ফরিদ আহম্মেদ রুবেল, শ্রীবরদী
হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ে হচ্ছে বন্য হাতির ‘অভয়ারণ্য’। ইতিমধ্যে জমি নির্ধারণ ও মালিকানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ; পাশাপাশি দখলে থাকা বনভূমি উদ্ধারে কাজ চলছে।
শ্রীবরদী উপজেলার বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত গারো পাহাড়। একসময় এই বনাঞ্চলে অবাধে ঘুরে বেড়াত বন্য হাতির দল। কিন্তু পাহাড়ে মানুষের বসতি বেড়ে যাওয়ায় কমতে থাকে হাতির অবাধ বিচরণ। ফলে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নামে হাতির দল। আর তখনই শুরু হয় হাতি-মানুষে দ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্বে গারো পাহাড়ে মারা যাচ্ছে একের পর এক বন্য হাতি।
গত ১৫ বছরে ৩০-৩৫টি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। বিপরীতে বন্য হাতির আক্রমণে প্রায় ৯০ জন মানুষ মারা গেছে। আর আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। এদিকে শ্রীবরদীর মালাকোচা এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে একটি হাতি হত্যায় এবারই প্রথমবারের মতো মামলা হয়। এই মামলায় চারজন কারাগারে রয়েছেন।
অবশেষে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে গারো পাহাড়ের সীমান্ত দিয়ে তৈরি হচ্ছে বন্য হাতির ‘অভয়ারণ্য’। ইতিমধ্যে জরিপ কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। স্থানীয়দের আশা, হাতিদের জন্য অভয়ারণ্য হলে কৃষকদের ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না, পাশাপাশি বাড়িঘরে হামলা করবে না হাতির দল।
বালিজুড়ি এলাকার কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘বাপু হাত্তি (হাতি) যদি আমগর (আমাদের) হইতি (এদিকে) না আহে (আসে), তাইলেতো ভালাই হবো, আঙগর (আমাদের) কোনো ক্ষতি হবো না। সরহার (সরকার) যে সিস্টেম (উদ্যোগ) হাতে নিছে খুব বালা (ভালো) হবো।’
একই এলাকার আরেক কৃষক রহমত আলী বলেন, ‘হুনতাছি (শুনতেছি) হাত্তির (হাতি) জন্য রাস্তা করবো, যদি রাস্তা করে তাহলেতো বালাই (ভালো) হবো, আমরা শান্তিতে এল্লা (একটু) ঘুমাবার পামু, আমাদের ঘরে আর হাত্তি (হাতি) আইবো না।’
বালিজুরী অফিস পাড়া এলাকার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন, সরুফা বেগম ও লাল চাঁন জানান, এ এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই হাতির দল আসে। এ জন্য বেশির ভাগ সময় এ এলাকার মানুষ রাত পর্যন্ত জেগে থাকে। অভয়ারণ্য হলে খুব ভালো হবে।
প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে গারো পাহাড়ে অভয়ারণ্য করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে সীমান্তে অভয়ারণ্য করার ঘোষণা এসেছে, এতে আমরা খুব খুশি। আশা করি, স্বল্প সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে।’
শ্রীবরদীর বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বালিজুড়ি, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী পর্যন্ত হাতির জন্য অভয়ারণ্য হবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা জমি নির্ধারণ ও মালিকানা চিহ্নিত করার কাজ করছি। পাশাপাশি অবৈধভাবে জবর দখল করে থাকা জমিগুলোও উদ্ধার শুরু করেছি। আমরা আশা করি, গারো পাহাড়ের যে একটা ঐতিহ্য, তা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে আসবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, অভয়ারণ্য হলে হাতি আর খাবারের জন্য লোকালয়ে আসবে না। এতে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব শেষ হবে। সবাই ভালো থাকবে।
জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, অভয়ারণ্যের প্রস্তাবটি পাস হয়ে বন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বন বিভাগে রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, হাতি-মানুষের যে একটা দীর্ঘদিনের সংঘাত তা শেষ হবে।’
হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ে হচ্ছে বন্য হাতির ‘অভয়ারণ্য’। ইতিমধ্যে জমি নির্ধারণ ও মালিকানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ; পাশাপাশি দখলে থাকা বনভূমি উদ্ধারে কাজ চলছে।
শ্রীবরদী উপজেলার বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত গারো পাহাড়। একসময় এই বনাঞ্চলে অবাধে ঘুরে বেড়াত বন্য হাতির দল। কিন্তু পাহাড়ে মানুষের বসতি বেড়ে যাওয়ায় কমতে থাকে হাতির অবাধ বিচরণ। ফলে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নামে হাতির দল। আর তখনই শুরু হয় হাতি-মানুষে দ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্বে গারো পাহাড়ে মারা যাচ্ছে একের পর এক বন্য হাতি।
গত ১৫ বছরে ৩০-৩৫টি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। বিপরীতে বন্য হাতির আক্রমণে প্রায় ৯০ জন মানুষ মারা গেছে। আর আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। এদিকে শ্রীবরদীর মালাকোচা এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে একটি হাতি হত্যায় এবারই প্রথমবারের মতো মামলা হয়। এই মামলায় চারজন কারাগারে রয়েছেন।
অবশেষে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে গারো পাহাড়ের সীমান্ত দিয়ে তৈরি হচ্ছে বন্য হাতির ‘অভয়ারণ্য’। ইতিমধ্যে জরিপ কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। স্থানীয়দের আশা, হাতিদের জন্য অভয়ারণ্য হলে কৃষকদের ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না, পাশাপাশি বাড়িঘরে হামলা করবে না হাতির দল।
বালিজুড়ি এলাকার কৃষক রমজান আলী বলেন, ‘বাপু হাত্তি (হাতি) যদি আমগর (আমাদের) হইতি (এদিকে) না আহে (আসে), তাইলেতো ভালাই হবো, আঙগর (আমাদের) কোনো ক্ষতি হবো না। সরহার (সরকার) যে সিস্টেম (উদ্যোগ) হাতে নিছে খুব বালা (ভালো) হবো।’
একই এলাকার আরেক কৃষক রহমত আলী বলেন, ‘হুনতাছি (শুনতেছি) হাত্তির (হাতি) জন্য রাস্তা করবো, যদি রাস্তা করে তাহলেতো বালাই (ভালো) হবো, আমরা শান্তিতে এল্লা (একটু) ঘুমাবার পামু, আমাদের ঘরে আর হাত্তি (হাতি) আইবো না।’
বালিজুরী অফিস পাড়া এলাকার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন, সরুফা বেগম ও লাল চাঁন জানান, এ এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই হাতির দল আসে। এ জন্য বেশির ভাগ সময় এ এলাকার মানুষ রাত পর্যন্ত জেগে থাকে। অভয়ারণ্য হলে খুব ভালো হবে।
প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে গারো পাহাড়ে অভয়ারণ্য করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে সীমান্তে অভয়ারণ্য করার ঘোষণা এসেছে, এতে আমরা খুব খুশি। আশা করি, স্বল্প সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে।’
শ্রীবরদীর বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বালিজুড়ি, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী পর্যন্ত হাতির জন্য অভয়ারণ্য হবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা জমি নির্ধারণ ও মালিকানা চিহ্নিত করার কাজ করছি। পাশাপাশি অবৈধভাবে জবর দখল করে থাকা জমিগুলোও উদ্ধার শুরু করেছি। আমরা আশা করি, গারো পাহাড়ের যে একটা ঐতিহ্য, তা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে আসবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, অভয়ারণ্য হলে হাতি আর খাবারের জন্য লোকালয়ে আসবে না। এতে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব শেষ হবে। সবাই ভালো থাকবে।
জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, অভয়ারণ্যের প্রস্তাবটি পাস হয়ে বন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বন বিভাগে রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, হাতি-মানুষের যে একটা দীর্ঘদিনের সংঘাত তা শেষ হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে