নেছার উদ্দিন, ফুলতলা
ফুলতলায় বৃষ্টিতে খেতে কেটে রাখা পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে হতাশায় দিন পার করছেন কৃষকেরা। একদিকে শ্রমিক-সংকট, অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়া যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেতে কেটে রাখা ধান ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বৃষ্টির পানিতে ভাসছে।
জানা গেছে, ধানের ফলন ও দাম ভালো হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। ধান ঘরে তোলার মুহূর্তে বৈরী আবহাওয়া ও ভারী বৃষ্টির কারণে চাষিরা চরম উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। এ ছাড়া শ্রমিক সংকটে ধান ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। এই উপজেলায় ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টি হওয়ায় অনেক কৃষক আধা পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করেছেন।
পুরোদমে ধান কাটার মৌসুম শুরু হলেও এখনো ২০ শতাংশ কৃষক খেতের ধান ঘরে তুলতে পারেননি। আর দুই এক সপ্তাহ সময় পেলে পাকা ধানগুলো কেটে ঘরে তুলতে পারতেন কৃষকেরা। একদিকে সপ্তাহ পার না হতেই ফের গত সোমবার থেকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় অধিকাংশ মাঠের পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। অনেক জমিতে কেটে রাখা ধান পানিতে ডুবে গেছে। এতে ধানের সঙ্গে ডুবছে কৃষকের স্বপ্ন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। তেমনি ফলনও ভালো হয়েছিল। গত সোমবার থেকে বৃষ্টির কারণে যে সব বোরো খেত তলিয়ে গেছে, সেসব খেতে আইল কেটে দ্রুত পানি বের করে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যেসব খেতে ধান নুয়ে পড়েছে; সেসব খেতের ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা কৃষকদের পাশে আছি, তারা আমাদের পরামর্শ নিয়ে খেতের ধান ঘরে তোলার জন্য চেষ্টা করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ৪ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ২০ শতাংশ জমির ধান ঈদের কারণে শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেশি হওয়ায় কাটতে পারেনি।
৪৫ বছর বয়সী কৃষক মকবুল গাজী ১৮ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। শ্রমিক না পেয়ে সব ধান সময়মতো ঘরে তুলতে পারেননি তিনি। জামিরা গ্রামের ওসমান গাজী বলেন, শ্রমিকের অভাবে এক বিঘা জমির ধান কাটতি পারিনি। দুই বিঘার ধান কাটিছি। বাড়ি আনতি পারিনি। মাঠে ধান ভাসছে।
মশিয়ালী গ্রামের আজগর আলী পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। তিনি বললেন, `মাঠের ধান এখনো পুরো কাটা হয়নি। যা কাটা হইছে, মাঠেই পড়ে আছে। বৃষ্টি একদম শ্যাষ করে দিল। কি করব এখন বুঝতি পারছিনে।’ একই গ্রামের কৃষক আবদুল জব্বার (৫০) বলেন, বৃষ্টিতে ধান তো গেলোই, সঙ্গে বিচেলিগুলোও নষ্ট হয়ে গেল। ধান বিক্রির পাশাপাশি বিচেলিগুলো বিক্রি করতি পারলি লাভ একটু বেশি হয়। এখন বিচেলিগুলো পচে যাচ্ছে।
জামিরা, ছাতিয়ানি, বাড্ডাগাতী, ধোপাখোলা, পিপরাইল, বসুরাবাদ, বেগুনবাড়িয়া, মশিয়ালী, পাড়িয়ারডাঙ্গা, শিরোমণি, ডাকাতিয়াসহ কয়েক এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা তাদের জমি থেকে ধান তুলে রাস্তার ওপর রেখেছে শুকানোর জন্য। দ্রুত সময়ে তারা ধান ঘরে তুলতে ও ধান মাড়াইয়ের ব্যবস্থা করতে পারলে ক্ষতি থেকে অনেকটা রক্ষা পাবে। অনেক কৃষক তলিয়ে যাওয়া ধান তুলে এনে আইলের ওপরে রেখেছে। আবার কিছু কিছু জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ফুলতলায় বৃষ্টিতে খেতে কেটে রাখা পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে হতাশায় দিন পার করছেন কৃষকেরা। একদিকে শ্রমিক-সংকট, অন্যদিকে বৈরী আবহাওয়া যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেতে কেটে রাখা ধান ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বৃষ্টির পানিতে ভাসছে।
জানা গেছে, ধানের ফলন ও দাম ভালো হলেও কৃষকের মুখে হাসি নেই। ধান ঘরে তোলার মুহূর্তে বৈরী আবহাওয়া ও ভারী বৃষ্টির কারণে চাষিরা চরম উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। এ ছাড়া শ্রমিক সংকটে ধান ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। এই উপজেলায় ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টি হওয়ায় অনেক কৃষক আধা পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করেছেন।
পুরোদমে ধান কাটার মৌসুম শুরু হলেও এখনো ২০ শতাংশ কৃষক খেতের ধান ঘরে তুলতে পারেননি। আর দুই এক সপ্তাহ সময় পেলে পাকা ধানগুলো কেটে ঘরে তুলতে পারতেন কৃষকেরা। একদিকে সপ্তাহ পার না হতেই ফের গত সোমবার থেকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় অধিকাংশ মাঠের পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। অনেক জমিতে কেটে রাখা ধান পানিতে ডুবে গেছে। এতে ধানের সঙ্গে ডুবছে কৃষকের স্বপ্ন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। তেমনি ফলনও ভালো হয়েছিল। গত সোমবার থেকে বৃষ্টির কারণে যে সব বোরো খেত তলিয়ে গেছে, সেসব খেতে আইল কেটে দ্রুত পানি বের করে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যেসব খেতে ধান নুয়ে পড়েছে; সেসব খেতের ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা কৃষকদের পাশে আছি, তারা আমাদের পরামর্শ নিয়ে খেতের ধান ঘরে তোলার জন্য চেষ্টা করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ৪ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ২০ শতাংশ জমির ধান ঈদের কারণে শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেশি হওয়ায় কাটতে পারেনি।
৪৫ বছর বয়সী কৃষক মকবুল গাজী ১৮ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। শ্রমিক না পেয়ে সব ধান সময়মতো ঘরে তুলতে পারেননি তিনি। জামিরা গ্রামের ওসমান গাজী বলেন, শ্রমিকের অভাবে এক বিঘা জমির ধান কাটতি পারিনি। দুই বিঘার ধান কাটিছি। বাড়ি আনতি পারিনি। মাঠে ধান ভাসছে।
মশিয়ালী গ্রামের আজগর আলী পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। তিনি বললেন, `মাঠের ধান এখনো পুরো কাটা হয়নি। যা কাটা হইছে, মাঠেই পড়ে আছে। বৃষ্টি একদম শ্যাষ করে দিল। কি করব এখন বুঝতি পারছিনে।’ একই গ্রামের কৃষক আবদুল জব্বার (৫০) বলেন, বৃষ্টিতে ধান তো গেলোই, সঙ্গে বিচেলিগুলোও নষ্ট হয়ে গেল। ধান বিক্রির পাশাপাশি বিচেলিগুলো বিক্রি করতি পারলি লাভ একটু বেশি হয়। এখন বিচেলিগুলো পচে যাচ্ছে।
জামিরা, ছাতিয়ানি, বাড্ডাগাতী, ধোপাখোলা, পিপরাইল, বসুরাবাদ, বেগুনবাড়িয়া, মশিয়ালী, পাড়িয়ারডাঙ্গা, শিরোমণি, ডাকাতিয়াসহ কয়েক এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা তাদের জমি থেকে ধান তুলে রাস্তার ওপর রেখেছে শুকানোর জন্য। দ্রুত সময়ে তারা ধান ঘরে তুলতে ও ধান মাড়াইয়ের ব্যবস্থা করতে পারলে ক্ষতি থেকে অনেকটা রক্ষা পাবে। অনেক কৃষক তলিয়ে যাওয়া ধান তুলে এনে আইলের ওপরে রেখেছে। আবার কিছু কিছু জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে