অরূপ রায়, সাভার
ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী ভবনের সামনের রাস্তার প্রস্থ এবং ভবন ও রাস্তার মধ্যবর্তী উন্মুক্ত স্থানের যোগফলের দ্বিগুণের সমান উচ্চতায় ভবন নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু ঢাকার অদূরে সাভার পৌর এলাকায় অনেক ভবনের ক্ষেত্রে এই আইন মানা হচ্ছে না। বিষয়টি জেনেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব।
সাভার পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, পৌর এলাকায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পৌরসভা অথবা রাজউকের অনুমোদন নিতে হয়। পৌরসভা থেকে ৭ তলা পর্যন্ত এবং তার চেয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন নিতে হয়। ১৪ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৌরসভায় হোল্ডিং ৩৩ হাজার ৩০টি। এগুলোর মধ্যে পৌরসভা থেকে ৭ হাজার ২৭২টি ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রাজউক থেকে কতটি ভবনের নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান পৌরসভায় নেই। রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে একাধিক আবেদনের পরও রাজউক থেকে সাভার পৌর এলাকায় ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পৌরসভা থেকে ৭ হাজার ২৭২টি ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হলেও পৌর এলাকায় অন্তত ২০ হাজার ভবন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৭ তলার ওপরের উচ্চতার ভবন রয়েছে প্রায় ৪ হাজার। এই ৪ হাজার ভবনের মধ্যে রাজউক অনুমোদিত ভবনের সংখ্যা মাত্র ৩০০।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘৮ থেকে ১১ তলা পর্যন্ত যেসব ভবন রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই ইমারত নির্মাণ আইন বা অনুমোদিত নকশা মানেনি।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির এফ ব্লকের ৪৮ নম্বর হোল্ডিংয়ে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের এক পাশে ১৪ ফুট ১০ ইঞ্চি প্রশস্ত রাস্তা এবং অন্য পাশে ১২ ফুট ৯ ইঞ্চি প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে। রাস্তা ছাড়া ভবনের সামনে আর কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। অথচ আইন অনুযায়ী ভবনটির সামনে রাস্তাসহ অন্তত ৫০ ফুট উন্মুক্ত স্থান রাখার কথা।
জানতে চাইলে ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত কাইজেন হোমস লিমিটেডের অংশীদার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজউকের অনুমোদন নিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বাড়িটি নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করা হয়নি। ভবিষ্যতে আইন অনুসরণ করে বাড়ি নির্মাণ করা হবে।’
ব্যাংক কলোনির এ ব্লকের ৫৮/০৪ নম্বর হোল্ডিংয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেও ইমারত নির্মাণ আইন মানা হয়নি। বেসমেন্ট বাদে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হলেও ভবনের সামনে রাস্তাসহ উন্মুক্ত স্থান রয়েছে ১৫ ফুট। আইন মানা হচ্ছে না জালেশ্বর মহল্লার ৮ ও ৯ তলা পাশাপাশি দুটি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেও।
রাজউকের অনুমোদন নিয়ে ছায়াবীথি মহল্লায় ১১ তলা ভবন নির্মাণ করছে ডেভেলপমেন্ট এভিনিউ প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বাড়িটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এই বাড়ির দুই পাশেও রাস্তাসহ ১২ থেকে ১৩ ফুট করে উন্মুক্ত স্থান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী আলিফ রহমান বলেন, ‘রাজউক থেকে ১০ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছি। ১০ তলা ভবন নির্মাণের জন্য ভবনের সামনে রাস্তাসহ কতটুকু উন্মুক্ত স্থান রাখতে হয়, তা আমার জানা নেই।’
সাভারের গেন্ডা এলাকায় ১০ তলা একটি ভবনের মালিকদের একজন আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের অল্প জায়গা। আইন মেনে ভবন নির্মাণ করতে গেলে কিছুই থাকে না। তাই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আইনের কিছুটা ব্যত্যয় হতে পারে।’ সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই বিধিমালা মেনে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না। জনবলের অভাবে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়াও সম্ভব হয় না।’
রাজউকের সাভার অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা অথরাইজড অফিসার আবিল আইয়ান বলেন, রাজউকের অনুমোদন নিয়ে আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের বিষয়টি জানা নেই। একজন পরিদর্শক পাঠিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী ভবনের সামনের রাস্তার প্রস্থ এবং ভবন ও রাস্তার মধ্যবর্তী উন্মুক্ত স্থানের যোগফলের দ্বিগুণের সমান উচ্চতায় ভবন নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু ঢাকার অদূরে সাভার পৌর এলাকায় অনেক ভবনের ক্ষেত্রে এই আইন মানা হচ্ছে না। বিষয়টি জেনেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব।
সাভার পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, পৌর এলাকায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে পৌরসভা অথবা রাজউকের অনুমোদন নিতে হয়। পৌরসভা থেকে ৭ তলা পর্যন্ত এবং তার চেয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন নিতে হয়। ১৪ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৌরসভায় হোল্ডিং ৩৩ হাজার ৩০টি। এগুলোর মধ্যে পৌরসভা থেকে ৭ হাজার ২৭২টি ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রাজউক থেকে কতটি ভবনের নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান পৌরসভায় নেই। রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে একাধিক আবেদনের পরও রাজউক থেকে সাভার পৌর এলাকায় ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পৌরসভা থেকে ৭ হাজার ২৭২টি ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হলেও পৌর এলাকায় অন্তত ২০ হাজার ভবন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৭ তলার ওপরের উচ্চতার ভবন রয়েছে প্রায় ৪ হাজার। এই ৪ হাজার ভবনের মধ্যে রাজউক অনুমোদিত ভবনের সংখ্যা মাত্র ৩০০।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘৮ থেকে ১১ তলা পর্যন্ত যেসব ভবন রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই ইমারত নির্মাণ আইন বা অনুমোদিত নকশা মানেনি।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির এফ ব্লকের ৪৮ নম্বর হোল্ডিংয়ে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের এক পাশে ১৪ ফুট ১০ ইঞ্চি প্রশস্ত রাস্তা এবং অন্য পাশে ১২ ফুট ৯ ইঞ্চি প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে। রাস্তা ছাড়া ভবনের সামনে আর কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। অথচ আইন অনুযায়ী ভবনটির সামনে রাস্তাসহ অন্তত ৫০ ফুট উন্মুক্ত স্থান রাখার কথা।
জানতে চাইলে ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত কাইজেন হোমস লিমিটেডের অংশীদার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজউকের অনুমোদন নিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বাড়িটি নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করা হয়নি। ভবিষ্যতে আইন অনুসরণ করে বাড়ি নির্মাণ করা হবে।’
ব্যাংক কলোনির এ ব্লকের ৫৮/০৪ নম্বর হোল্ডিংয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেও ইমারত নির্মাণ আইন মানা হয়নি। বেসমেন্ট বাদে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হলেও ভবনের সামনে রাস্তাসহ উন্মুক্ত স্থান রয়েছে ১৫ ফুট। আইন মানা হচ্ছে না জালেশ্বর মহল্লার ৮ ও ৯ তলা পাশাপাশি দুটি ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেও।
রাজউকের অনুমোদন নিয়ে ছায়াবীথি মহল্লায় ১১ তলা ভবন নির্মাণ করছে ডেভেলপমেন্ট এভিনিউ প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বাড়িটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এই বাড়ির দুই পাশেও রাস্তাসহ ১২ থেকে ১৩ ফুট করে উন্মুক্ত স্থান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী আলিফ রহমান বলেন, ‘রাজউক থেকে ১০ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছি। ১০ তলা ভবন নির্মাণের জন্য ভবনের সামনে রাস্তাসহ কতটুকু উন্মুক্ত স্থান রাখতে হয়, তা আমার জানা নেই।’
সাভারের গেন্ডা এলাকায় ১০ তলা একটি ভবনের মালিকদের একজন আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের অল্প জায়গা। আইন মেনে ভবন নির্মাণ করতে গেলে কিছুই থাকে না। তাই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আইনের কিছুটা ব্যত্যয় হতে পারে।’ সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই বিধিমালা মেনে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না। জনবলের অভাবে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়াও সম্ভব হয় না।’
রাজউকের সাভার অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা অথরাইজড অফিসার আবিল আইয়ান বলেন, রাজউকের অনুমোদন নিয়ে আইন অমান্য করে ভবন নির্মাণের বিষয়টি জানা নেই। একজন পরিদর্শক পাঠিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে