নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের মাঠে নেই বিএনপি। তবে কদর বেড়েছে দলটির স্থানীয় নেতাদের। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ—সব দলই বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভোট পেতে চায়। এ জন্য কোনো কোনো দলের নেতারা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেছেন। পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। অবশ্য বিএনপি নেতারা এমন যোগাযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
আসন্ন বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটার প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার। নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে এই ভোটাররাই মেয়র প্রার্থীদের ভরসা। এই ভোটারদের একটি অংশ বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থক। এই ভোটব্যাংকের জন্যই ২০০৩ সালের সিটি নির্বাচনে বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার এবং ২০১৩ সালে আহসান হাবিব কামাল বিসিসির মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সিটি নির্বাচন সামনে রেখে অনানুষ্ঠানিকভাবে বরিশাল নগরে নেমে পড়েছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে ৮ মে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা। সূত্র বলেছে, এ জন্য দলটির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। আশা করছেন পাশে পাওয়ার।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভোট পাওয়ার আশা করছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মীর আমিন উদ্দিন মোহন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভোটে না গেলেও দলটির নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা এই সমাজে বাস করেন। নগরের উন্নয়নে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের ভোট নৌকার প্রার্থীই পাবেন। খোকন সেরনিয়াবাত (আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী) যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন, তাতে সাড়া দিয়ে আমাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা।’
একই রকম আশা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিএনপি নেই বলে তাদের সমর্থকেরা তো ভোট না দিয়ে ঘরে বসে থাকবে না। বিএনপিসহ সব দলের সমর্থকেরাই হাতপাখায় ভোট দেবে। এমনকি আওয়ামী লীগের ভোটও আমি পাব বলে আশা করছি।’
এদিকে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপসের মুখপাত্র এবং নগর জাপার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহসীন উল ইসলাম হাবুল বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়রের পাঁচ বছরের জুলুম, অত্যাচারে আর ফিরে যেতে চায় না নগরবাসী। তাই বিএনপি যেহেতু ভোটে আসছে না, সেহেতু ওই দলের সমর্থকেরা জাতীয়তাবাদী শক্তির কথা বিবেচনা করে লাঙ্গলের পক্ষেই থাকবেন।
তবে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘বিএনপির তো পছন্দের প্রার্থীই নাই, তাহলে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে কাকে। আমি বিশ্বাস করি না বিএনপির কোনো নেতার সঙ্গে মেয়র প্রার্থীদের যোগাযোগ আছে।’
নতুন বরিশাল গড়ার স্লোগানের কারণে বিএনপি, জাপাসহ সব দলের সমর্থন থাকার আশা করছেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম। তিনি বলেন, ‘যারা সিটির নাগরিক, নগর সুবিধা যারা পাবে, তাদের সবার কাছেই ভোট চাই। এ ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত বলে কিছু নেই।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, তাঁর দল সিটি নির্বাচনে অংশ নেবে না। এরপরও কেউ কেউ বিএনপির লেবাস গায়ে জড়িয়ে সুযোগ নিতে চান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হয়তো বিএনপির স্থানীয় কারও কারও ওপর টোপ ফেলেছে। কিন্তু ওই টোপে পড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ইসলামি কোনো দল কিংবা জাপার সঙ্গেও বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শের মিল নেই।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের মাঠে নেই বিএনপি। তবে কদর বেড়েছে দলটির স্থানীয় নেতাদের। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ—সব দলই বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভোট পেতে চায়। এ জন্য কোনো কোনো দলের নেতারা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেছেন। পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। অবশ্য বিএনপি নেতারা এমন যোগাযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
আসন্ন বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটার প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার। নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে এই ভোটাররাই মেয়র প্রার্থীদের ভরসা। এই ভোটারদের একটি অংশ বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থক। এই ভোটব্যাংকের জন্যই ২০০৩ সালের সিটি নির্বাচনে বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার এবং ২০১৩ সালে আহসান হাবিব কামাল বিসিসির মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সিটি নির্বাচন সামনে রেখে অনানুষ্ঠানিকভাবে বরিশাল নগরে নেমে পড়েছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে ৮ মে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা। সূত্র বলেছে, এ জন্য দলটির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বিভিন্ন দলের নেতারা। আশা করছেন পাশে পাওয়ার।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভোট পাওয়ার আশা করছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মীর আমিন উদ্দিন মোহন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভোটে না গেলেও দলটির নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা এই সমাজে বাস করেন। নগরের উন্নয়নে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের ভোট নৌকার প্রার্থীই পাবেন। খোকন সেরনিয়াবাত (আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী) যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন, তাতে সাড়া দিয়ে আমাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বিএনপির অনেক নেতা।’
একই রকম আশা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিএনপি নেই বলে তাদের সমর্থকেরা তো ভোট না দিয়ে ঘরে বসে থাকবে না। বিএনপিসহ সব দলের সমর্থকেরাই হাতপাখায় ভোট দেবে। এমনকি আওয়ামী লীগের ভোটও আমি পাব বলে আশা করছি।’
এদিকে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপসের মুখপাত্র এবং নগর জাপার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহসীন উল ইসলাম হাবুল বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়রের পাঁচ বছরের জুলুম, অত্যাচারে আর ফিরে যেতে চায় না নগরবাসী। তাই বিএনপি যেহেতু ভোটে আসছে না, সেহেতু ওই দলের সমর্থকেরা জাতীয়তাবাদী শক্তির কথা বিবেচনা করে লাঙ্গলের পক্ষেই থাকবেন।
তবে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘বিএনপির তো পছন্দের প্রার্থীই নাই, তাহলে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে কাকে। আমি বিশ্বাস করি না বিএনপির কোনো নেতার সঙ্গে মেয়র প্রার্থীদের যোগাযোগ আছে।’
নতুন বরিশাল গড়ার স্লোগানের কারণে বিএনপি, জাপাসহ সব দলের সমর্থন থাকার আশা করছেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম। তিনি বলেন, ‘যারা সিটির নাগরিক, নগর সুবিধা যারা পাবে, তাদের সবার কাছেই ভোট চাই। এ ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত বলে কিছু নেই।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, তাঁর দল সিটি নির্বাচনে অংশ নেবে না। এরপরও কেউ কেউ বিএনপির লেবাস গায়ে জড়িয়ে সুযোগ নিতে চান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হয়তো বিএনপির স্থানীয় কারও কারও ওপর টোপ ফেলেছে। কিন্তু ওই টোপে পড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ইসলামি কোনো দল কিংবা জাপার সঙ্গেও বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শের মিল নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪