নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সকাল থেকেই আকাশ ভার। বিকেলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। প্রকৃতি তাতেও আটকাতে পারেনি পাঠক কিংবা দর্শনার্থীদের। দল বেঁধে তাঁরা ঢুকছিলেন প্রাণের মেলায়। কিন্তু সন্ধ্যা নামতে একেবারে ঝুম বৃষ্টি। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে শুরু হলো দৌড়াদৌড়ি।
এভাবে বৃষ্টি মাথায় করেই শুরু হলো এবারের অমর একুশে বইমেলা। রাজধানীতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে মেলা।
বৃষ্টিবিভ্রাটে যেমন বিরক্ত পাঠক, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রকাশকেরা। দিব্য প্রকাশের প্রায় দেড় শ বই বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঐতিহ্য প্রকাশনীর বই। দিব্য প্রকাশের বিক্রয়কর্মী সোহাগ হোসেন জানান, তাঁদের শতাধিক বই নষ্ট হয়েছে। স্টল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুর থেকে মেলায় এসেছিলেন অর্ষা আনজুম। মেট্রোরেলের কারণে এবারের যাতায়াত বেশ আনন্দের ছিল। তিনি তাঁর বন্ধুকে মোবাইলে বলছিলেন, ‘সব স্টল এখনো বসেনি। এক সপ্তাহ লাগবে।’ মেলায় তাঁর কথার সত্যতা মেলে। বেশ কিছু স্টলের এখনো সজ্জার কাজ চলছে।
জার্নিম্যান বুকসের স্টলে বই দেখছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। মেলা শুরু হওয়ার পর এখনো স্টল নির্মাণের কাজ থাকায় বিরক্ত তিনি। বললেন, ‘প্রতিবারই বাংলা একাডেমি বলে, মেলা শুরু হওয়ার আগেই সব স্টল তৈরি হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় একই অবস্থা।’ তিনি জানালেন, স্টলের বিন্যাস ভালো হয়েছে। তবে প্রাঙ্গণে ধুলা আছে। ইট বিছাতে পারলে ভালো হতো।
প্রস্তুতির ঘাটতির বিষয়ে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, প্রকাশকেরা বই প্রকাশের প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাঁরা স্টলের সাজসজ্জা নিয়ে মনোযোগ দিতে পারেন না। ৪-৫ তারিখের পরে মেলার পুরো কাঠামো দেখা যাবে।
মেলা ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন স্টলের নির্মাণসামগ্রী পড়ে আছে। কোনো কোনো স্টলে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। বাংলা একাডেমি তথ্যকেন্দ্র থেকে মাইকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে, স্টল নির্মাণ শেষ করার জন্য এবং নির্মাণসামগ্রী মেলা থেকে বের করে নিতে। না হলে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবারের মেলায় প্রথম দিনেই বেশ কিছু লেখকের বই প্রকাশিত হয়েছে। কথাপ্রকাশ নিয়ে এসেছে যতীন সরকারের ‘সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রত্যাশা’, প্রথমা প্রকাশনের আনিসুল হকের ‘কখনো আমার মাকে’, অনন্যা প্রকাশনীর নির্মলেন্দু গুণের ‘সেরা তিন’, জার্নিম্যান বুকসের রফিকুন নবীর ‘শিক্ষাই যার আনন্দ’, কথাপ্রকাশ থেকে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘সাতচল্লিশের দেশভাগে গান্ধী ও জিন্নাহ’।
এবার অধিবর্ষ, তাই মেলার সময় বাড়বে এক দিন। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পরে মেলায় কেউ ঢুকতে পারবে না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
সকাল থেকেই আকাশ ভার। বিকেলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। প্রকৃতি তাতেও আটকাতে পারেনি পাঠক কিংবা দর্শনার্থীদের। দল বেঁধে তাঁরা ঢুকছিলেন প্রাণের মেলায়। কিন্তু সন্ধ্যা নামতে একেবারে ঝুম বৃষ্টি। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে শুরু হলো দৌড়াদৌড়ি।
এভাবে বৃষ্টি মাথায় করেই শুরু হলো এবারের অমর একুশে বইমেলা। রাজধানীতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে মেলা।
বৃষ্টিবিভ্রাটে যেমন বিরক্ত পাঠক, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রকাশকেরা। দিব্য প্রকাশের প্রায় দেড় শ বই বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঐতিহ্য প্রকাশনীর বই। দিব্য প্রকাশের বিক্রয়কর্মী সোহাগ হোসেন জানান, তাঁদের শতাধিক বই নষ্ট হয়েছে। স্টল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুর থেকে মেলায় এসেছিলেন অর্ষা আনজুম। মেট্রোরেলের কারণে এবারের যাতায়াত বেশ আনন্দের ছিল। তিনি তাঁর বন্ধুকে মোবাইলে বলছিলেন, ‘সব স্টল এখনো বসেনি। এক সপ্তাহ লাগবে।’ মেলায় তাঁর কথার সত্যতা মেলে। বেশ কিছু স্টলের এখনো সজ্জার কাজ চলছে।
জার্নিম্যান বুকসের স্টলে বই দেখছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। মেলা শুরু হওয়ার পর এখনো স্টল নির্মাণের কাজ থাকায় বিরক্ত তিনি। বললেন, ‘প্রতিবারই বাংলা একাডেমি বলে, মেলা শুরু হওয়ার আগেই সব স্টল তৈরি হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় একই অবস্থা।’ তিনি জানালেন, স্টলের বিন্যাস ভালো হয়েছে। তবে প্রাঙ্গণে ধুলা আছে। ইট বিছাতে পারলে ভালো হতো।
প্রস্তুতির ঘাটতির বিষয়ে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, প্রকাশকেরা বই প্রকাশের প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাঁরা স্টলের সাজসজ্জা নিয়ে মনোযোগ দিতে পারেন না। ৪-৫ তারিখের পরে মেলার পুরো কাঠামো দেখা যাবে।
মেলা ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন স্টলের নির্মাণসামগ্রী পড়ে আছে। কোনো কোনো স্টলে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। বাংলা একাডেমি তথ্যকেন্দ্র থেকে মাইকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে, স্টল নির্মাণ শেষ করার জন্য এবং নির্মাণসামগ্রী মেলা থেকে বের করে নিতে। না হলে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবারের মেলায় প্রথম দিনেই বেশ কিছু লেখকের বই প্রকাশিত হয়েছে। কথাপ্রকাশ নিয়ে এসেছে যতীন সরকারের ‘সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রত্যাশা’, প্রথমা প্রকাশনের আনিসুল হকের ‘কখনো আমার মাকে’, অনন্যা প্রকাশনীর নির্মলেন্দু গুণের ‘সেরা তিন’, জার্নিম্যান বুকসের রফিকুন নবীর ‘শিক্ষাই যার আনন্দ’, কথাপ্রকাশ থেকে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘সাতচল্লিশের দেশভাগে গান্ধী ও জিন্নাহ’।
এবার অধিবর্ষ, তাই মেলার সময় বাড়বে এক দিন। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পরে মেলায় কেউ ঢুকতে পারবে না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে