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সকে (পুরুষ) অর্থসহ আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। মামলার প্রধান আসামি ইসরাইল আলী সাদেক পলাতক আছে।’

মামলার এজাহার থেকে গেছে, সম্প্রতি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স গীতা রানী হালদারের আট বছরের প্রাপ্য ৩৪ লাখ টাকা বকেয়া বিল করে দেওয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সাদেক। পরে গীতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও চাপ দিয়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি করান।

এররে গীতা তাঁকে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দেন। গতকাল ৯ জানুয়ারি দুপুরে সাদেকের দাবি করা বাকি ছয় লাখ টাকা আমিনুলের কাছে জমা দেন গীতা। তখন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিনুলকে নগদ ছয় লাখ টাকাসহ আটক করেন। পরে আমিনুলের দেওয়া তথ্যমতে, সুমনকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের পুলিশে সোপর্দ করা হলে তাঁরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সাদেকের নির্দেশ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ এসব অবৈধ কাজ করে আসছেন তাঁরা।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাদেক বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও দালালি করে বিপুল অর্থ-সম্পদ অর্জন করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য দপ্তরে তার বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা কোতোয়ালি থানায় এজাহার করেছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত