মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে ‘ট্রাইকো কম্পোস্ট’ সার ও লিচেট ব্যবহারে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫০০ কৃষক এ প্রযুক্তিতে সার উৎপাদন ও ব্যবহার করছেন। এ সার ও লিচেট ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছেন এসব কৃষক।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘ট্রাইকো কম্পোস্ট’ উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে উৎপাদিত সার জমিতে ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছেন এখানকার কৃষক।
ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক শ কৃষক এ প্রযুক্তিতে সার উৎপাদন ও ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদনের সময় যে লিচেট সংগ্রহ করা হয়, তা বরজ ও বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যবহার করে ভালো ফলন পাচ্ছেন। এতে উপজেলার অন্যান্য কৃষকের মধ্যেও এ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত সার ও লিচেট ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে।
টিন বা খড়ের চালাসহ একটি পার্শ্বছিদ্রবিশিষ্ট পাকা চৌবাচ্চা অথবা স্যানিটারি রিং দ্বারা বানানো হাউসে ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরি করতে হয়। এতে গোবর ২৮ শতাংশ, মুরগির বিষ্ঠা-৩৬, সবজির উচ্ছিটাংশ-৫, কচুরিপানা-২৫, কাঠের গুঁড়া-৩, নিমপাতা-১ ও চিটাগুড় ২ শতাংশ এই অনুপাতে মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এক টন মিশ্রণ পচাতে ৫০০ মিলি ট্রাইকো ড্রামা অণুজীব মেশাতে হয়। এতে ৪০-৪৫ দিনের মধ্যেই জৈব পদার্থ পচে ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হয় ও লিচেট পাওয়া যায়।
এই ট্রাইকো কম্পোস্ট ব্যবহারে মাটির গঠন ও বুনট উন্নত করে পানির ধারণক্ষমতা বাড়ায়। পানির অপচয় রোধ করে। মাটির অম্লত্ব ও লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে ফসলের উৎপাদন ও গুণগত মান বাড়িয়ে কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এ ছাড়া ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদনের সময় যে লিচেট (তরল জাতীয়) সংগ্রহ করা হয়, তা বিভিন্ন সবজি ও বরজে ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই স্বল্প খরচে ও সহজ পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ সার ও লিচেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হানিরপাড় গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পরামর্শে ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করি। আমার দুটি চেম্বার থেকে প্রথমবারে ২০ লিটার লিচেট সংগ্রহ করি, যা জমিতে ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছি। ফলন ভালো হওয়ায় অন্যান্য কৃষক আমার কাছ থেকে ট্রাইকো কম্পোস্ট সার ও লিচেট সংগ্রহ করে তাঁদের জমিতে ব্যবহার করছেন।’
মুদাফর গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন জানান, সবজিখেতে ট্রাইকো লিচেট ব্যবহার করে পচন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এতে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আবার বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি।
গজরা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ বেগম বলেন, ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদনে কৃষক দুভাবে লাভবান হচ্ছেন। প্রথমত এ সার ব্যবহার করে কৃষকেরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। অপর দিকে ট্রাইকো লিচেটে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রোগবালাই দমন করা যাচ্ছে। আলাদা কোনো কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। তা থেকে উৎপাদিত সার ও লিচেট ব্যবহার করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এতে অন্য কৃষকদের মধ্যেও আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তাই ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন ও লিচেট ব্যবহারে কৃষকদের পর্যাপ্ত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে ‘ট্রাইকো কম্পোস্ট’ সার ও লিচেট ব্যবহারে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫০০ কৃষক এ প্রযুক্তিতে সার উৎপাদন ও ব্যবহার করছেন। এ সার ও লিচেট ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছেন এসব কৃষক।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘ট্রাইকো কম্পোস্ট’ উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে উৎপাদিত সার জমিতে ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছেন এখানকার কৃষক।
ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক শ কৃষক এ প্রযুক্তিতে সার উৎপাদন ও ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদনের সময় যে লিচেট সংগ্রহ করা হয়, তা বরজ ও বিভিন্ন সবজি চাষে ব্যবহার করে ভালো ফলন পাচ্ছেন। এতে উপজেলার অন্যান্য কৃষকের মধ্যেও এ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত সার ও লিচেট ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে।
টিন বা খড়ের চালাসহ একটি পার্শ্বছিদ্রবিশিষ্ট পাকা চৌবাচ্চা অথবা স্যানিটারি রিং দ্বারা বানানো হাউসে ট্রাইকো কম্পোস্ট তৈরি করতে হয়। এতে গোবর ২৮ শতাংশ, মুরগির বিষ্ঠা-৩৬, সবজির উচ্ছিটাংশ-৫, কচুরিপানা-২৫, কাঠের গুঁড়া-৩, নিমপাতা-১ ও চিটাগুড় ২ শতাংশ এই অনুপাতে মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এক টন মিশ্রণ পচাতে ৫০০ মিলি ট্রাইকো ড্রামা অণুজীব মেশাতে হয়। এতে ৪০-৪৫ দিনের মধ্যেই জৈব পদার্থ পচে ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদিত হয় ও লিচেট পাওয়া যায়।
এই ট্রাইকো কম্পোস্ট ব্যবহারে মাটির গঠন ও বুনট উন্নত করে পানির ধারণক্ষমতা বাড়ায়। পানির অপচয় রোধ করে। মাটির অম্লত্ব ও লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে ফসলের উৎপাদন ও গুণগত মান বাড়িয়ে কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এ ছাড়া ট্রাইকো কম্পোস্ট সার উৎপাদনের সময় যে লিচেট (তরল জাতীয়) সংগ্রহ করা হয়, তা বিভিন্ন সবজি ও বরজে ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই স্বল্প খরচে ও সহজ পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ সার ও লিচেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হানিরপাড় গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পরামর্শে ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করি। আমার দুটি চেম্বার থেকে প্রথমবারে ২০ লিটার লিচেট সংগ্রহ করি, যা জমিতে ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছি। ফলন ভালো হওয়ায় অন্যান্য কৃষক আমার কাছ থেকে ট্রাইকো কম্পোস্ট সার ও লিচেট সংগ্রহ করে তাঁদের জমিতে ব্যবহার করছেন।’
মুদাফর গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন জানান, সবজিখেতে ট্রাইকো লিচেট ব্যবহার করে পচন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এতে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আবার বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি।
গজরা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ বেগম বলেন, ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদনে কৃষক দুভাবে লাভবান হচ্ছেন। প্রথমত এ সার ব্যবহার করে কৃষকেরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। অপর দিকে ট্রাইকো লিচেটে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রোগবালাই দমন করা যাচ্ছে। আলাদা কোনো কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। তা থেকে উৎপাদিত সার ও লিচেট ব্যবহার করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এতে অন্য কৃষকদের মধ্যেও আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তাই ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন ও লিচেট ব্যবহারে কৃষকদের পর্যাপ্ত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে