বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন জেএন.১ ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে এ ধরন পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও পাঁচজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্দরে সুরক্ষা বাড়াতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ নির্দেশনা দিলেও সেটি উপেক্ষা করা হচ্ছে বেনাপোলে। সেখানে নিরাপত্তাকর্মী ও যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের থার্মাল স্ক্যানার মেশিনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতিও নষ্ট দীর্ঘদিন। কেবল হ্যান্ড থার্মাল দিয়ে নামমাত্র স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং ছয় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকের দেড় সহস্রাধিক চালক-সহকারী আসা-যাওয়া করেন। এতে আবার করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় একজন বাংলাদেশি সংক্রমিত হয়। পরে ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯৮ জনের। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৮১ জন। আর ভারতে করোনায় মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যানে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এত মৃত্যু আর অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে মানুষের জীবনযাপন যখন স্বাভাবিকের পথে, ঠিক তখন করোনার জেএন.১ নতুন উপধরন ভাবিয়ে তুলেছে অনেককে। এরই মধ্যে ভারতসহ বিশ্বের ৪১ দেশে নতুন এ উপধরন ছড়িয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ আগাম সতর্কতা নিয়েছে।
১৮ জানুয়ারি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, পাঁচটি নমুনায় উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার পর এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরিস্থিতির ওপর তাঁরা নজর রাখছেন। ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সরকার আড়াই কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছে। ২০২৪ ও ২০২৫ সালে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে চতুর্থ ডোজ হিসেবে এসব টিকা দেওয়া হবে।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে দেশ-বিদেশের ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত এবং ৬০০ পণ্যবাহী ট্রাক, দেড় সহস্রাধিক ট্রাকচালক আসা-যাওয়া করেন। এঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতগামী কয়েকজন পাসপোর্টধারী যাত্রী জানান, বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী এবং যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের আগ্রহ কম দেখা গেছে। তাঁরা নিজেরা সচেতন ও যাত্রীদের সচেতন করলে সুরক্ষা জোরদার হবে।
ভারতগামী যাত্রী মো. আসলাম জানান, ঘরে বসে থাকলে তো আর জীবন চলবে না। সরকারের নির্দেশনা মেনে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে পথ এগোতে হবে। আর এই সতর্কতা কেউ না মানলে আবারও আগের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
পাসপোর্টযাত্রী কবির হোসেন জানান, চিকিৎসার জন্য পরিবারের সঙ্গে ভারতে যাচ্ছেন। বন্দর ও কাস্টমস স্বাস্থ্য বিভাগে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা সচেতনতার বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে এখন যেহেতু শুনেছেন, সচেতন থাকার চেষ্টা করবেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা মরিয়ম খন্দকার বলেন, ‘১১ জানুয়ারি করোনার নতুন ধরন জেএন.১ সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ সুরক্ষা বাড়াতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে। আমরা সাধ্যমতো যাত্রীদের সচেতন করছি। হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে সন্দেহভাজন যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছি। তবে থার্মাল স্ক্যানারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নষ্ট থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রাংশ জোগান পাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’ বেনাপোল বন্দর দিয়ে বিভিন্ন দেশের যাত্রীরা যাতায়াত করায় সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন জেএন.১ ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে এ ধরন পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের ৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও পাঁচজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্দরে সুরক্ষা বাড়াতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ নির্দেশনা দিলেও সেটি উপেক্ষা করা হচ্ছে বেনাপোলে। সেখানে নিরাপত্তাকর্মী ও যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের থার্মাল স্ক্যানার মেশিনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতিও নষ্ট দীর্ঘদিন। কেবল হ্যান্ড থার্মাল দিয়ে নামমাত্র স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং ছয় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকের দেড় সহস্রাধিক চালক-সহকারী আসা-যাওয়া করেন। এতে আবার করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় একজন বাংলাদেশি সংক্রমিত হয়। পরে ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯৮ জনের। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৮১ জন। আর ভারতে করোনায় মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যানে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এত মৃত্যু আর অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে মানুষের জীবনযাপন যখন স্বাভাবিকের পথে, ঠিক তখন করোনার জেএন.১ নতুন উপধরন ভাবিয়ে তুলেছে অনেককে। এরই মধ্যে ভারতসহ বিশ্বের ৪১ দেশে নতুন এ উপধরন ছড়িয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ আগাম সতর্কতা নিয়েছে।
১৮ জানুয়ারি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, পাঁচটি নমুনায় উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার পর এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরিস্থিতির ওপর তাঁরা নজর রাখছেন। ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সরকার আড়াই কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছে। ২০২৪ ও ২০২৫ সালে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে চতুর্থ ডোজ হিসেবে এসব টিকা দেওয়া হবে।
বেনাপোল আমদানি রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে দেশ-বিদেশের ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত এবং ৬০০ পণ্যবাহী ট্রাক, দেড় সহস্রাধিক ট্রাকচালক আসা-যাওয়া করেন। এঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতগামী কয়েকজন পাসপোর্টধারী যাত্রী জানান, বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী এবং যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের আগ্রহ কম দেখা গেছে। তাঁরা নিজেরা সচেতন ও যাত্রীদের সচেতন করলে সুরক্ষা জোরদার হবে।
ভারতগামী যাত্রী মো. আসলাম জানান, ঘরে বসে থাকলে তো আর জীবন চলবে না। সরকারের নির্দেশনা মেনে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে পথ এগোতে হবে। আর এই সতর্কতা কেউ না মানলে আবারও আগের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
পাসপোর্টযাত্রী কবির হোসেন জানান, চিকিৎসার জন্য পরিবারের সঙ্গে ভারতে যাচ্ছেন। বন্দর ও কাস্টমস স্বাস্থ্য বিভাগে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা সচেতনতার বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে এখন যেহেতু শুনেছেন, সচেতন থাকার চেষ্টা করবেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা মরিয়ম খন্দকার বলেন, ‘১১ জানুয়ারি করোনার নতুন ধরন জেএন.১ সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ সুরক্ষা বাড়াতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে। আমরা সাধ্যমতো যাত্রীদের সচেতন করছি। হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে সন্দেহভাজন যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছি। তবে থার্মাল স্ক্যানারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নষ্ট থাকায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রাংশ জোগান পাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’ বেনাপোল বন্দর দিয়ে বিভিন্ন দেশের যাত্রীরা যাতায়াত করায় সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪