নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। ওই দিনই গণভবন, সংসদ ভবনসহ চারটি স্থাপনায় তাঁর ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তায় থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সব অস্ত্র-সরঞ্জাম লুট হয়ে যায়।
এসএসএফের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। এতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের দিন গণভবনের প্রাচীর ও প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকেন অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা। তখন প্রাণরক্ষার জন্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে মাত্র ‘পাঁচ মিনিট’ সময় পেয়েছিলেন এসএসএফের সদস্যরা। ফলে কোনো অস্ত্র ও গুলি নিয়ে বের হতে পারেননি তাঁরা। নিরাপত্তার জন্য সেগুলো ওই সব স্থাপনার ভল্টে রাখলেও ১০০ কেজি ওজনের তিনটি ভল্ট লুট করে দুর্বৃত্তরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এসএসএফের অস্ত্র, গোলাবারুদ, অপারেশনাল সরঞ্জামাদি ও বিবিধ দ্রব্যাদির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে তিনটি তদন্ত পর্ষদ গঠন করা হয়। এসব পর্ষদ ইতিমধ্যে গণভবন ও সংসদ ভবন সরেজমিন পরিদর্শন করে বিভিন্ন অস্ত্র, সরঞ্জাম ও দ্রব্য ইস্যু সংখ্যার সঙ্গে বর্তমান সংখ্যা যাচাই করে। তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে ১৯ আগস্ট তিনটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়; যা এসএসএফের প্রধান কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়।
এসএসএফ জানায়, লুট হয় মোট ৩২টি অস্ত্র। লুট হওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেডের দাম প্রায় ২৩ লাখ টাকা। তবে সব মিলিয়ে সেদিন গণভবন ও সংসদ থেকে এসএসএফের লুট হওয়া এবং নষ্ট করা সম্পদের মূল্য ছিল পাঁচ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসএসএফ এজেন্টরা গণভবন, সুধা সদন, গুলশান রেসিডেন্স এবং সংসদ ভবনে ভিআইপি বাসস্থান এবং অফিসসমূহে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া সরকারঘোষিত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্ত্র, গোলাবারুদের পাশাপাশি অত্যাধুনিক যানবাহন, অপারেশনাল ও যোগাযোগ সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে থাকেন; যা ভিআইপিদের বাসভবন, কার্যালয় এবং ভেন্যুতে রক্ষিত থাকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ আগস্ট জনতা সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে। গণভবনের এসএসএফের অপারেশন কক্ষে বিভিন্ন ধরনের ট্যাকটিক্যাল গিয়ার বা অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাজসরঞ্জাম, বেতার যোগাযোগ ও অপারেশনাল সরঞ্জামাদি স্থায়ীভাবে স্থাপন করা দুটি ভল্টে মজুত ছিল। একটি ভল্টে দুটি এসএমজি টি-৫৬ অস্ত্র আর অপর ভল্টে তাজা গোলাবারুদ ছিল। কিন্তু হাতে সময় না থাকায় এসব ফেলে শুধু নিজেদের সঙ্গে থাকা ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিভিন্নভাবে গণভবন থেকে সংসদ ভবনে গিয়ে প্রাণরক্ষার চেষ্টা করেন তাঁরা। গণ-অভ্যুত্থানকারী জনতা যখন সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে, তখন এসএসএফ সদস্যরা দ্রুত নিজেদের অস্ত্র ও পোশাক খুলে সংসদ ভবনের ভল্টে অস্ত্র রেখে সাধারণ পোশাকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে প্রাণরক্ষা করেন। পরবর্তী সময়ে গণভবন ও সংসদ ভবনে থাকা ভল্টগুলো আর পাওয়া যায়নি, যা আন্দোলনকারী বেশে দুষ্কৃতকারীরা নিয়ে গেছে বলে মনে করছে এসএসএফ।
এসএসএফের ক্ষয়ক্ষতির আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১টি জিপ ও কার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসবের ক্ষতি প্রায় ১৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া অপারেশনাল সরঞ্জাম যেমন অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি ড্রোন গান, অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস। এসব সরঞ্জামাদি বাবদ ক্ষতি প্রায় ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আইটি ও গোয়েন্দা সরঞ্জামাদি বাবদ ক্ষতি প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, এ ছাড়া লুট হয় তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবহৃত জিনিস; যার আনুমানিক মূল্য ৭৪ লাখ টাকা। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক হিসাব করে সংস্থাটি বলেছে, ৫ আগস্টের ঘটনায় এসএসএফের বিভিন্ন অস্ত্র ও দ্রব্য লুট ও ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এদিকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে জোর তৎপরতা চালানোর সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে এসএসএফের অপারেশনাল রুম আরও সুরক্ষিত রাখতে একটি আলাদা অফিসার্স পর্ষদ গঠন করতে সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া এসএসএফের সব বেতারযন্ত্রের প্রাইভেসি কোড পরিবর্তন করে নতুন নেটওয়ার্কে যোগাযোগ করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। ওই দিনই গণভবন, সংসদ ভবনসহ চারটি স্থাপনায় তাঁর ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তায় থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সব অস্ত্র-সরঞ্জাম লুট হয়ে যায়।
এসএসএফের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। এতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের দিন গণভবনের প্রাচীর ও প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকেন অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা। তখন প্রাণরক্ষার জন্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে মাত্র ‘পাঁচ মিনিট’ সময় পেয়েছিলেন এসএসএফের সদস্যরা। ফলে কোনো অস্ত্র ও গুলি নিয়ে বের হতে পারেননি তাঁরা। নিরাপত্তার জন্য সেগুলো ওই সব স্থাপনার ভল্টে রাখলেও ১০০ কেজি ওজনের তিনটি ভল্ট লুট করে দুর্বৃত্তরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এসএসএফের অস্ত্র, গোলাবারুদ, অপারেশনাল সরঞ্জামাদি ও বিবিধ দ্রব্যাদির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে তিনটি তদন্ত পর্ষদ গঠন করা হয়। এসব পর্ষদ ইতিমধ্যে গণভবন ও সংসদ ভবন সরেজমিন পরিদর্শন করে বিভিন্ন অস্ত্র, সরঞ্জাম ও দ্রব্য ইস্যু সংখ্যার সঙ্গে বর্তমান সংখ্যা যাচাই করে। তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে ১৯ আগস্ট তিনটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়; যা এসএসএফের প্রধান কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়।
এসএসএফ জানায়, লুট হয় মোট ৩২টি অস্ত্র। লুট হওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেডের দাম প্রায় ২৩ লাখ টাকা। তবে সব মিলিয়ে সেদিন গণভবন ও সংসদ থেকে এসএসএফের লুট হওয়া এবং নষ্ট করা সম্পদের মূল্য ছিল পাঁচ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসএসএফ এজেন্টরা গণভবন, সুধা সদন, গুলশান রেসিডেন্স এবং সংসদ ভবনে ভিআইপি বাসস্থান এবং অফিসসমূহে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া সরকারঘোষিত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্ত্র, গোলাবারুদের পাশাপাশি অত্যাধুনিক যানবাহন, অপারেশনাল ও যোগাযোগ সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে থাকেন; যা ভিআইপিদের বাসভবন, কার্যালয় এবং ভেন্যুতে রক্ষিত থাকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ আগস্ট জনতা সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে। গণভবনের এসএসএফের অপারেশন কক্ষে বিভিন্ন ধরনের ট্যাকটিক্যাল গিয়ার বা অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাজসরঞ্জাম, বেতার যোগাযোগ ও অপারেশনাল সরঞ্জামাদি স্থায়ীভাবে স্থাপন করা দুটি ভল্টে মজুত ছিল। একটি ভল্টে দুটি এসএমজি টি-৫৬ অস্ত্র আর অপর ভল্টে তাজা গোলাবারুদ ছিল। কিন্তু হাতে সময় না থাকায় এসব ফেলে শুধু নিজেদের সঙ্গে থাকা ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিভিন্নভাবে গণভবন থেকে সংসদ ভবনে গিয়ে প্রাণরক্ষার চেষ্টা করেন তাঁরা। গণ-অভ্যুত্থানকারী জনতা যখন সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে, তখন এসএসএফ সদস্যরা দ্রুত নিজেদের অস্ত্র ও পোশাক খুলে সংসদ ভবনের ভল্টে অস্ত্র রেখে সাধারণ পোশাকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে প্রাণরক্ষা করেন। পরবর্তী সময়ে গণভবন ও সংসদ ভবনে থাকা ভল্টগুলো আর পাওয়া যায়নি, যা আন্দোলনকারী বেশে দুষ্কৃতকারীরা নিয়ে গেছে বলে মনে করছে এসএসএফ।
এসএসএফের ক্ষয়ক্ষতির আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১টি জিপ ও কার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসবের ক্ষতি প্রায় ১৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া অপারেশনাল সরঞ্জাম যেমন অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি ড্রোন গান, অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস। এসব সরঞ্জামাদি বাবদ ক্ষতি প্রায় ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আইটি ও গোয়েন্দা সরঞ্জামাদি বাবদ ক্ষতি প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, এ ছাড়া লুট হয় তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবহৃত জিনিস; যার আনুমানিক মূল্য ৭৪ লাখ টাকা। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক হিসাব করে সংস্থাটি বলেছে, ৫ আগস্টের ঘটনায় এসএসএফের বিভিন্ন অস্ত্র ও দ্রব্য লুট ও ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এদিকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে জোর তৎপরতা চালানোর সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে এসএসএফের অপারেশনাল রুম আরও সুরক্ষিত রাখতে একটি আলাদা অফিসার্স পর্ষদ গঠন করতে সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া এসএসএফের সব বেতারযন্ত্রের প্রাইভেসি কোড পরিবর্তন করে নতুন নেটওয়ার্কে যোগাযোগ করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে