সাইফুল মাসুম, ঢাকা
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে (এলডিডিপি) অডিটের নামে কর্মীদের প্রমোদভ্রমণে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি শুরুর পর থেকে প্রতিবছর মাত্র দুজনকে অডিটে পাঠানো হলেও এবার যাচ্ছেন আটজন। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, এলডিডিপি প্রকল্পে অডিটকে পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করেন কর্মীরা। কারণ, এতে একদিকে অডিটের আওতাভুক্ত খামারিদের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, অন্যদিকে কেউ কেউ একে প্রকল্পের খরচে সপরিবার বেড়ানোর সুযোগ হিসেবেও দেখেন।
প্রকল্পসংক্রান্ত দাপ্তরিক এক চিঠির সূত্রে জানা গেছে, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত অডিট কার্যক্রমে অংশ নেবেন প্রকল্পের আটজন কর্মী। তাঁদের মধ্যে চারজন হিসাবরক্ষক থাকলেও বাকি চারজনের দুজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং দুজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে প্রকল্প শুরুর পর থেকে প্রতিবছর অডিট কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন মাত্র দুজন কর্মকর্তা। তাঁরা হচ্ছেন হিসাবরক্ষক মো. ইয়ামিন হোসেন ও মো. মেহেদী হাসান। অভিযোগ রয়েছে, মেহেদী হাসান গত বছর কক্সবাজারে প্রকল্পের অডিটে গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়ানোয় ব্যস্ত ছিলেন। কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছরও পরিবারকে নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে তিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর এবং পঞ্চগড় সদর ও দেবীগঞ্জকে বেছে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসের কাজে কক্সবাজার অডিটে গিয়েছিলাম। পরিবার পরিবারের মতো ছিল। ৯টা-৫টা অফিসের সময় শেষে পরিবারকে সময় দিলে তো সমস্যা নেই।’
প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এবার এলডিডিপি প্রকল্পের শীর্ষ কর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে কর্মীদের অসন্তোষ থামাতেই বাড়তি কয়েকজনকে ‘প্রমোদভ্রমণে’ পাঠানো হচ্ছে। অডিটে পাঠানো কর্মীদের তালিকায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টা আমার জানা নেই। এলডিডিপি প্রকল্পের কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। তারপরও আমি খোঁজ নেব।’
প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর মো. গোলাম রব্বানীকে একাধিকবার কল ও মেসেজ দিলেও তিনি ঢাকার বাইরে ব্যস্ত আছেন বলে দৃশ্যত এড়িয়ে গেছেন। জানা গেছে, এ বছর প্রকল্পের অডিট কার্যক্রম তদারক করছেন উপপ্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) মো. শাকিফ-উল-আযম। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অডিটে পাঠানো হয় মূলত মাঠ কার্যক্রম তদারক করার জন্য। আগে কতজন গেছে, তা আমার জানা নেই। মাঠের অডিট জরুরি, তাই এবার বেশি লোক পাঠাচ্ছি।’ অডিটের সময় কর্মীদের পরিবার নিয়ে ভ্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেখতে হবে পরিবার নিয়ে ভ্রমণের কারণে অফিসের কোনো কার্যক্রমের ব্যত্যয় হয় কি না। তবে এবার কঠোরভাবে বিষয়গুলো তদারক করব।’
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এলডিডিপি প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, পশুপাখির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি খামারিদের ভাগ্যোন্নয়ন। বর্তমানে ৬১ জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় প্রকল্পের কাজ চলমান। ২০২৫ সালের অক্টোবরে এ প্রকল্পের কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে (এলডিডিপি) অডিটের নামে কর্মীদের প্রমোদভ্রমণে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি শুরুর পর থেকে প্রতিবছর মাত্র দুজনকে অডিটে পাঠানো হলেও এবার যাচ্ছেন আটজন। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, এলডিডিপি প্রকল্পে অডিটকে পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করেন কর্মীরা। কারণ, এতে একদিকে অডিটের আওতাভুক্ত খামারিদের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, অন্যদিকে কেউ কেউ একে প্রকল্পের খরচে সপরিবার বেড়ানোর সুযোগ হিসেবেও দেখেন।
প্রকল্পসংক্রান্ত দাপ্তরিক এক চিঠির সূত্রে জানা গেছে, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত অডিট কার্যক্রমে অংশ নেবেন প্রকল্পের আটজন কর্মী। তাঁদের মধ্যে চারজন হিসাবরক্ষক থাকলেও বাকি চারজনের দুজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং দুজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে প্রকল্প শুরুর পর থেকে প্রতিবছর অডিট কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন মাত্র দুজন কর্মকর্তা। তাঁরা হচ্ছেন হিসাবরক্ষক মো. ইয়ামিন হোসেন ও মো. মেহেদী হাসান। অভিযোগ রয়েছে, মেহেদী হাসান গত বছর কক্সবাজারে প্রকল্পের অডিটে গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়ানোয় ব্যস্ত ছিলেন। কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছরও পরিবারকে নিয়ে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে তিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর এবং পঞ্চগড় সদর ও দেবীগঞ্জকে বেছে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসের কাজে কক্সবাজার অডিটে গিয়েছিলাম। পরিবার পরিবারের মতো ছিল। ৯টা-৫টা অফিসের সময় শেষে পরিবারকে সময় দিলে তো সমস্যা নেই।’
প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এবার এলডিডিপি প্রকল্পের শীর্ষ কর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে কর্মীদের অসন্তোষ থামাতেই বাড়তি কয়েকজনকে ‘প্রমোদভ্রমণে’ পাঠানো হচ্ছে। অডিটে পাঠানো কর্মীদের তালিকায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টা আমার জানা নেই। এলডিডিপি প্রকল্পের কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। তারপরও আমি খোঁজ নেব।’
প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর মো. গোলাম রব্বানীকে একাধিকবার কল ও মেসেজ দিলেও তিনি ঢাকার বাইরে ব্যস্ত আছেন বলে দৃশ্যত এড়িয়ে গেছেন। জানা গেছে, এ বছর প্রকল্পের অডিট কার্যক্রম তদারক করছেন উপপ্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) মো. শাকিফ-উল-আযম। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অডিটে পাঠানো হয় মূলত মাঠ কার্যক্রম তদারক করার জন্য। আগে কতজন গেছে, তা আমার জানা নেই। মাঠের অডিট জরুরি, তাই এবার বেশি লোক পাঠাচ্ছি।’ অডিটের সময় কর্মীদের পরিবার নিয়ে ভ্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেখতে হবে পরিবার নিয়ে ভ্রমণের কারণে অফিসের কোনো কার্যক্রমের ব্যত্যয় হয় কি না। তবে এবার কঠোরভাবে বিষয়গুলো তদারক করব।’
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এলডিডিপি প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, পশুপাখির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি খামারিদের ভাগ্যোন্নয়ন। বর্তমানে ৬১ জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় প্রকল্পের কাজ চলমান। ২০২৫ সালের অক্টোবরে এ প্রকল্পের কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে