আইপিএম পদ্ধতিতে বাদাম চাষে মিলছে সফলতা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ মে ২০২২, ১৩: ০০
Thumbnail image

পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায় মাঠে ধান কাটার পরই চাষ হয় বাদামের। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর এসব এলাকায় বাদামের ব্যাপক ভালো ফলন হচ্ছে। তবে বাদাম চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণ হওয়ায় কৃষক বিভিন্ন সময় ক্ষতির মুখে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা বা আইপিএম পদ্ধতিতে পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় চিনাবাদামের প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করেছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানায়, ইউএসআইডি মিশনের অর্থায়নে ফিট দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ইন্ট্রিগেডেট পেস্ট ম্যানেজমেন্ট একটিভিটি নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের বাদামখেতে আঠালো ফাঁদ, ফেরোমন ফাঁদ, পাচিং এসওপি এবং বায়োপেস্টিসাইড ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ ছাড়া এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে কীটনাশক ব্যবহার না করে পোকামাকড়ের আক্রমণমুক্ত ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে। ফলে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং কম ব্যয়ে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।

ফিট দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ইন্ট্রিগেডেট পেস্ট ম্যানেজমেন্ট একটিভিটির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আইপিএম পদ্ধতিতে পটুয়াখালী জেলায় পাঁচটি প্রদর্শনী দিয়েছি। এ থেকে আমরা কৃষকদের দেখানোর চেষ্টা করেছি যে, চিনাবাদামে যে পোকামাকড়গুলো আক্রমণ করে, তা প্রতিরোধে কোনো কেমিক্যাল পেস্টিসাইড ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যে কৃষকেরা যাতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন, সে বিষয়ে তাঁদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পটুয়াখালী জেলায় গত বছর ৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম চাষ হয়। এ বছর ৫ হাজার ৭৮৩ হেক্টরে চাষ করা হয়েছে। এদিকে আধুনিক ও নিরাপদ এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বিগত সময়ের থেকে কিংবা যেসব জমিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি, সেসব জমির থেকেও এবার ভালো ফলন পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় খুশি স্থানীয় কৃষকেরা।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া এলাকার কৃষক ফজলু মৃধা বলেন, ‘এবার বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করায় ভালো ফলনের মুখ দেখতে পাইছি। সামনে এ রকম সহযোগিতা করলে আরও বেশি করে বাদাম চাষ করব।’

একই এলাকার কৃষক হাসান গাজী বলেন, ‘বাদাম তোলা শুরু করছি। এবার বাদামের দামও ভালো। কাঁচা অবস্থায় ২ হাজার ৪০০ টাকা মণ এবং শুকনো অবস্থায় ৪ হাজার টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করতে পারছি।’

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘অনুকূল আবহাওয়া এবং ভালো ফলন পাওয়ায় বিগত বছরের থেকে এবার পটুয়াখালী জেলায় বেশি পরিমাণ জমিতে চিনাবাদামের আবাদ হয়েছে। তবে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় উন্নত জাতের বীজ, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বড়াতে পারলে, বাদাম উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হবে বলে মনে করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত