ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোয় নদী পার মালামাল থাকলেই ঘুর পথ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২২, ১৩: ০৪
Thumbnail image

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের সিঙ্গিমারী নদীতে সেতু নেই। এতে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হতে হচ্ছে ৩৫ গ্রামের মানুষকে। ভারী পণ্য নিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হলে ৬ কিলোমিটারের রাস্তা ১২ কিলোমিটার ঘুরতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জানা গেছে, কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের কুচলিবাড়ি গ্রামে সেতু না থাকায় সিঙ্গিমারী নদীর পশ্চিম অংশে একই ইউনিয়নের কুচলিবাড়ি গ্রাম, কলসিরমুখ বিজিবি ক্যাম্প, মেম্বারের বাড়ি, রুমিটারী, দয়ালেরটারী, তেইলেনটারী, ভোদলোটারী, ডাঙাপাড়া, ললিতারহাট, কলসিরমুখ, গিরিয়ারপাড়, লালস্কুল, দৌলতপুর গ্রাম দরগারপাড়সহ পূর্বপাড়ে জোংড়া ইউনিয়নের মোমিনপুর, আলাউদ্দিন নগর, কবরস্থান বাজার, শিমুলতাসহ অন্তত ৩৫টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

সেতুটির পূর্ব অংশে জোংড়া ইউনিয়নের মোমিনপুর গ্রাম হয়ে লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর মহাসড়ক। প্রতিদিন তিন-চার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গ্রামের বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বাঁশের খুঁটি ও বাঁশ দিয়ে নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সাঁকো। এটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীরা ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বর্ষা মৌসুমে নদী পানিতে ভরে গেলে আতঙ্ক নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। এ ছাড়া বন্যার সময় বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলে বেশি ঝুঁকি দেখা দিলে নৌকায় চলাচল করেন স্থানীয় লোকজন।

পাটগ্রাম আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থী মনোয়ার হোসেন জানায়, নদীর ওপারের অনেক শিক্ষার্থী পাটগ্রাম শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজে পড়ালেখা করে। নদীতে সেতু না থাকায় বর্ষাকালে বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় না।

কুচলিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, গ্রামের লোকজন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যেরা নদীর ওপর বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেন। অনেক দিন হয়ে যাওয়ায় সেতুটি নড়বড়ে হয়ে গেছে।

জোংড়া ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর গ্রামের কৃষক হাফিজার রহমান বলেন, সাঁকোটি হয়ে পাটগ্রাম উপজেলায় যেতে ৬ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। ধান, ভুট্টা, তামাক বা অন্যান্য কৃষিপণ্য নিয়ে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে যাওয়া যায় না। এ কারণে ৬ কিলোমিটারের রাস্তা ১২ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা শহরের হাটবাজারে নিতে হয়।

এতে কৃষিপণ্য নিতে খরচ বেড়ে যায়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব-উল আলম বলেন, ‘সিঙ্গিমারী নদীতে সেতু তৈরির জন্য বাঁশের সাঁকোর স্থানের মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই কাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত