রাহুল শর্মা, ঢাকা
১৭৬টি একাডেমিক ভবনের মধ্যে হস্তান্তর হয়েছে মাত্র ৫৫টি। আর বাকিগুলোর দরপত্র আহ্বান ও নির্মাণ কাজ চলছে। হয়নি বিজ্ঞান শিক্ষকের ৮ হাজার ৬২৫টি ও হোস্টেল কর্মচারীর ৪৫৫টি পদ সৃজন। বাজার চাহিদার আলোকে ১০টি নতুন বিষয় চালুর কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি এখনো। প্রকল্পের এ রকম মূল কাজের অনেকগুলো বাকি থাকলেও থেমে নেই কেনাকাটা। এমন দশায় থাকা প্রকল্পটির নাম ‘সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (ফোসেপ) প্রকল্প (১ম সংশোধিত)’।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে নেওয়া এই প্রকল্পের ব্যয় শুরুতে ধরা হয় ২ হাজার ৫১১ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। পরে ২০২৩ সালে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করে মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এবং ব্যয় বাড়িয়ে ২ হাজার ৫৫০ কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা করা হয়।
প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৭৬টি একাডেমিক ভবন ও ৩৫টি হোস্টেল নির্মাণ এবং কয়েকটি ভবন সংস্কার হচ্ছে। এ ছাড়া ২০০টি কলেজে অফিস সরঞ্জাম, কম্পিউটার সামগ্রী, বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি ও আসবাব সরবরাহ এবং ১ হাজার ৯১৪টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কথা। এর বাইরে বাজার চাহিদার আলোকে ১০টি নতুন বিষয় চালু, ৮ হাজার ৬২৫টি বিজ্ঞান শিক্ষক ও হোস্টেলের কর্মচারীর ৪৫৫টি পদ সৃজনও প্রকল্পভুক্ত।
মাউশির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ প্রকল্পের শুরু থেকেই পদে পদে অনিয়ম হয়েছে। আর অনিয়মের জেরে প্রথম প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক নুরুল হুদাকে সরিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবশ্য এতেও থেমে থাকেনি অনিয়ম-দুর্নীতি। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা মূল কাজ বাদ দিয়ে কেনাকাটায় নজর দিয়েছেন। এ জন্য গত প্রায় ৬ বছরে প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ৪৩ শতাংশ। এরই মধ্যে প্রকল্পের আওতায় মোটা অঙ্কের কেনাকাটাও শেষ হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা আবার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে ১১তম পিএসসি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের সব কাজ সমাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি বা সংশোধন কোনোটাই আর বিবেচনা করা হবে না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গত ২৪ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ খালেদ রহীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হস্তান্তর হয়েছে মাত্র ৫৫টি ভবন
প্রকল্পের আওতায় ১৭৬টি ছয়তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের কথা। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) ১২তম সভার তথ্য বলছে, এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ৫৫টি ভবন হস্তান্তর হয়েছে এবং ৩৯টির কাজ চলমান। আর জেলা পর্যায়ের ৮২টি ভবনের মধ্যে ৭২টির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাকি ১০টির মধ্যে ৭টি নন-প্রোটোটাইপ ডিজাইন অনুমোদিত হয়েছে, ১টি অনুমোদনের অপেক্ষায়, ১টি ভবনের জমি সমস্যা এবং ১টির দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া ৩৫টি হোস্টেল নির্মাণের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত হস্তান্তর হয়েছে ৫টি। আর বাকিগুলোর কাজ চলছে। এ ছাড়া ৫টি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ও ৬টি কলেজের কক্ষ মেরামত ও সংস্কার শেষ হয়েছে।
মাউশি সূত্র বলছে, জেলা পর্যায়ের ৮২টি ভবনের দরপত্র প্রক্রিয়া করে ভবন হস্তান্তর পর্যন্ত সর্বনিম্ন নির্ধারিত সময় লাগবে ১৮ থেকে ২৪ মাস। বর্তমান প্রকল্পের মেয়াদে (২০২৫ সালের জুন) এটি সম্ভব নয় বলে উঠে এসেছে ১২তম পিআইসির সভায়। গত ১১ জুন অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
এর বাইরে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য এখনো লিফট ক্রয় করা হয়নি। এতে যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না ভবনগুলো। আর ৮৬টি কলেজের পাওয়ার স্টেশন স্থাপনের কাজও থমকে আছে। আর নানা জটিলতায় কয়েকটি কলেজে নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে আছে, যা উঠে আসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ১১তম সভায়। গত ২১ এপ্রিল মাউশি কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. খন্দকার মুজাহিদুল হক গত ২৪ জুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের চলতি মেয়াদে সব ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হবে না। এ জন্য ডিপিপি সংশোধন করতে হবে। আর এ প্রকল্পের সবকিছু স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হচ্ছে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
মূল কাজের খবর নেই, নজর কেনাকাটায়
প্রকল্পের নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রকল্পের মূল কাজ অর্থাৎ ভবন নির্মাণ ও পদ সৃজন শেষ না হলেও প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের নজর কেনাকাটায়। ১২তম পিআইসি সভার সূত্র বলছে, এ প্রকল্পের আওতায় ১১৭টি ফটোকপিয়ার, ৩৮৭টি মাইক্রোওভেন-ফ্ল্যাক্স ও ফ্রিজ, আসবাব ৫৬ হাজার ৭৩৯টি, টিভি-ডিপ ফ্রিজ ৩০টি, এসি ৪০টি এবং ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি ৩৪২ সেট সরবরাহ করা হয়েছে। আর ১২ হাজার ৫৫৫টি আসবাব ও ৩৫ হাজার কম্পিউটার সামগ্রী সরবরাহের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুরু থেকেই এ প্রকল্পের মূল কাজ অর্থাৎ বিজ্ঞান শিক্ষকের পদ সৃজন, নতুন ১০ বিষয় চালু, ভবন নির্মাণে জোর দেওয়া হয়নি। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের বেশি মনোযোগ কেনাকাটায়। কারণ, যত বেশি কেনাকাটা, তত বেশি কমিশন পকেটে ঢোকে। আর এসব কেনাকাটায়ও ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে।
৬ বছরেও হয়নি পদ সৃজন
প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞান শিক্ষকের ৮ হাজার ৬২৫টি পদ সৃজনের কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে বিজ্ঞানের ১০টি বিষয়ে ৭ হাজার ৩৭৫টি এবং ১০টি নতুন বিষয়ে ১ হাজার ২৫০টি। আর হোস্টেলের কর্মচারীদের ৪৫৫টি পদ। কিন্তু ছয় বছরেও এসব পদ সৃজন হয়নি। শুধু ২০০টি কলেজের ৭ হাজার ৩৭৫টি বিজ্ঞান শিক্ষকদের পদ সৃজনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর গত ৩১ জানুয়ারি নতুন ১০ বিষয়ে ডিপ্লোমা/ট্রেড কোর্স বা শর্ট কোর্স চালুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এরপর তা পিএসসি সভার জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
নানা সমস্যায় জর্জর ভবন
১২তম পিআইসি সভা সূত্র বলছে, নানা সমস্যায় জর্জর নির্মিত ভবনগুলো। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে গবেষণাগারে পানি সরবরাহের অভাব, হলরুম ও শিক্ষার্থীদের কমনরুমে আসবাবের সংস্থান না থাকা, ভবনের বারান্দায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা ইত্যাদি।
১৭৬টি একাডেমিক ভবনের মধ্যে হস্তান্তর হয়েছে মাত্র ৫৫টি। আর বাকিগুলোর দরপত্র আহ্বান ও নির্মাণ কাজ চলছে। হয়নি বিজ্ঞান শিক্ষকের ৮ হাজার ৬২৫টি ও হোস্টেল কর্মচারীর ৪৫৫টি পদ সৃজন। বাজার চাহিদার আলোকে ১০টি নতুন বিষয় চালুর কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি এখনো। প্রকল্পের এ রকম মূল কাজের অনেকগুলো বাকি থাকলেও থেমে নেই কেনাকাটা। এমন দশায় থাকা প্রকল্পটির নাম ‘সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (ফোসেপ) প্রকল্প (১ম সংশোধিত)’।
সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে নেওয়া এই প্রকল্পের ব্যয় শুরুতে ধরা হয় ২ হাজার ৫১১ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। পরে ২০২৩ সালে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করে মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত এবং ব্যয় বাড়িয়ে ২ হাজার ৫৫০ কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা করা হয়।
প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৭৬টি একাডেমিক ভবন ও ৩৫টি হোস্টেল নির্মাণ এবং কয়েকটি ভবন সংস্কার হচ্ছে। এ ছাড়া ২০০টি কলেজে অফিস সরঞ্জাম, কম্পিউটার সামগ্রী, বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি ও আসবাব সরবরাহ এবং ১ হাজার ৯১৪টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কথা। এর বাইরে বাজার চাহিদার আলোকে ১০টি নতুন বিষয় চালু, ৮ হাজার ৬২৫টি বিজ্ঞান শিক্ষক ও হোস্টেলের কর্মচারীর ৪৫৫টি পদ সৃজনও প্রকল্পভুক্ত।
মাউশির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ প্রকল্পের শুরু থেকেই পদে পদে অনিয়ম হয়েছে। আর অনিয়মের জেরে প্রথম প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক নুরুল হুদাকে সরিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবশ্য এতেও থেমে থাকেনি অনিয়ম-দুর্নীতি। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা মূল কাজ বাদ দিয়ে কেনাকাটায় নজর দিয়েছেন। এ জন্য গত প্রায় ৬ বছরে প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ৪৩ শতাংশ। এরই মধ্যে প্রকল্পের আওতায় মোটা অঙ্কের কেনাকাটাও শেষ হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা আবার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে ১১তম পিএসসি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের সব কাজ সমাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি বা সংশোধন কোনোটাই আর বিবেচনা করা হবে না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে গত ২৪ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ খালেদ রহীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হস্তান্তর হয়েছে মাত্র ৫৫টি ভবন
প্রকল্পের আওতায় ১৭৬টি ছয়তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের কথা। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) ১২তম সভার তথ্য বলছে, এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে ৫৫টি ভবন হস্তান্তর হয়েছে এবং ৩৯টির কাজ চলমান। আর জেলা পর্যায়ের ৮২টি ভবনের মধ্যে ৭২টির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাকি ১০টির মধ্যে ৭টি নন-প্রোটোটাইপ ডিজাইন অনুমোদিত হয়েছে, ১টি অনুমোদনের অপেক্ষায়, ১টি ভবনের জমি সমস্যা এবং ১টির দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া ৩৫টি হোস্টেল নির্মাণের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত হস্তান্তর হয়েছে ৫টি। আর বাকিগুলোর কাজ চলছে। এ ছাড়া ৫টি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ও ৬টি কলেজের কক্ষ মেরামত ও সংস্কার শেষ হয়েছে।
মাউশি সূত্র বলছে, জেলা পর্যায়ের ৮২টি ভবনের দরপত্র প্রক্রিয়া করে ভবন হস্তান্তর পর্যন্ত সর্বনিম্ন নির্ধারিত সময় লাগবে ১৮ থেকে ২৪ মাস। বর্তমান প্রকল্পের মেয়াদে (২০২৫ সালের জুন) এটি সম্ভব নয় বলে উঠে এসেছে ১২তম পিআইসির সভায়। গত ১১ জুন অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
এর বাইরে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য এখনো লিফট ক্রয় করা হয়নি। এতে যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না ভবনগুলো। আর ৮৬টি কলেজের পাওয়ার স্টেশন স্থাপনের কাজও থমকে আছে। আর নানা জটিলতায় কয়েকটি কলেজে নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে আছে, যা উঠে আসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ১১তম সভায়। গত ২১ এপ্রিল মাউশি কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. খন্দকার মুজাহিদুল হক গত ২৪ জুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের চলতি মেয়াদে সব ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হবে না। এ জন্য ডিপিপি সংশোধন করতে হবে। আর এ প্রকল্পের সবকিছু স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হচ্ছে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
মূল কাজের খবর নেই, নজর কেনাকাটায়
প্রকল্পের নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রকল্পের মূল কাজ অর্থাৎ ভবন নির্মাণ ও পদ সৃজন শেষ না হলেও প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের নজর কেনাকাটায়। ১২তম পিআইসি সভার সূত্র বলছে, এ প্রকল্পের আওতায় ১১৭টি ফটোকপিয়ার, ৩৮৭টি মাইক্রোওভেন-ফ্ল্যাক্স ও ফ্রিজ, আসবাব ৫৬ হাজার ৭৩৯টি, টিভি-ডিপ ফ্রিজ ৩০টি, এসি ৪০টি এবং ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি ৩৪২ সেট সরবরাহ করা হয়েছে। আর ১২ হাজার ৫৫৫টি আসবাব ও ৩৫ হাজার কম্পিউটার সামগ্রী সরবরাহের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুরু থেকেই এ প্রকল্পের মূল কাজ অর্থাৎ বিজ্ঞান শিক্ষকের পদ সৃজন, নতুন ১০ বিষয় চালু, ভবন নির্মাণে জোর দেওয়া হয়নি। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের বেশি মনোযোগ কেনাকাটায়। কারণ, যত বেশি কেনাকাটা, তত বেশি কমিশন পকেটে ঢোকে। আর এসব কেনাকাটায়ও ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে।
৬ বছরেও হয়নি পদ সৃজন
প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞান শিক্ষকের ৮ হাজার ৬২৫টি পদ সৃজনের কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে বিজ্ঞানের ১০টি বিষয়ে ৭ হাজার ৩৭৫টি এবং ১০টি নতুন বিষয়ে ১ হাজার ২৫০টি। আর হোস্টেলের কর্মচারীদের ৪৫৫টি পদ। কিন্তু ছয় বছরেও এসব পদ সৃজন হয়নি। শুধু ২০০টি কলেজের ৭ হাজার ৩৭৫টি বিজ্ঞান শিক্ষকদের পদ সৃজনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর গত ৩১ জানুয়ারি নতুন ১০ বিষয়ে ডিপ্লোমা/ট্রেড কোর্স বা শর্ট কোর্স চালুর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এরপর তা পিএসসি সভার জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
নানা সমস্যায় জর্জর ভবন
১২তম পিআইসি সভা সূত্র বলছে, নানা সমস্যায় জর্জর নির্মিত ভবনগুলো। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে গবেষণাগারে পানি সরবরাহের অভাব, হলরুম ও শিক্ষার্থীদের কমনরুমে আসবাবের সংস্থান না থাকা, ভবনের বারান্দায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা ইত্যাদি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে