অনলাইন ডেস্ক
যাতায়াতব্যবস্থার এই উন্নতির যুগে দিনকে দিন রাস্তায় বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। এসব গাড়ি প্রচুর কার্বন ডাই-অক্সাইড ছেড়ে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তবে আশ্চর্য বিষয় হলো, ২০ লাখ গাড়ি যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়ে ১৭০টি বাইসন এর সমপরিমাণ শোষণ করে ও সংরক্ষণে সহায়তা করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।
রোমানিয়ার ইউরোপিয়ান বাইসনদের ওপর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, বিশালাকায় এই তৃণভোজীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বড় হাতিয়ার হতে পারে। কেবল ১৭০টি বাইসনের একটি পাল বছরে যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে, তা ২০ লাখ গাড়ির ছাড়া কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমান। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল স্কুল অব দ্য এনভায়রনমেন্টের বিজ্ঞানীরা এই নতুন মডেল নিয়ে কাজ করছেন।
গবেষণাটি, যেটি এখনো নিখুঁতভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি, স্বাস্থ্যকর বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখার জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে। বাইসনের মতো প্রাণীরা তাদের প্রাকৃতিক আচরণের মাধ্যমে অতিরিক্ত যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড ধারণ ও মাটিতে সংরক্ষণে সহায়তা করে, তার হিসাব করা হয়েছে মডেলটিতে।
‘বাইসন তৃণভূমিতে চরে বেড়িয়ে তৃণভূমি ও বনের বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, মাটি এবং এর সমস্ত জীবনকে উর্বর করার জন্য পুষ্টিকর পদার্থের পুনর্ব্যবহার করে। এ ছাড়া বাস্তুতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করার জন্য বীজ ছড়িয়ে দেয় এবং সঞ্চিত কার্বন নিঃসৃত হওয়া থেকে রক্ষার জন্য মাটিকে সংকুচিত করে।’ গার্ডিয়ানকে বলেন গবেষণার প্রধান লেখক ইয়েল স্কুলের অধ্যাপক অসওয়াল্ড শিমিজ।
‘এই প্রাণীগুলো লাখ লাখ বছর ধরে তৃণভূমি এবং বনের বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে। তাদের অপসারণ, বিশেষ করে যেখানে তৃণভূমি চাষ করা হয়েছে সেখানে বিপুল পরিমাণে কার্বন নিঃসারণের দিকে পরিচালিত করেছে। এই বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হলে এসব এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। আর পুনঃস্থাপিত এসব বাইসন এ কাজে সহায়তা করতে পারে।’
জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আলেকজান্ডার লিস এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবে তিনি জানান, গবেষণাটি প্রকৃতিভিত্তিক জলবায়ু সমাধান হিসেবে ইউরোপীয় বাইসন পুনঃপ্রবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে।
গবেষণা দল রোমানিয়ার আরকু পর্বতমালায় ২০১৪ সালে পুনঃস্থাপিত ইউরোপীয় বাইসনের একটি পাল নিয়ে কাজ করে। প্রজাতিটি প্রায় ২০০ বছর ধরে এই অঞ্চলে অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু আজ আরকু পর্বতমালার বাইসনদের ইউরোপের মুক্তভাবে বিচরণ করা বাইসনের সবচেয়ে বড় দলগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আমাদের অনেকেরই জানা নেই বাইসনের একটি জাত কিন্তু বাংলাদেশেও আছে। এটির নাম ইন্ডিয়ান বাইসন। এরা গৌর বা বনগুরু নামেও পরিচিত। একসময় ভাবা হয়েছিল, বাংলাদেশের বন থেকে বুঝি বা এরা হারিয়ে গেছে। তবে গত কয়েক বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে এদের একাধিক দলকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন গবেষকেরা। তবে এরা এখনো হারিয়ে যাওয়ার হুমকিতে আছে। পরিবেশ ও প্রকৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বনগরুদের রক্ষা করাটা তাই খুব জরুরি।
যাতায়াতব্যবস্থার এই উন্নতির যুগে দিনকে দিন রাস্তায় বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। এসব গাড়ি প্রচুর কার্বন ডাই-অক্সাইড ছেড়ে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তবে আশ্চর্য বিষয় হলো, ২০ লাখ গাড়ি যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়ে ১৭০টি বাইসন এর সমপরিমাণ শোষণ করে ও সংরক্ষণে সহায়তা করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।
রোমানিয়ার ইউরোপিয়ান বাইসনদের ওপর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, বিশালাকায় এই তৃণভোজীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বড় হাতিয়ার হতে পারে। কেবল ১৭০টি বাইসনের একটি পাল বছরে যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে, তা ২০ লাখ গাড়ির ছাড়া কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমান। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল স্কুল অব দ্য এনভায়রনমেন্টের বিজ্ঞানীরা এই নতুন মডেল নিয়ে কাজ করছেন।
গবেষণাটি, যেটি এখনো নিখুঁতভাবে পর্যালোচনা করা হয়নি, স্বাস্থ্যকর বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখার জন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে। বাইসনের মতো প্রাণীরা তাদের প্রাকৃতিক আচরণের মাধ্যমে অতিরিক্ত যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড ধারণ ও মাটিতে সংরক্ষণে সহায়তা করে, তার হিসাব করা হয়েছে মডেলটিতে।
‘বাইসন তৃণভূমিতে চরে বেড়িয়ে তৃণভূমি ও বনের বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, মাটি এবং এর সমস্ত জীবনকে উর্বর করার জন্য পুষ্টিকর পদার্থের পুনর্ব্যবহার করে। এ ছাড়া বাস্তুতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করার জন্য বীজ ছড়িয়ে দেয় এবং সঞ্চিত কার্বন নিঃসৃত হওয়া থেকে রক্ষার জন্য মাটিকে সংকুচিত করে।’ গার্ডিয়ানকে বলেন গবেষণার প্রধান লেখক ইয়েল স্কুলের অধ্যাপক অসওয়াল্ড শিমিজ।
‘এই প্রাণীগুলো লাখ লাখ বছর ধরে তৃণভূমি এবং বনের বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে। তাদের অপসারণ, বিশেষ করে যেখানে তৃণভূমি চাষ করা হয়েছে সেখানে বিপুল পরিমাণে কার্বন নিঃসারণের দিকে পরিচালিত করেছে। এই বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হলে এসব এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। আর পুনঃস্থাপিত এসব বাইসন এ কাজে সহায়তা করতে পারে।’
জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আলেকজান্ডার লিস এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবে তিনি জানান, গবেষণাটি প্রকৃতিভিত্তিক জলবায়ু সমাধান হিসেবে ইউরোপীয় বাইসন পুনঃপ্রবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে।
গবেষণা দল রোমানিয়ার আরকু পর্বতমালায় ২০১৪ সালে পুনঃস্থাপিত ইউরোপীয় বাইসনের একটি পাল নিয়ে কাজ করে। প্রজাতিটি প্রায় ২০০ বছর ধরে এই অঞ্চলে অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু আজ আরকু পর্বতমালার বাইসনদের ইউরোপের মুক্তভাবে বিচরণ করা বাইসনের সবচেয়ে বড় দলগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আমাদের অনেকেরই জানা নেই বাইসনের একটি জাত কিন্তু বাংলাদেশেও আছে। এটির নাম ইন্ডিয়ান বাইসন। এরা গৌর বা বনগুরু নামেও পরিচিত। একসময় ভাবা হয়েছিল, বাংলাদেশের বন থেকে বুঝি বা এরা হারিয়ে গেছে। তবে গত কয়েক বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে এদের একাধিক দলকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন গবেষকেরা। তবে এরা এখনো হারিয়ে যাওয়ার হুমকিতে আছে। পরিবেশ ও প্রকৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বনগরুদের রক্ষা করাটা তাই খুব জরুরি।
পাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কমলেও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৮১, অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দুদিনের ব্যবধানে আবারও পাকিস্তানের লাহোর বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। এরপরে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এ ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে মঙ্গোলিয়া ও ই
১০ ঘণ্টা আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ আজও ভয়াবহ মাত্রায় রয়েছে। আজ বুধবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি শহর, দৃশ্যময়তা কমে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়েছে। এর পরে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর...
১ দিন আগেভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি মরসুমে সর্বোচ্চ এবং ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে রয়েছে।
২ দিন আগে