শিশুদের উৎসবে সঙ্গী বড়রাও

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১৫: ১৩

দর্শক, অতিথি ও চলচ্চিত্রানুরাগীদের উপস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয় টাঙ্গাইলের শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। ছুটির দিনে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে অভিভাবকেরাও আসেন শিশুতোষ চলচ্চিত্র উপভোগ করতে। আজ শনিবার এ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামবে।

‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটি টাঙ্গাইল আয়োজিত তিন দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে জুমার নামাজের আগে দর্শকের উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও বিকেলের দিকে তা বাড়তে থাকে। দেশি-বিদেশি ছয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা প্রদর্শিত হয়। সিনেমাগুলো হলো দি রিপাবলিক অব চিলড্রেন (পোল্যান্ড), মেসি (ইরান), সুমো কিড (রাশিয়া), ক্রিপি (জার্মানি), থ্যাংক ইউ ফর ইওর টিথ (রোমানিয়া), আমার বন্ধু রাশেদ (বাংলাদেশ)।

সন্তোষের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আয়াদ চলচ্চিত্র উৎসবে এসেছিল তার বাবার সঙ্গে। বিদেশি ছবি দেখতে তার খুব ভালো লাগে, তাই সে এসেছে।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলাম রিপন বলেন, জেলা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব তাঁকে বিমোহিত করেছে। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোররা বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবে। নতুন নতুন বিষয় জানতে পারবে, শিখতে পারবে। মাঝেমধ্যে এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখতে আসা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফিরোজ আহমেদ বাচ্চু বলেন, এই উৎসবের মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোরেরা বহুদেশীয় চলচ্চিত্রের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছে।

টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মেনন রাসেল বলেন, কিশোরদের বীরের বেশে দুঃসাহসিক অভিযানে অংশ নেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের আবহ তুলে আনার দুর্দান্ত ছবি আমার বন্ধু রাশেদ। সুস্থ ধারার এমন ছবি কিশোরদের শুধু অনুপ্রেরণাই জোগাবে না, দেশপ্রেমেও উদ্বুদ্ধ করবে।

চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি টাঙ্গাইলের সভাপতি ও উৎসবের পরিচালক মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেন, `নান্দনিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ—এই তিন লক্ষ্য বাস্তবায়নই হলো তাঁদের আয়োজনের লক্ষ্য। এই চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে কিশোরদের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণে আগ্রহী করে তোলার জন্যই মূলত আমাদের এই আয়োজন।’

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সাম্য রহমান বলেন, সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজকে সহজেই জাগানো সম্ভব। বিপথগামিতা থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই সুন্দর, সুস্থ ধারার শিশুতোষ চলচ্চিত্র নিয়েই এ আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনে ১৪টি দেশের ২০টি ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত