শাহরিয়ার হাসান ও এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
২০২১ সালের পর দেশের কোথাও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে দেশে জঙ্গিদের তৎপরতা পুরো বন্ধ হয়নি। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম ও নব্য জেএমবি নতুন করে সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছেন জঙ্গি নিয়ে কাজ করা পুলিশের ইউনিটগুলোর কর্মকর্তারা।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আনসার আল ইসলাম সদস্য সংগ্রহসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালালেও এ সম্পর্কে কোনো তথ্য তাঁরা পাচ্ছেন না। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নতুন প্রধানের বার্তায় দেশে তাঁদের অনুসারী নব্য জেএমবির সদস্যরা নতুন করে উজ্জীবিত হচ্ছেন। এই সংগঠনটির ৭১ জন এ পর্যন্ত জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে এই দুই সংগঠন এখনো তেমন শক্তি অর্জন করতে পারেনি। জঙ্গি হামলার কোনো পরিকল্পনার তথ্যও নেই।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ও ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার আট বছর আজ। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে এই হামলা চালিয়েছিল নব্য জেএমবির জঙ্গিরা। জিম্মি করা হয় সেখানে থাকা সবাইকে। জঙ্গিরা হত্যা করে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জনকে, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন বিদেশি নাগরিক। সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে পরদিন সকালে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। অবসান ঘটে জিম্মি ঘটনার। এ মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি এখনো প্রকাশিত হয়নি।
হোলি আর্টিজানে হামলার পর জঙ্গি দমনে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ গত সাত বছরে বিভিন্ন সংগঠনের ৮২৬ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্তত ২০টি অভিযানে নিহত হয়েছে ৬৩ জন জঙ্গি। হোলি আর্টিজান হামলা-পরবর্তী সময়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৮৭৫ জন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সূত্র বলছে, হোলি আর্টিজানে হামলার পর জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর ব্যাপক নজরদারি করা হয়। সে সময়ে জঙ্গিদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে ওঠা আনসার আল ইসলামকে নজরদারিতে আনা যাচ্ছে না। সংগঠনটি সাইবার স্পেসে শক্তিশালী হওয়ায় সদস্যদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। দেশে তাঁদের একাধিক আস্তানা গড়ে তোলার খবর থাকলেও সেগুলোর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সংগঠনটির সদস্যরা এমন সব অ্যাপ ব্যবহার করছেন, যেগুলো দৃশ্যমান নয়। এসব অ্যাপের মাধ্যমে সংগঠনটির নেতারা সদস্য সংগ্রহ ও অন্যান্য কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এমনকি অস্ত্র কেনার জন্য পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিনকে ৪২ লাখ টাকাও দিয়েছে। তাঁদের গতিবিধি নজরদারিতে না আসায় বিষয়টি চিন্তায় ফেলেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সার্বিক জঙ্গিবাদ পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আনসার আল ইসলামকে নতুন করে বিপজ্জনক মনে হচ্ছে। কাট-আউট পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনার কারণে তাঁদের সহজে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।
এদিকে গত বছরের আগস্টে আইএসের প্রধান আবু আল হুসেন আল হুসেইনি আল কুরেশি নিহত হওয়ার পর নতুন প্রধান হন আবু হাফস আল হাশিমি আল কুরেশি। তিনি সারা বিশ্বে আইএস অনুসারীদের সংঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেন। আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁর দেওয়া তিনটি বার্তা পেয়েছেন এ দেশের নব্য জেএমবির সদস্যরা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের ১ জুন পর্যন্ত নব্য জেএমবির ৭১ সদস্য জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁরা আবার পুরোনো সংগঠনে ভিড়ছেন। তাঁদেরও আইএসপ্রধানের বার্তা দেখিয়ে উজ্জীবিত করা হচ্ছে।
আট মাসেও প্রকাশ হয়নি পূর্ণাঙ্গ রায়
হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলায় সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। এরপর ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে গত বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি এখনো প্রকাশিত হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ না হওয়ায় আপিল বিভাগে আপিল করতে পারছে না রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিরা।
জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
২০২১ সালের পর দেশের কোথাও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে দেশে জঙ্গিদের তৎপরতা পুরো বন্ধ হয়নি। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম ও নব্য জেএমবি নতুন করে সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করছেন জঙ্গি নিয়ে কাজ করা পুলিশের ইউনিটগুলোর কর্মকর্তারা।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আনসার আল ইসলাম সদস্য সংগ্রহসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালালেও এ সম্পর্কে কোনো তথ্য তাঁরা পাচ্ছেন না। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নতুন প্রধানের বার্তায় দেশে তাঁদের অনুসারী নব্য জেএমবির সদস্যরা নতুন করে উজ্জীবিত হচ্ছেন। এই সংগঠনটির ৭১ জন এ পর্যন্ত জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে এই দুই সংগঠন এখনো তেমন শক্তি অর্জন করতে পারেনি। জঙ্গি হামলার কোনো পরিকল্পনার তথ্যও নেই।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ও ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার আট বছর আজ। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে এই হামলা চালিয়েছিল নব্য জেএমবির জঙ্গিরা। জিম্মি করা হয় সেখানে থাকা সবাইকে। জঙ্গিরা হত্যা করে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জনকে, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন বিদেশি নাগরিক। সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে পরদিন সকালে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। অবসান ঘটে জিম্মি ঘটনার। এ মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি এখনো প্রকাশিত হয়নি।
হোলি আর্টিজানে হামলার পর জঙ্গি দমনে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ গত সাত বছরে বিভিন্ন সংগঠনের ৮২৬ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্তত ২০টি অভিযানে নিহত হয়েছে ৬৩ জন জঙ্গি। হোলি আর্টিজান হামলা-পরবর্তী সময়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৮৭৫ জন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সূত্র বলছে, হোলি আর্টিজানে হামলার পর জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর ব্যাপক নজরদারি করা হয়। সে সময়ে জঙ্গিদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে ওঠা আনসার আল ইসলামকে নজরদারিতে আনা যাচ্ছে না। সংগঠনটি সাইবার স্পেসে শক্তিশালী হওয়ায় সদস্যদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। দেশে তাঁদের একাধিক আস্তানা গড়ে তোলার খবর থাকলেও সেগুলোর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সংগঠনটির সদস্যরা এমন সব অ্যাপ ব্যবহার করছেন, যেগুলো দৃশ্যমান নয়। এসব অ্যাপের মাধ্যমে সংগঠনটির নেতারা সদস্য সংগ্রহ ও অন্যান্য কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এমনকি অস্ত্র কেনার জন্য পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিনকে ৪২ লাখ টাকাও দিয়েছে। তাঁদের গতিবিধি নজরদারিতে না আসায় বিষয়টি চিন্তায় ফেলেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সার্বিক জঙ্গিবাদ পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আনসার আল ইসলামকে নতুন করে বিপজ্জনক মনে হচ্ছে। কাট-আউট পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনার কারণে তাঁদের সহজে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।
এদিকে গত বছরের আগস্টে আইএসের প্রধান আবু আল হুসেন আল হুসেইনি আল কুরেশি নিহত হওয়ার পর নতুন প্রধান হন আবু হাফস আল হাশিমি আল কুরেশি। তিনি সারা বিশ্বে আইএস অনুসারীদের সংঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেন। আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁর দেওয়া তিনটি বার্তা পেয়েছেন এ দেশের নব্য জেএমবির সদস্যরা।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের ১ জুন পর্যন্ত নব্য জেএমবির ৭১ সদস্য জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁরা আবার পুরোনো সংগঠনে ভিড়ছেন। তাঁদেরও আইএসপ্রধানের বার্তা দেখিয়ে উজ্জীবিত করা হচ্ছে।
আট মাসেও প্রকাশ হয়নি পূর্ণাঙ্গ রায়
হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলায় সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। এরপর ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে গত বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি এখনো প্রকাশিত হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ না হওয়ায় আপিল বিভাগে আপিল করতে পারছে না রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিরা।
জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪