Ajker Patrika

কিশোরগঞ্জে তালিকা ছাড়াই খাদ্যগুদামে ধান কেনা শুরু

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ ও মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
কিশোরগঞ্জে তালিকা ছাড়াই খাদ্যগুদামে ধান কেনা শুরু

কিশোরগঞ্জ জেলায় তালিকা ছাড়াই কৃষকের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকার প্রতি মৌসুমে ধান কিনলেও কৃষক সরাসরি গুদামে দিতে পারেন না। ফড়িয়ারা সস্তায় ধান কিনে গুদামে দেন। এতে প্রকৃত কৃষকেরা বঞ্চিত হন।

জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলার ১৩ উপজেলায় ১ হাজার ২০০ টাকা মণ (৩০ টাকা কেজি) দরে ১৪ হাজার ৩০৩ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার আটটি উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে এবং বাকি উপজেলায় তালিকার মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। তবে, এখনো কৃষকের হালনাগাদ তালিকা শেষ হয়নি। জেলা খাদ্য বিভাগের দাবি, তালিকা হালনাগাদ করে কয়েকদিনের মধ্যে সব উপজেলায় ধান কেনা শুরু হবে।

কৃষকেরা জানান, খাদ্য বিভাগে কোনো প্রকৃত কৃষক ধান সরবরাহ করতে গেলে ভেজা বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই হয়রানির কারণেই প্রকৃত কৃষক খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করতে চান না।

অন্যদিকে পড়াশোনা না জানায় অ্যাপে বেশির ভাগ প্রকৃত কৃষক নিবন্ধন করতে পারেন না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পছন্দের লোক বা স্থানীয় প্রভাবশালীদের লোকজনই সরকারি গুদামে ধান সরবরাহের সুযোগ পান বলে সূত্র জানায়।

ইটনা উপজেলার কৃষক আকরাম হোসেন বলেন, ‘গুদামের খোলা মাঠে ধান নিয়ে রাখতে হয়। পরে তাঁদের পছন্দ না হলে আবার ফেরত নিয়ে আসতে হয় বাড়িতে। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। প্রতিবছর চেষ্টা করি, গুদামে ধান বিক্রি করতে, 
নানা অজুহাতে পারি না। এবারও প্রায় ১০০ মণ ধান বেচার জন্য শুকিয়ে রাখা হয়েছে।’

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর, বাজিতপুর, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, তাড়াইল, করিমগঞ্জ ও ভৈরবে অ্যাপের মাধ্যমে নাম নিবন্ধন করে কৃষকের কাছ থেকে লটারির মাধ্যমে ধান কেনা হবে। অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের তালিকা নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যদি অ্যাপে পর্যাপ্তসংখ্যক কৃষক নাম নিবন্ধন করে তবে আমরা কার্যক্রম শুরু করে দেব। তবে অন্য উপজেলায় তালিকার মাধ্যমেই ধান কেনা শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত