পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঠাঁই বিতর্কিত নেতাদের

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ৩৩
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ০০

নানা বিতর্ক আর অভিযোগকে পাত্তা না দিয়েই বরিশাল নগর ও জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিল কেন্দ্র। দুটি কমিটিতেই বিগত কমিটির অধিকাংশ নেতা ঠাঁই পাননি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার অনুসারী অনেক ঝানু নেতা আশির দশক থেকে রাজনীতি করলেও এখন পদহীন। একাধিক ত্যাগী নেতা অভিযোগ করেছেন, হত্যা মামলায় জড়িয়ে পড়া বিতর্কিত নেতাও যেমন স্থান পেয়েছেন, তেমনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করা নেতারাও ঠাঁই পেয়েছেন।

জানা গেছে, গত ৩ ডিসেম্বর মহানগর এবং দক্ষিণ ও উত্তর জেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গত শনিবার রাতে ৪২ সদস্যের মহানগর এবং ৪৭ সদস্যের দক্ষিণ জেলার পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির বিগত কমিটির সহসম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, কমিটিতে কয়েকজন সাবেক সিটি কাউন্সিলর আছেন যাঁরা আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের সময়ে তার সফরসঙ্গী হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন এবং ১৫ আগস্টের দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু ওই কাউন্সিলররা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী কিংবা খালেদা মুক্তির কর্মসূচিতে আসেননি।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, কমিটি হয়েছে ৪২ সদস্যের। আগের কমিটির বড় অংশ বাদ যাবে স্বাভাবিক। আগের কমিটিতে অবহেলিত ছাত্রদল নেতাদের আহ্বায়ক কমিটিতে মূল্যায়িত করা হয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ কমিটিতে যেমন হত্যা মামলার আসামিও আছেন, তেমনি ছাত্রদলের নবীন নেতাও এক লাফে আহ্বায়ক কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৩৭ নম্বর সদস্য ফাতেমা রহমান। তিনি সুরভী লঞ্চে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। ৪৪ নম্বর সদস্য এমদাদুল হক মিলনকে তৃণমূল থেকে জেলায় পদ দেওয়া হয়েছে। কমিটির ৪১ নম্বর সদস্য মুশফিকুল হাসান মাসুম ছাত্রদল নেতা থেকে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে নাম লেখালেন। কাওসার মজুমদার ও মিজানুর রহমান মিলু ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা হয়ে এখন জেলার সদস্য হওয়ায় ক্ষুব্ধ অনেকে।

বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সদস্যসচিব আকতার হোসেন তালুকদার মেবুল বলেন, ৪৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নবীন, প্রবীণ এবং বঞ্চিতদের নিয়ে করা হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে স্থান পাওয়া ফাতেমা রহমানের হত্যা মামলার আসামি হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়টি জানেন না। ছাত্রদল নেতা মাসুম এখন বিএনপি করতে চেয়েছে তাই রাখা হয়েছে। সদস্য মিজানুর রহমান মিলুকে তিনি চেনেন না বলে জানান।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত