Ajker Patrika

বিশেষজ্ঞ মত: লক্ষ্যমাত্রা না থাকায় পিছিয়ে সরকারি সেবা

আপডেট : ০৭ মে ২০২৩, ১১: ২৬
বিশেষজ্ঞ মত: লক্ষ্যমাত্রা না থাকায় পিছিয়ে সরকারি সেবা

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রভাব বাড়া স্বাভাবিক। কারণ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের কাজের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজনকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করতে হয়।

সে ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনের ওপর নির্ভর করে তাঁদের বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতি ইত্যাদি। লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলে কর্মহীন হয়ে পড়াও অস্বাভাবিক নয়। সে কারণেই পরিবার পরিকল্পনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষণীয়। তা ছাড়া, অনেক দম্পতি আছেন, যাঁরা এসব পদ্ধতি ব্যবহার করতে অনিচ্ছুক। এমনকি তাঁদের কাছে সরকারি বার্তাও কখনো পৌঁছায় না, ফলে দেশের প্রজনন হার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে থাকছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের একটি কার্যক্রম ছিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রজননস্বাস্থ্য বিষয়ে তথ্য প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বর্তমানে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার হার মাত্র ২২ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হবে এবং প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। নয়তো লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব এককভাবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ওপর ছেড়ে দিলেও হবে না। এ ক্ষেত্রে ২৫টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত কার্যক্রম নিতে হবে। কারণ, এর সঙ্গে দেশের ২৫টি মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত। আন্তমন্ত্রণালয়ের সমন্বিত কার্যক্রম ছাড়া জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সম্ভব হবে না।

জনসংখ্যা বাড়ার আরেকটি কারণ জনগণের জীবনযাপনে সংস্কৃতির প্রভাব। এর সঙ্গে রয়েছে আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক গতিময়তা, কর্মসংস্থান ও পারিপার্শ্বিকতা। সে কারণে দেশে বাল্যবিবাহ কমছে না। বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বিবাহিত মেয়েটির ওপর একটি চাপ থাকে দ্রুত সন্তান দানের। এমনকি সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না। ফলে সন্তান জন্মদানে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা গুরুত্ব বহন করে না। 

এ কে এম নূর-উন নবী, অধ্যাপক, পপুলেশন সায়েন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মিডিয়া ছুটায় দেব, চেনো আমাদের’—সাংবাদিককে হুমকি কুড়িগ্রামের এসপির

মেঘনা আলম ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’, কারণ জানাল পুলিশ

তিন সুপারস্টারেও ফ্লপ, ৩৪ বছর আগে যে সর্বভারতীয় ছবি প্রযোজককে দেউলিয়া বানিয়েছিল

বান্দরবান, মণিপুর, মিজোরাম ও রাখাইন নিয়ে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র চলছে: বজলুর রশীদ

ইসলামপুর বিএনপির সহসভাপতি যোগ দিলেন জামায়াতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত