রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ২০২৩ সালের চেয়ে আক্রান্ত ও সংক্রমণ দ্বিগুণ বা তিন গুণ হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ থেকে এমন আভাস মিলেছে। মৌসুম ছাড়াই বছরের শুরুতে সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ চলছে। রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ৮০০-এর মতো মানুষ। তাদের মধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সময়মতো যথাযথ প্রস্তুতি না নিলে ডেঙ্গু মৌসুমে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
২০২৩ ও ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসের আক্রান্ত ও মৃত্যুর তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেখতে পেয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৮৪৩ জন। অথচ চলতি বছরে একই সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭০৫ জন। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরে আক্রান্ত হওয়ার হার দ্বিগুণের বেশি। ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের, কিন্তু চলতি বছরে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। সেই হিসাবে মৃত্যুর হার বেড়ে হয়েছে প্রায় চার গুণ।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বিগত তিন বছরের সংক্রমণশীলতার তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। মৌসুম-পরবর্তী জরিপে ২০২০, ২০২১, ২০২২ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার কোনো প্রজননস্থল পাওয়া যায়নি। অথচ ২০২৩ সালে ১১টি ওয়ার্ডে প্রজননস্থল পাওয়া গেছে। ২০২০, ২০২১, ২০২২ সালে বাসাবাড়িতে এডিস মশার প্রজননস্থল পাওয়া গিয়েছিল যথাক্রমে ৮, ৬ ও ৫টি ওয়ার্ডে। ২০২৩ সালে পাওয়া যায় ২৭টিতে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে ৩৭টি ওয়ার্ডের বাড়িতে মিলেছে এডিসের অস্তিত্ব আর ২১টি ওয়ার্ডে মিলেছে প্রজননস্থল। আগের দুই বছরের তুলনায় তা যথাক্রমে ৩ গুণ ও ২১ গুণ বেশি।
এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডেঙ্গুসংক্রান্ত এসব তথ্য আমাদের মনে শঙ্কা জাগাচ্ছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে চিকুনগুনিয়াও।’ তিনি বলেন, ২০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ চলছে। কিন্তু মশা নিধনে এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত বছর ঢাকা সিটির মশা মারতে যে ওষুধ আমদানি করা হয়েছিল, সেটিও ভুয়া ছিল। এমনকি মশা নিধনে সারা দেশের জন্যও কোনো কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। ফলে গত বছর আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি ছিল। এ বছর শুরু থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বলে দিচ্ছে সেটা আরও ভয়াবহ হতে পারে।
সামগ্রিক বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা কোভিড নিয়ন্ত্রণে যে ধরনের সমন্বিত কার্যক্রম নিয়েছিলাম, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সে ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিশেষ করে, সার্ভিল্যান্স জোরদার করা, উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু করে সব ধরনের হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা, চিকিৎসা নির্দেশিকা হালনাগাদ করা, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, মৃত্যু পর্যালোচনা এবং সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ডেঙ্গুসংক্রান্ত তথ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্যমতে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ৭৬৯ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে পুরুষ ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ। তবে মৃত্যুর হার নারী-পুরুষ উভয়েরই সমান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে বাজারে আইভি ফ্লুইডের (স্যালাইন) সংকট সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। অথচ ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় আইভি ফ্লুইড সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গুর পিক সিজনে (ভরা মৌসুম) দেশের হাসপাতালে দৈনিক প্রায় ১০ হাজার রোগী ভর্তি থাকে। দিনে নতুন আক্রান্ত হয় প্রায় তিন হাজার। সব মিলিয়ে প্রতিদিন ভর্তি প্রত্যেক রোগীর জন্য দৈনিক ২ দশমিক ৫ লিটার ফ্লুইড প্রয়োজন। এ ছাড়া ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের রোগীদের চিকিৎসায় হিউম্যান অ্যালবুমিন ও প্লাজমাসল লাগে। তাই এ বছর ফ্লুইডের পাশাপাশি এসবের যেন ঘাটতি না পড়ে, সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া মশা নিধনের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মশা নিধন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর খায়রুল আলম বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতা বাড়াতে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। নতুন ওষুধ ও যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে। এসব কার্যক্রমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী পরিচালক ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান জানান, ২০২৩ সালের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর করণীয় নির্ধারণে সভা হয়েছে। সেখানে ডেঙ্গু ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে কি না, জানতে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) অনুরোধ করা হয়। ঢাকাসহ সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিপূর্ণ তথ্য নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমকে (এমআইএস)। এ ছাড়া ঢাকায় রোগীর চাপ কমাতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে যেন রোগীর পরিপূর্ণ চিকিৎসা হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ‘অ্যাকশন প্ল্যান ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আসছে বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারও যাতে ডেঙ্গু না হয় সেজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি, এখন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, তা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না।’
আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। ২০২৩ সালের চেয়ে আক্রান্ত ও সংক্রমণ দ্বিগুণ বা তিন গুণ হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ থেকে এমন আভাস মিলেছে। মৌসুম ছাড়াই বছরের শুরুতে সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ চলছে। রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ৮০০-এর মতো মানুষ। তাদের মধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সময়মতো যথাযথ প্রস্তুতি না নিলে ডেঙ্গু মৌসুমে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
২০২৩ ও ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসের আক্রান্ত ও মৃত্যুর তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেখতে পেয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৮৪৩ জন। অথচ চলতি বছরে একই সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭০৫ জন। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরে আক্রান্ত হওয়ার হার দ্বিগুণের বেশি। ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের, কিন্তু চলতি বছরে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। সেই হিসাবে মৃত্যুর হার বেড়ে হয়েছে প্রায় চার গুণ।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বিগত তিন বছরের সংক্রমণশীলতার তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। মৌসুম-পরবর্তী জরিপে ২০২০, ২০২১, ২০২২ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার কোনো প্রজননস্থল পাওয়া যায়নি। অথচ ২০২৩ সালে ১১টি ওয়ার্ডে প্রজননস্থল পাওয়া গেছে। ২০২০, ২০২১, ২০২২ সালে বাসাবাড়িতে এডিস মশার প্রজননস্থল পাওয়া গিয়েছিল যথাক্রমে ৮, ৬ ও ৫টি ওয়ার্ডে। ২০২৩ সালে পাওয়া যায় ২৭টিতে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে ৩৭টি ওয়ার্ডের বাড়িতে মিলেছে এডিসের অস্তিত্ব আর ২১টি ওয়ার্ডে মিলেছে প্রজননস্থল। আগের দুই বছরের তুলনায় তা যথাক্রমে ৩ গুণ ও ২১ গুণ বেশি।
এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডেঙ্গুসংক্রান্ত এসব তথ্য আমাদের মনে শঙ্কা জাগাচ্ছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে চিকুনগুনিয়াও।’ তিনি বলেন, ২০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ চলছে। কিন্তু মশা নিধনে এ পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত বছর ঢাকা সিটির মশা মারতে যে ওষুধ আমদানি করা হয়েছিল, সেটিও ভুয়া ছিল। এমনকি মশা নিধনে সারা দেশের জন্যও কোনো কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। ফলে গত বছর আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি ছিল। এ বছর শুরু থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বলে দিচ্ছে সেটা আরও ভয়াবহ হতে পারে।
সামগ্রিক বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা কোভিড নিয়ন্ত্রণে যে ধরনের সমন্বিত কার্যক্রম নিয়েছিলাম, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সে ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিশেষ করে, সার্ভিল্যান্স জোরদার করা, উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু করে সব ধরনের হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা, চিকিৎসা নির্দেশিকা হালনাগাদ করা, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, মৃত্যু পর্যালোচনা এবং সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ডেঙ্গুসংক্রান্ত তথ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্যমতে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ৭৬৯ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে পুরুষ ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ। তবে মৃত্যুর হার নারী-পুরুষ উভয়েরই সমান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়লে বাজারে আইভি ফ্লুইডের (স্যালাইন) সংকট সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। অথচ ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় আইভি ফ্লুইড সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গুর পিক সিজনে (ভরা মৌসুম) দেশের হাসপাতালে দৈনিক প্রায় ১০ হাজার রোগী ভর্তি থাকে। দিনে নতুন আক্রান্ত হয় প্রায় তিন হাজার। সব মিলিয়ে প্রতিদিন ভর্তি প্রত্যেক রোগীর জন্য দৈনিক ২ দশমিক ৫ লিটার ফ্লুইড প্রয়োজন। এ ছাড়া ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের রোগীদের চিকিৎসায় হিউম্যান অ্যালবুমিন ও প্লাজমাসল লাগে। তাই এ বছর ফ্লুইডের পাশাপাশি এসবের যেন ঘাটতি না পড়ে, সেদিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া মশা নিধনের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মশা নিধন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর খায়রুল আলম বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সচেতনতা বাড়াতে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। নতুন ওষুধ ও যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে। এসব কার্যক্রমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারী পরিচালক ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান জানান, ২০২৩ সালের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর করণীয় নির্ধারণে সভা হয়েছে। সেখানে ডেঙ্গু ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে কি না, জানতে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) অনুরোধ করা হয়। ঢাকাসহ সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিপূর্ণ তথ্য নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমকে (এমআইএস)। এ ছাড়া ঢাকায় রোগীর চাপ কমাতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে যেন রোগীর পরিপূর্ণ চিকিৎসা হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ‘অ্যাকশন প্ল্যান ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আসছে বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারও যাতে ডেঙ্গু না হয় সেজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হাসপাতালগুলোকে বলে রেখেছি, এখন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সংকটের কথা ভাবা হয়েছে, তা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে