খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের দ্বিতীয় গান ‘মা লো মা’ প্রকাশ পেয়েছে গত শুক্রবার। আরিফ দেওয়ান, সাগর দেওয়ান ও আলী হাসানের গাওয়া গানটি এরই মধ্যে বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ইউটিউবে গানটি দেখা হয়েছে ৪৮ লাখের বেশি। তবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গানটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এ গানের মূল রচয়িতা কে, এ ইস্যুতে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
কোক স্টুডিও বাংলা মা লো মা গানের ক্রেডিটে রচয়িতা হিসেবে প্রখ্যাত মরমি সাধক আব্দুল খালেক দেওয়ানের নাম দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, গানটির ভিন্ন একটি সংস্করণ ‘মা-গো মা, ঝি-গো ঝি করলাম কী রঙ্গে’-এর রচয়িতা বাউলকবি রশিদ উদ্দিন। তবে গানের ভণিতায় বলা হয়েছে খালেক দেওয়ানের নাম। মূলত সেটি নিয়েই বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এ নিয়ে লেখালেখি করছেন। কোক স্টুডিও বাংলার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এ বিষয়ে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন বাউল রশিদ উদ্দিনের জন্মস্থান নেত্রকোনা জেলার কবি-সাহিত্যিক, তাঁর ভক্ত-অনুসারী ও বাউলগানের গুণমুগ্ধরা। ‘সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক সংগঠনসমূহ ও সম্মিলিত নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে গত সোমবার সকালে নেত্রকোনা প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, এটি রশিদ উদ্দিনের গান হিসেবে প্রায় শত বছর ধরে গাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোক স্টুডিও বাংলা গানটি আরেক বাউল আব্দুল খালেক দেওয়ানের নামে প্রচার করছে।
কথা হয় নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, এটা রশিদ উদ্দিনের গান। আমাদের অঞ্চলে এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য, এটা তাঁর গান। খালেক দেওয়ানও গুণীজন, তাঁকে ছোট করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের দাবি, এই গানটি রশিদ উদ্দিনের। এর পক্ষে আমাদের কাছে প্রায় ৭০-৮০ বছর আগের একটি পাণ্ডুলিপি আছে, যা আমরা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছি। এ বিষয়ের সঠিক সমাধান আমরা দাবি করি। তবে কোনোভাবেই দেওয়ান পরিবার কিংবা রশিদ উদ্দিন, কারও যেন সম্মানহানি না হয়।’
বাউল রশিদ উদ্দিনের ছোট ছেলে আবু আনছার ওরফে কালা মিয়া বলেন, ‘ছোট থেকেই দেখে আসছি এই গান আমার বাবার নামে বিভিন্ন শিল্পীরা গাইছেন। এটা কী করে পরিবর্তন করা হলো? আমরা এর বিহিত চাই।’ লোক গবেষক ও কবি সরোজ মোস্তফা বলেন, ‘এই গানটার ভাব, ভাষা ও সংস্কৃতির সর্বাংশে আছে হাওরাঞ্চল। এই গানটার সর্বাংশে আছে পূর্ব ময়মনসিংহের জলজ জীবনের ভাব ও ভাবুকতা। প্রায় ১০০ বছর ধরে লোক পরম্পরায় এই গান রশিদ উদ্দিনের নামে চলেছে। রশিদ উদ্দিনের সংকলনগুলোতেও এই গান আছে।’
২০২০ সালে উৎস প্রকাশন থেকে ‘বাউল রশিদ উদ্দিন সমগ্র’ নামে একটি সংকলন প্রকাশ করেন সাইফুল ইসলাম শাহীন। তাঁর এ সংকলনেও রশিদ উদ্দিনের গান হিসেবে ‘মা-গো মা, ঝি-গো ঝি করলাম কী রঙ্গে’ গানটি রয়েছে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এর আগে ঢাকা ফোক ফেস্টে দেওয়ান আব্দুল হাই এই গান পরিবেশনার সময় গানের ভণিতায় রশিদ উদ্দিনের নামের পরিবর্তে খালেক দেওয়ানের নাম উল্লেখ করেন। তখনো আমি প্রতিবাদ করেছিলাম।
এবার যখন কোক স্টুডিও বাংলা গানটির রিমেক করল, সেখানেও একই ঘটনা ঘটল। একজন গীতিকবি যখন একটি গান লেখেন, তখন তাঁর আশপাশের অঞ্চলের চিত্র তাতে ফুটে ওঠে। এ গানে গোমাই নামে একটি নদীর নাম আছে। গোমাই নেত্রকোনার একটি নদী। এ ছাড়া অনেক আঞ্চলিক শব্দ, যেমন “নয়া পানি” এটিও এ অঞ্চলের ভাষা। আমার কাছে আরও কিছু প্রমাণ ও পাণ্ডুলিপি আছে। সব মিলিয়ে আমরা মনে করি, এটা বাউল রশিদ উদ্দিনের গান।’
কোক স্টুডিও বাংলায় মা লো মা গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন প্রীতম হাসান। গানের রচয়িতা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গানটির দুটি ভার্সন পেয়েছি। দুটি ভার্সন শুনলে বুঝতে পারবেন, সেখানে কথা বা শব্দ আলাদা। আমি খালেক দেওয়ানের ভার্সনটি নিয়েই কাজ করেছি। রশিদ উদ্দিনেরও আরেকটা ভার্সন রয়েছে।’
কোক স্টুডিও বাংলার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোক স্টুডিও বাংলা একজন শিল্পীর সৃজনশীলতা ও মেধাসম্পদের মৌলিকত্বের গুরুত্ব অনুধাবন এবং মূল্যায়ন করে। আমাদের প্রতিটি গান সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করা হয় এবং শিল্পীকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। মা লো মা গানটি খালেক দেওয়ানের লেখা। তাঁর বংশধর আরিফ দেওয়ান ও সাগর দেওয়ান এই গানে পারফর্ম করেছেন। ‘‘মা গো মা’’ নামে এই গানের আরও একটি সংস্করণ আছে, যা বাউল রশিদ উদ্দিনের লেখা। গান দুটির মধ্যে বিভ্রান্তি এড়াতে ইউটিউবে গানটির বর্ণনায় রশিদ উদ্দিনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।’
মা লো মা গানের অন্যতম গায়ক সাগর দেওয়ান জানান, এর রচয়িতা নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের কথা তিনিও শুনেছেন। তিনি জানান, এ গানের মূল গীতিকার খালেক দেওয়ান। এক পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি নিয়ে বিতর্ক করছেন বলে দাবি করেন সাগর দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘আসলে এ বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। আমার দাদা খালেক দেওয়ান ছিলেন রশিদ উদ্দিনের সমসাময়িক। খালেক দেওয়ান পুরো দেশ বিচরণ করেছেন। রশিদ উদ্দিনও তো শুনেছেন তাঁর গান। কখনো তো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
স্বাধীনতার আগে খালেক দেওয়ান নিজের কণ্ঠে গানটি রেকর্ড করেছিলেন। তাঁর একাধিক সংকলনেও এ গানটি আছে। এখন যাঁরা এ নিয়ে বিতর্ক তুলেছেন, তাঁদের সবাইকে আমি চিনি। তাঁরা আসলে প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে-পুড়ে এসব করছেন। এ বিষয়ে শিগগির আমরা সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরব।’
কোক স্টুডিও বাংলার ‘মা লো মা’ গানটি আসলে কার, দুই পক্ষের যুক্তি-প্রমাণ খণ্ডিয়ে তার প্রকৃত সমাধান পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে সবার।
কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের দ্বিতীয় গান ‘মা লো মা’ প্রকাশ পেয়েছে গত শুক্রবার। আরিফ দেওয়ান, সাগর দেওয়ান ও আলী হাসানের গাওয়া গানটি এরই মধ্যে বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ইউটিউবে গানটি দেখা হয়েছে ৪৮ লাখের বেশি। তবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গানটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এ গানের মূল রচয়িতা কে, এ ইস্যুতে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
কোক স্টুডিও বাংলা মা লো মা গানের ক্রেডিটে রচয়িতা হিসেবে প্রখ্যাত মরমি সাধক আব্দুল খালেক দেওয়ানের নাম দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, গানটির ভিন্ন একটি সংস্করণ ‘মা-গো মা, ঝি-গো ঝি করলাম কী রঙ্গে’-এর রচয়িতা বাউলকবি রশিদ উদ্দিন। তবে গানের ভণিতায় বলা হয়েছে খালেক দেওয়ানের নাম। মূলত সেটি নিয়েই বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এ নিয়ে লেখালেখি করছেন। কোক স্টুডিও বাংলার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এ বিষয়ে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন বাউল রশিদ উদ্দিনের জন্মস্থান নেত্রকোনা জেলার কবি-সাহিত্যিক, তাঁর ভক্ত-অনুসারী ও বাউলগানের গুণমুগ্ধরা। ‘সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক সংগঠনসমূহ ও সম্মিলিত নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে গত সোমবার সকালে নেত্রকোনা প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, এটি রশিদ উদ্দিনের গান হিসেবে প্রায় শত বছর ধরে গাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোক স্টুডিও বাংলা গানটি আরেক বাউল আব্দুল খালেক দেওয়ানের নামে প্রচার করছে।
কথা হয় নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, এটা রশিদ উদ্দিনের গান। আমাদের অঞ্চলে এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য, এটা তাঁর গান। খালেক দেওয়ানও গুণীজন, তাঁকে ছোট করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের দাবি, এই গানটি রশিদ উদ্দিনের। এর পক্ষে আমাদের কাছে প্রায় ৭০-৮০ বছর আগের একটি পাণ্ডুলিপি আছে, যা আমরা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছি। এ বিষয়ের সঠিক সমাধান আমরা দাবি করি। তবে কোনোভাবেই দেওয়ান পরিবার কিংবা রশিদ উদ্দিন, কারও যেন সম্মানহানি না হয়।’
বাউল রশিদ উদ্দিনের ছোট ছেলে আবু আনছার ওরফে কালা মিয়া বলেন, ‘ছোট থেকেই দেখে আসছি এই গান আমার বাবার নামে বিভিন্ন শিল্পীরা গাইছেন। এটা কী করে পরিবর্তন করা হলো? আমরা এর বিহিত চাই।’ লোক গবেষক ও কবি সরোজ মোস্তফা বলেন, ‘এই গানটার ভাব, ভাষা ও সংস্কৃতির সর্বাংশে আছে হাওরাঞ্চল। এই গানটার সর্বাংশে আছে পূর্ব ময়মনসিংহের জলজ জীবনের ভাব ও ভাবুকতা। প্রায় ১০০ বছর ধরে লোক পরম্পরায় এই গান রশিদ উদ্দিনের নামে চলেছে। রশিদ উদ্দিনের সংকলনগুলোতেও এই গান আছে।’
২০২০ সালে উৎস প্রকাশন থেকে ‘বাউল রশিদ উদ্দিন সমগ্র’ নামে একটি সংকলন প্রকাশ করেন সাইফুল ইসলাম শাহীন। তাঁর এ সংকলনেও রশিদ উদ্দিনের গান হিসেবে ‘মা-গো মা, ঝি-গো ঝি করলাম কী রঙ্গে’ গানটি রয়েছে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এর আগে ঢাকা ফোক ফেস্টে দেওয়ান আব্দুল হাই এই গান পরিবেশনার সময় গানের ভণিতায় রশিদ উদ্দিনের নামের পরিবর্তে খালেক দেওয়ানের নাম উল্লেখ করেন। তখনো আমি প্রতিবাদ করেছিলাম।
এবার যখন কোক স্টুডিও বাংলা গানটির রিমেক করল, সেখানেও একই ঘটনা ঘটল। একজন গীতিকবি যখন একটি গান লেখেন, তখন তাঁর আশপাশের অঞ্চলের চিত্র তাতে ফুটে ওঠে। এ গানে গোমাই নামে একটি নদীর নাম আছে। গোমাই নেত্রকোনার একটি নদী। এ ছাড়া অনেক আঞ্চলিক শব্দ, যেমন “নয়া পানি” এটিও এ অঞ্চলের ভাষা। আমার কাছে আরও কিছু প্রমাণ ও পাণ্ডুলিপি আছে। সব মিলিয়ে আমরা মনে করি, এটা বাউল রশিদ উদ্দিনের গান।’
কোক স্টুডিও বাংলায় মা লো মা গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন প্রীতম হাসান। গানের রচয়িতা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গানটির দুটি ভার্সন পেয়েছি। দুটি ভার্সন শুনলে বুঝতে পারবেন, সেখানে কথা বা শব্দ আলাদা। আমি খালেক দেওয়ানের ভার্সনটি নিয়েই কাজ করেছি। রশিদ উদ্দিনেরও আরেকটা ভার্সন রয়েছে।’
কোক স্টুডিও বাংলার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোক স্টুডিও বাংলা একজন শিল্পীর সৃজনশীলতা ও মেধাসম্পদের মৌলিকত্বের গুরুত্ব অনুধাবন এবং মূল্যায়ন করে। আমাদের প্রতিটি গান সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করা হয় এবং শিল্পীকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। মা লো মা গানটি খালেক দেওয়ানের লেখা। তাঁর বংশধর আরিফ দেওয়ান ও সাগর দেওয়ান এই গানে পারফর্ম করেছেন। ‘‘মা গো মা’’ নামে এই গানের আরও একটি সংস্করণ আছে, যা বাউল রশিদ উদ্দিনের লেখা। গান দুটির মধ্যে বিভ্রান্তি এড়াতে ইউটিউবে গানটির বর্ণনায় রশিদ উদ্দিনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।’
মা লো মা গানের অন্যতম গায়ক সাগর দেওয়ান জানান, এর রচয়িতা নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কের কথা তিনিও শুনেছেন। তিনি জানান, এ গানের মূল গীতিকার খালেক দেওয়ান। এক পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি নিয়ে বিতর্ক করছেন বলে দাবি করেন সাগর দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘আসলে এ বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। আমার দাদা খালেক দেওয়ান ছিলেন রশিদ উদ্দিনের সমসাময়িক। খালেক দেওয়ান পুরো দেশ বিচরণ করেছেন। রশিদ উদ্দিনও তো শুনেছেন তাঁর গান। কখনো তো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।
স্বাধীনতার আগে খালেক দেওয়ান নিজের কণ্ঠে গানটি রেকর্ড করেছিলেন। তাঁর একাধিক সংকলনেও এ গানটি আছে। এখন যাঁরা এ নিয়ে বিতর্ক তুলেছেন, তাঁদের সবাইকে আমি চিনি। তাঁরা আসলে প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে-পুড়ে এসব করছেন। এ বিষয়ে শিগগির আমরা সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরব।’
কোক স্টুডিও বাংলার ‘মা লো মা’ গানটি আসলে কার, দুই পক্ষের যুক্তি-প্রমাণ খণ্ডিয়ে তার প্রকৃত সমাধান পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে সবার।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে