নয়নাভিরাম বরুণের উষ্ণ অভ্যর্থনা

মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) 
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৩, ০৮: ৩০

সবুজের নান্দনিকতার মাঝে শোভিত শুভ্র আর হালকা হলুদের পসরা। প্রখর রোদের তাপে অত্যধিক গরম জেঁকে বসেছে। ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের খোঁজে পথিক। সেই পথিককে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে সবুজ পাতারা সাজিয়ে রেখেছে নতুন শোভা। নাম তার ‘বরুণ’, অপরূপ সৌন্দর্যভরা একটি ফুল। বরুণের মুগ্ধতায় একদিকে যেমন গ্রীষ্মের প্রকৃতি সেজেছে নবরূপে, অন্যদিকে এর রূপে মাতোয়ারা প্রকৃতিপ্রেমীরা।

নয়নাভিরাম বরুণের দেখা মিলবে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। পৌর এলাকার কাঁচামাটিয়া নদীর ওপর যে সেতু, তাতে দাঁড়ালে কিংবা ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা গাড়ির জানালা খুলে নদীর পাড়ে তাকালেই যে কারও নজরে পড়বে।

কাঁচামাটিয়ার সেই সেতুর ওপর প্রায়ই আড্ডা দিতে আসেন অনার্সে পড়ুয়া দুই বন্ধু আনিসুজ্জামান রবিন ও ইয়াসিন আরাফাত। বাহারি এ ফুল নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু করেছেন তাঁরা। মুগ্ধতা ছড়ানো বরুণ তাঁদের অজানা এক মায়ায় জড়িয়ে রেখেছে যেন।

‘৪-৫ দিন আগে খেয়াল করলাম, একটি গাছে অসম্ভব সুন্দর কিছু ফুল ফুটে আছে। এগুলোর নাম কী, সঠিক জানি না।’ ফুলটির নাম জানেন না আরও অনেকে। সে কথাই বললেন পৌর বাজারের ব্যবসায়ী অমিত।

বরুণের আদি আবাস ভারত, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ইংরেজি নাম থ্রি লিভড ক্যাপার। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির জানালেন, কোথাও কোথাও গাছটিকে বৈন্যাগাছ নামেও ডাকা হয়। বরুণ ছোট থেকে মাঝারি আকারের বৃক্ষ। সাধারণত এ গাছ ১০-২০ মিটার উঁচু হয়।

বরুণ গাছ শুধু সৌন্দর্যবর্ধনই করে না, এর রয়েছে ভেষজ গুণও। এই গাছের পাতা চর্মরোগ, ব্যথা ও বাত নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। শিকড়ের বাকলের নির্যাস গ্যাস্ট্রিক রোগে ব্যবহার করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত