সম্পাদকীয়
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। পরীক্ষায় পাস ও ফেল স্বাভাবিক ঘটনা। এবারও এইচএসসি পরীক্ষায় অনেকে যেমন পাস করেছেন, তেমনি ফেলও করেছেন। তবে এবারের ফলাফল স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়নি। কারণ, এবার শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। সিলেট বিভাগ ছাড়া অন্য সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে পরীক্ষা হয়েছে তিনটি বিষয়ে। ছাত্র-গণ-আন্দোলন ও সরকার পতনের কারণে পরীক্ষা স্থগিত হয়েছিল। পরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষার্থীদের একাংশ সচিবালয় ঘেরাও করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাপ সৃষ্টি করে পরীক্ষা না দিয়ে ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরীক্ষা না দিয়ে পাস করার বিষয়টি যে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে তা, নয়। কিন্তু এরচেয়ে ভালো বিকল্প সম্ভবত পাওয়া যায়নি।
এবারের এইচএসসিতে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।
তবে এটাও ঠিক যে এবারের ফলাফল পরীক্ষা না দিয়ে বা অটোপাসের মতো হয়নি। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে মন্দের ভালো হিসেবে কম বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েও শিক্ষার্থীরা পরের ক্লাসে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ঠিকমতো পরীক্ষা না দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইও ঠিকমতো হয়নি। একধরনের ঘাটতি নিয়েই শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যাবেন। এটা তাঁদের জন্য কোনো ধরনের অন্তরায় তৈরি করবে না তো?
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এবার গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সে হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ। পাসের হার সামান্য কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী। গত বছর পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। চলতি বছর ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮০ হাজার ৯৩৩ জন; আর ছাত্রদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন।
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ পাস করতে পারেননি ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৪৯ জন।
ফলাফলের সবচেয়ে দুঃখজনক দিক হলো, এবার দেশের ৬৫টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। গত বছর শূন্য পাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল ৪২। এই কলেজগুলো সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে ভাবতে হবে। একজন শিক্ষার্থীও কেন পাস করতে পারেননি, তা নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা উচিত।
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। পরীক্ষায় পাস ও ফেল স্বাভাবিক ঘটনা। এবারও এইচএসসি পরীক্ষায় অনেকে যেমন পাস করেছেন, তেমনি ফেলও করেছেন। তবে এবারের ফলাফল স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়নি। কারণ, এবার শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। সিলেট বিভাগ ছাড়া অন্য সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে পরীক্ষা হয়েছে তিনটি বিষয়ে। ছাত্র-গণ-আন্দোলন ও সরকার পতনের কারণে পরীক্ষা স্থগিত হয়েছিল। পরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষার্থীদের একাংশ সচিবালয় ঘেরাও করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাপ সৃষ্টি করে পরীক্ষা না দিয়ে ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরীক্ষা না দিয়ে পাস করার বিষয়টি যে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে তা, নয়। কিন্তু এরচেয়ে ভালো বিকল্প সম্ভবত পাওয়া যায়নি।
এবারের এইচএসসিতে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।
তবে এটাও ঠিক যে এবারের ফলাফল পরীক্ষা না দিয়ে বা অটোপাসের মতো হয়নি। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে মন্দের ভালো হিসেবে কম বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েও শিক্ষার্থীরা পরের ক্লাসে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। ঠিকমতো পরীক্ষা না দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইও ঠিকমতো হয়নি। একধরনের ঘাটতি নিয়েই শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যাবেন। এটা তাঁদের জন্য কোনো ধরনের অন্তরায় তৈরি করবে না তো?
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এবার গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সে হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে দশমিক ৮৬ শতাংশ। পাসের হার সামান্য কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী। গত বছর পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। চলতি বছর ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮০ হাজার ৯৩৩ জন; আর ছাত্রদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন।
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ পাস করতে পারেননি ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৪৯ জন।
ফলাফলের সবচেয়ে দুঃখজনক দিক হলো, এবার দেশের ৬৫টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। গত বছর শূন্য পাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল ৪২। এই কলেজগুলো সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে ভাবতে হবে। একজন শিক্ষার্থীও কেন পাস করতে পারেননি, তা নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা উচিত।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪